সকালেই প্রবল বর্ষণ কলকাতা সহ ৯ জেলায়, আজও মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে জেলায়-জেলায়। এদিনও সারাদিন আকাশ মেঘলা থাকবে। পাশাপাশি ইতিমধ্য়েই অতি ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। ইতিমধ্যেই রাজ্যের পাঁচ জেলায় ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। সমুদ্র উত্তাল থাকার কারণে বৃহস্পতিবার অবধি মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
| Published : Jul 29 2021, 07:48 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সকাল ৬ টা থেকে আগামী ২ থেকে ৩ ঘন্টার মধ্যে দুই ২৪ পরগণা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বভাস অনুযায়ী, সুস্পষ্ট নিম্নচাপ দক্ষিণ বাংলাদেশের উপর অবস্থিত। আগামী দুদিনে বাংলার ওপর দিয়ে বিহারের দিকে যাবে।
দক্ষিণবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা নদিয়া মুর্শিদাবাদের উপর দিয়ে যাবে এই নিম্নচাপ। মৌসুমী অক্ষরেখা পাটনা ধানবাদ এর ওপর দিয়ে বীরভূম হয়ে বাংলাদেশের নিম্নচাপ পর্যন্ত বিস্তৃত এই অক্ষরেখা।
ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূম জেলায়। এই পাঁচ জেলার দু'এক জায়গায় ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা।
কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়াতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা। ভারী বৃষ্টি হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব পশ্চিম মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম এবং মুর্শিদাবাদে।
বৃহস্পতিবার অতি ভারী বৃষ্টি সতর্কতা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। এই তিন জেলার দু'এক জায়গায় ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা।
ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে হাওড়া হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমান জেলায়।আবহাওয়া দফতরের পূর্বভাস অনুযায়ী, ভারী বৃষ্টির সর্তকতা কলকাতা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪পরগনা পূর্ব মেদিনীপুর নদীয়া এবং মুর্শিদাবাদে। শুক্রবার পশ্চিমের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
ভারী বৃষ্টি হবে পশ্চিম মেদিনীপুর,পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং ঝাড়গ্রামে। এদিকে নিম্নচাপের মাঝে উত্তাল থাকবে সমুদ্র। সেই কারণে বৃহস্পতিবার অবধি মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
এদিকে একটানা বৃষ্টি জেরে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে ফিরছে জুন মাসের উত্তরবঙ্গের স্মৃতি। ভারী বৃষ্টির জেরে জল দাঁড়িয়ে যাচ্ছে জমিতে। চাষ-আবাদ সহ একাধিক ইস্যুতে অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন সাধারণ মানুষ।
পাশাপাশি যাতায়াত ব্যবস্থাতেও চরম ভুক্তভুগী রাজ্যের একাধিক এলাকা। কোথায় জলের নিচে রাস্তা, পানীয় জলের কল, কোথাও আবার ঘরে মধ্যেই ঢুকেছে ভরা বর্ষার জল। তারই সঙ্গে ডেঙ্গুর আতঙ্কও ঘুরছে শহরজুড়েই।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়ার্স। স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি নীচে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৪ ডিগ্রী।
।
অপরদিকে শহরের বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৮ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৮০ শতাংশ বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আদ্রতা বেশির জন্য একটু অস্বস্তি বাড়বে।