- Home
- India News
- করোনার নতুন রূপ আরও ভয়াবহ বলেই আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের, C.1.2 চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে টিকাকেও
করোনার নতুন রূপ আরও ভয়াবহ বলেই আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের, C.1.2 চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে টিকাকেও
- FB
- TW
- Linkdin
করোনার নতুন রূপ
করোনাভাইরাসের নতুন একটি স্ট্রেইনের সন্ধান পাওয়া গেছে। যদি আগের তুলনায় আরও বেশি সংক্রামক বলেও দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এই রূপের ক্ষেত্র ভ্যাকসিন কতটা সুরক্ষা দেবে তা নিয়ে কিছুটা হলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষণা রিপোর্ট
ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিকেবল ডিজিজেস আর দক্ষিণ আফ্রিকার কোয়াজুলু নাটাল রিসার্চ ইনোভেনশন অ্যান্ড সিকোয়েন্সিং প্ল্যাটফর্মের বিজ্ঞানী যৌথ উদ্যোগে একটি সমীক্ষা করেছিলেন। তাতেই নতুন রূপটি সামনে আসে।
নতুন স্ট্রেইনের নামকরণ
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন চলতি বছর মে মাস থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন স্ট্রেইনটির সন্ধান পাওয়ার গেছে। পরবর্তীকালে বিশ্বের আরও বেশ কয়েকটি দেশে তার সন্ধাপ মিলেছে। নতুন এই স্ট্রেইনটির নামকরণ করা হয়েছে সি.১.২ (C.1.2)।
বাকি দেশে বিস্তার
পয়লা অগাস্ট চিন, কঙ্গো, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, পর্তুগাল আর সুইজারল্যান্ডেও C.1.2 এর সন্ধান পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীদের কথা করোনার রূপ পরিবর্তন হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বৃদ্ধি
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন নতুন স্ট্রেইনটি বর্তমানে বিশ্বব্যাসী সনাক্ত করা হচ্ছে। তাঁরা বলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকেই এটি ছড়িয়ে পড়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে C.1.2 এর জিনোমের ধারাবাহিক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা হয়েছে।
বেষণা রিপোর্টে উদ্বেগ
গবেষকরা জানিয়েছেন, এটি যখন সনাক্ত করা হয়েছিল তখন বিটা ও ডেল্টারও একই পরিমাণ বৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল। সমীক্ষা অনুসারে C.1.2 বংশ প্রতি বছরে প্রায় ৪১.৪ শতাংশ মিউটেশনের হার রয়েছে। যা অন্যান্য় স্ট্রেইনগুলির তুলনায় অনেকটাই কম।
ভারতীয় ভাইরোলজিস্টের কথা
C.1.2 স্ট্রেইনে স্পাইক প্রোটিন লাইনে জমে থাকায় অংখ্য মিউটেশনের ফল। তাই ২০১৯ সালে উহানে সনাক্ত হওয়া করোনার মূল ভাইরাসের থেকে এটি যথেষ্ট আলাদা।
সংক্রমণ যোগ্য হতে পারে
এটি আরও সংক্রমণ ছড়াতে পারে। দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। যেহেতু এটির স্পাইক প্রোটিনে অনেকগুলি মিউটেশন রয়েছে তাই এটি প্রতিরোধ ক্ষমতাও করোনার অন্যান্য স্ট্রেইনের তুলনায় বেশি।
টিকাকে চ্যালেঞ্জ
করোনার নতুন এই স্ট্রেইনটিকে যদি প্রথম থকেই রুখে না দেওয়া যেতে পারে তাহলে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে টিকাকরণ কর্মসূচি। অবিলম্বেই C.1.2 র বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করা জরুরি বলেও দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
কোভিড বিধি পালন
সংক্রমণ রুখতে কোভিড বিধি পালনের ওপরেই জোর দিয়েছেন গবেষকরা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে আনার ওপরেও বেশি জোর দেওয়া হয়েছে।