এক ছোঁয়াতেই সংক্রমিত ৪০৬, তাই কোভিড সংক্রমণ এড়াতে জরুরি Social Distance
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সঠিকভাবে মাস্কের ব্যবহারের মতই গুরুত্বপূর্ণ নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বা সোশ্যাল ডিস্টেন্স মেনে চলা। কারণে সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে জানান হয়েছে সঠিকভাবে নিরাদপদ দূরত্ববিধি বাজায় না রাথতে একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর থেকে মাত্র এক মাস অর্থাৎ ৩০ দিনের মধ্যে ৪০৬ জনের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- FB
- TW
- Linkdin
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গ রীতিমত সুনামির আকার ধারন করছে। নিত্যদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দৈনিত সংক্রমণ ছিল তিন লক্ষ ২৩ হাজার ১৪৪। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৭৭১ জনের। দেশে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৭৬ লক্ষেরও বেশি। মোট মৃত্যু এক লক্ষ ৯৭ হাজারের বেশি।
করোনাভাইরাসের এই ভয়ঙ্কর সংক্রমণের মধ্যেই সামনে এসেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের একটি গবেষণাপত্র। সেখানে বলা হয়েছে সঠিকভাবে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে না চললে এক জন করোনা রোগীর থেকে এক মাসে ৪০৬ জনের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আইসিএমআরএর রিপোর্টে তাই করোনাভাইরাসের এই সংক্রমণকে ঠেকানোর জন্য নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি বলেও দাবি করা হয়েছে। তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি যদি ৫০ শতাংশ নিরাপদ শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলে তাহলে ৩০ দিনে সেই ব্যক্তি কমপক্ষে ১৫জনকে সংক্রমিত করবে।
গবেষণা পত্রে বলা হয়েছে সঠিকভাবে মাস্কের ব্যবহার ৯০ শতাংশ সংক্রমণের সম্ভাবনা কমিয়ে দিতে পারে। একজন সুস্থ মানুষ মাস্ক পরলে আর সংক্রমিত মাস্ক পরলে সংক্রমণ ৩০ শতাংশ ছড়িয়ে পড়তে পারে। দুজনেই মাস্ক পরবে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা ১.৫ শতাংশ থাকে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব লভ আগরওয়াল ক্সিনিক্যাল ব্যবস্থাপণায় জোর দেওয়ার কথা বলেছেন। একই করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধি ও মাস্কের ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছেন।
নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পাল বলেন, সামাজিক দূরত্ববিধি ।দি ৫০ শতাংশ মেনে চলা হয় তাহলে করোনা রোগীর থেকে মাত্র ১৫ জন সংক্রমিত হতে পারেন। আর দূরত্ববিধি যদি ৭৫ শতাংশ মেনে চলা হয় তাহলে আক্রান্তের থেকে মাত্র আড়াই জন সংক্রমিত হতে পারে।
প্রয়োজন ছাড়াই বাড়ির মধ্যেও মাস্ক পরার আর্জি জানান হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। এই পরিস্থিতি বাড়িতেও কাউকে আমন্ত্রণ না জামানোর আবেদন জানান হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতালে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে সমস্যা গুরুতর না হলে হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতে চিকিৎসা করালেও করোনা সংক্রমণ ভালো হয়ে যায়।