২২ বার করোনা পরীক্ষা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের, কারণটা কী
করোনা আতঙ্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না গোটা বিশ্বের। মাঝে সংক্রমণ একটু নিয়ন্ত্রণে আসলেও, ফের বাড়ছে মারণ ভাইরাসের দাপট। ক্রীড়া ক্ষেত্রেও প্রথম থেকেই থাবা বসিয়েছিল বিশ্ব মহামারী ভাইরাস। এবছর আইপিএলও অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অবশেষে আরব আমিরশাহিতে আইপিএল হলেও, পথটা মোটেই সহজ ছিল না। প্লেয়ার, সাপোর্টিং স্টাফ, বিসিসিআই আধিকারিক সকলকেই করোনা আবহে প্রতিযোগিতাকে সাফল্যের সঙ্গে করতে অনেক কঠিন পথ অতিক্রম করতে হয়েছে। বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন, এই পরিস্থিতিতে তার অভিজ্ঞতার কথা।
- FB
- TW
- Linkdin
একসময় করোনা কারণে বাতিলের পথে ছিল আইপিএল। যার ফলে বিপূল তির সম্মুখীন পড়তে হত বিসিসিআইকে। কিন্তু বিশ্ব মহামারীর মধ্যেও সাফল্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেছে বিসিসিআই। করোনা কালে আইপিএল থেকে বিসিসিআইয়ের আয় হয় ৪ হাজার কোটি টাকা।
আইপিএলের এই সাফল্যের জন্য বিসিসিআইয়ের সকল সদস্যদের বাহবা সত্যিই প্রাপ্য। আর বিসিসিআইয়ের কাণ্ডারি হিসেবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেও কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে।
তবে এই পরিস্থিতিতে কাজটা মোটেই সহজ ছিল না বলেও জানিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। করোনার জন্য প্রতি পদক্ষেপে বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
কোভিড প্রোটোকল মেনে আইপিএল করা কতটা কষ্টসাপেক্ষ তাও জানিয়েছেন সৌরভ। সৌরভ জানান, "বোর্ডের কাজের জন্য দেশ বিদেশ ঘুরতে হয়েছে। এর জন্য গত সাড়ে চার মাসে ২২ বার করোনা টেস্ট করাতে হয়েছে। "
প্রতিবার করোনা টেস্টের সময়েই তাঁর আতঙ্ক হয়েছে। দাদার করোনা হওয়ার কথা উল্ল্যেখ করে বলেন, " আমার পরিবারের এক সদস্যের করোনা ধরা পড়েছিল। সেই নিয়েও চিন্তায় ছিলাম।"
কাজে জন্য বারবার ভারত ও দুবাই যাতায়াত করতে গিয়ে যে আতঙ্কের মধ্যে পড়েছেন তাও জানিয়েছেন সৌরভ। বলেছেন,আইপিএলের সময় কতবার কলকাতা ও দুবাই করতে হয়েছে। কাজ তো করতেই হবে। যেতেও হবে। কিন্তু ভয় হত। এই ভাইরাস যেহেতু অজান্তেই এক জনের শরীর থেকে অন্যের শরীরে ছড়ায়, তাই ভয় হত। আশঙ্কা হত। তবে একবারও পজেটিভ হয়নি। প্রতিবার নেগেটিভ এসেছে। স্বস্তি পেয়েছি।"
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ জানান, " করোনা পরিস্থিতিতে আইপিএলের মতো টুর্নামেন্ট করা মুখের কথা নয়। দুমাসের খেলার সময়কালে ৪০০ জন সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে ছিল। এই গোটা সময়ে ৩০ থেকে ৪০ হাজার কোভিড টেস্ট করাতে হয়েছে। এভাবে সব কিছু এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথ মোটেই সহজ ছিল না।"
২২ বারা করোনা পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যাওয়া যে কতটা কষ্টের তাও বলেছেন সৌরভ। একইসঙ্গে ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত বারবার করে সকলকে সতর্ক থাকার বার্তাও দিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যা।