১০ হাজার টেস্ট রানের মাইলস্টোন ছুঁলেন জো রুট, গড়লেন একাধিক রেকর্ড
তার অধিনায়কত্বে দলের টানা খারাপ পারফরম্য়ান্সের কারণে সরে দাঁড়িয়েছিলেন নেতৃত্ থেকে। তবে ব্যাট হাতে তিনি যে এখনও ফুরিয়ে যাননি তা ফের প্রমাণ করলেন ইংল্যান্ডের সদ্য প্রাক্তন অধিনায়ক। লাল বলের ক্রিকেটে তিনি যে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান লর্ডস টেস্টে (Lords Test)শতরান করে নিউজিল্যান্ডের (Eng vs NZ)বিরুদ্ধে জয় এনে দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন জো রুট (Joe Root) । একইসঙ্গে ১০ হাজারি (10 Thousand Test Run) ক্লাবেও নাম লেখালেন ব্রিটিশ তারকা। গড়লেন অনন্য নজির।
| Published : Jun 05 2022, 06:35 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
জো রুটের সেঞ্চুরিতে ভর করে লর্ডস টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ৫ উইকেটে জয় পেল ইংল্যান্ড দল। ম্য়াচ জয়ের জন্য ইংল্য়ান্ডের দরকার ছিল ২৭৭ রান। রুটের অপরাজিত ১১৫ রানের ইনিংস জয় এনে দিল বেন স্টোকসের দলকে। ৩ ম্য়াচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ইংল্য়ান্ড।
টেস্টের ইতিহাসের ১৪ নম্বর ক্রিকেটার হিসেবে এমন দুর্দান্ত কৃতিত্ব অর্জন করেন রুট। অ্যালেস্টার কুকের পরে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ১০ হাজারি ক্লাবের সদস্য হন তিনি। আপাতত ১১৮টি টেস্টে রুটের ব্যক্তিগত সংগ্রহ ১০০১৫ রান।
৯৮৮৯ রান নিয়ে লর্ডস টেস্ট শুরু করেছিলেন রুট। প্রথম ইনিংসে ১১ রান করেই আউট হয়েছিলেন। ফলে ১০ হাজার রানের রেকর্ড ছুঁতে দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করতে হতো রুটকে। ৩১ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান সেটিই করে নজির গড়লেন। রুটের এটি ২৬তম টেস্ট সেঞ্চুরি।
১৯৮৭ সালে আহমেদাবাদে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম এই কীর্তি গড়েছিলেন ভারতের সুনীল গাভাস্কার। আজ লর্ডসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০ হাজার রান পূর্ণ করলেন জো রুট। সময়ের হিসেবে কীর্তিতে দ্রুততম সদ্য প্রাক্তন হওয়া ইংল্যান্ড অধিনায়কই।
২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর রুটের অভিষেক থেকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্ট শুরুর দিন পর্যন্ত সময় ব্যবধান ৯ বছর ১৭১ দিন। দ্রুততম সময়ে ১০ হাজার রানের ক্ষেত্রে রুট ভাঙলেন অ্যালিস্টার কুকের কীর্তি। সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়কের লেগেছিল ১০ বছর ৮৭ দিন।
১০ হাজার রানের মাইলফলক ছোঁয়ার সময় রুটের বয়স ছিল ৩১ বছর ১৫৭ দিন। ২০১৬ সালে এ রেকর্ড ছোঁয়ার সময় কুকেরও বয়স ছিল একই—৩১ বছর ১৫৭ দিন। ১০ হাজার রানের কীর্তিতে দুজন তাই এখন যৌথভাবে সর্বকনিষ্ঠ।
ইনিংসের হিসেবে অবশ্য এ রেকর্ডে বেশ পিছিয়ে রুট। এ ক্ষেত্রে ১৯৫ ইনিংস লেগেছিল তিনজনের—ব্রায়ান লারা, শচীন টেন্ডুলকার ও কুমার সাঙ্গাকারা। তবে লারার লেগেছিল ১১১ ম্যাচ। রুটের লাগল ২১৮ ইনিংস ও ১১৮ ম্যাচ।
ম্যাচের পর রুট বলছেন, ''দারুণ অনুভূতি। অনেকদিন পরে ইংল্যান্ড টেস্টে জয় পেল। এই ধারাবাহিকতাটাই আমাদের ধরে রাখতে হবে। দর্শকরা সবসময় আমাদের পাশে রয়েছেন, আজকের ছবিটা দেখলেই তা বোঝা যাবে।''