কটকে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে কেন হারতে হল টিম ইন্ডিয়াকে, জেনে নিন কারণগুলি
প্রথম ম্যাচে দিল্লিতে হারের পর কটকেও দক্ষিণ আফ্রিকার (South Afruca) বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি২০ (T20)ম্যাচে হারতে হয়ছে ভারতীয় দলকে । ম্য়াচে প্রথমে ব্যাট করে ১৪৮ রান করে করে টিম ইন্ডিয়া (Team India)। সেই রান তাড়া করতে নেমে ১০ বল আগেই জয়ের লক্ষ্যে পৌছে প্রোটিয়ারা। এই জয়ের ফললে ৫ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু ঘরের মাঠে কেন এমন হার ভারতের। কটকে কোথায় কোথায় ভুল করল ঋষভ পন্থ, হার্দিক পান্ডিয়া, যুজবেন্দ্র চাহলরা। দেখে নিন ভারতীয় ক্রিকেট (Indian Cricket Team)দলের হারের কারণগুলি।
- FB
- TW
- Linkdin
ওপেনিংয়ে ব্যর্থতা-
কেএল চোটের কারণে সিরিজ থেকে ছিটকে যাওয়ার কারণে সেই জায়গায় দলে ওপেনিং প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়ে যান রুতুরাজ গায়কোয়ার। কিন্তু দুটি ম্যাচেই ব্যাট হাতে বড় রানম করে রান করতে ব্যর্থ হন তিনি। প্রথম ম্য়াচে করেন ২৩ রান ও দ্বিতীয় ম্যাচে করেন ১ রান। অপরদিকে প্রথম ম্যাচে রান পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো শুরু করেও আউট হয়ে যান তিনি।
মিডল অর্ডারে ব্যর্থতা-
প্রথম ম্যাচে ভারতীয় মিডল অর্ডার রান পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রেয়স আইয়র ছাড়া কেউ রান পাননি। শ্রেয়স আইয়র করেন ৪০ রান। কিন্তু ঋষভ পন্থ দ্বিতীয় ম্যাচে একেবারেই রান পাননি। ৫ রান করেন তিনি। প্রয়োজনের সময় অধিনায়কের ব্যাট থেকে রান না আসায় তার খেসারত দিতে হয় ভারতীয় দলকে।
হার্দিকের রান না পাওয়া-
ভারতীয় দলের লোয়ার মিডল অর্ডারে হার্দিক পান্ডিয়া এদিন রান না পাওয়া ভারতীয় দলের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ। প্রথম ম্য়াচে শেষেক দিকে নেমে ফিনিশারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন হার্দিক। ১২ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে অনেকটা ব্য়াটিং করার সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি।
ফিনিশারের অভাব-
প্রথম দিক থেকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারানোয় শেষের দিকে ফিনিশারের সমস্যায় পড়তে হয় ভারতীয় দলকে। একদিকে থেকে দীনেশ কার্তিক ২১ বলে ৩০ রান করলেও অন্যদিক থেকে সঙ্গে সেবাবে কাওকে পাননি তিনি। যার ফলে কার্তিকও পুরোপুরি মারমুখী মেজাজে ব্যাট করতে পারেননি।
বড় স্কোর করতে না পারা-
বড় স্কোর করতে না পারাটাও ভারতীয় দলের হারের অন্যতম কারণ। প্রথম ম্য়াচে যেখানে ২১১ রান করেও দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের সামনে জিততে পারেনি ভারতীয় দল। সেখানে ১৪৮ রান নিয়ে লড়াই করাটা খুব কঠিন। ঋষভ পন্থ নিজেও বলেছেন ১৫ থেকে ২০ রান কম হয়েছে।
ভুবনেশ্বর কুমার ছাড়া অন্যান্য পেসারদের ব্যর্থতা-
ভুবনেশ্বর কুমার ভারতীয় দলের পেস অ্যাটাকে অনবদ্য বোলিং করেন। শুরুতেই ৩টি উইকেট নিয়ে দলকে জয়ের আশাও দেখিয়েছিলেন তিনি। পরের দিকেও একটি উইকেট নেন। কিন্তু দলের অন্যান্য পেসারদের পারফরম্য়ান্স এমন কিছু আহামরি নয়।
স্পিনারদের ব্যর্থতা-
দেশের মাটিতে খেলা হলে ভারতীয় দলের সবথেকে বড় শক্তি হল স্পিন অ্যাটাক। সেখানে দুটি ম্যাচেই ব্যর্থ হয়েছেন যুজবেন্দ্র চাহল ও অক্ষর প্য়াটেলরা। যেই কারণে খেলার মাঝের ওভারে একাধিক উইকেট তুলে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে পারেনি ভারত। স্পিনারদের ব্যর্থতার দিকে আঙুল তুলেছেন অধিনায়ক ঋষভ পন্থও।
হেনরিক ক্লাসেনের বিধ্বংসী ব্যাটিং-
ভুবনেশ্বর কুমারের দাপটে যেখানে একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে প্রোটিয়ারা। তখন হেনরিক ক্লাসেনের বিধ্বংসী ব্য়াটিং করে একাই কার্যত দলকে জয় এনে দেন। ৪৬ বলে ৮১ রান করেম তিনি। ৫টি ছয় ও ৭টি চার মারেন। যার সুবাদে ১০ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।