- Home
- Sports
- Cricket
- IPL 2021 - লিগ পর্ব শেষ, কেমন খেললেন বিশ্বকাপের ১৫ সদস্যের ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা, দেখুন
IPL 2021 - লিগ পর্ব শেষ, কেমন খেললেন বিশ্বকাপের ১৫ সদস্যের ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা, দেখুন
- FB
- TW
- Linkdin
ইনিংস: ৭, রান: ১৬৮
সবাই আশা করেছিল নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণার পর, খোলা মনে ব্যাট করতে পারবেন বিরাট কোহলি। প্রথম তিন ম্যাচের মধ্যে দুটি অর্ধশতরান করে সেই ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন বিরাট। তবে পরের ৪ ইনিংসে বড় রান পাননি, তাঁর স্ট্রাইক রেটও যথেষ্ট কম। আসন্ন বিশ্বকাপে তিনি ওপেনিং না তিন নম্বর - কোন ভূমিকায় খেলেন সেটাই দেখার।
ইনিংস: ৬, রান: ২৯৫
সংযুক্ত আরব আমিরাশাহিতে এখন একেবারে রেড হট ফর্মে আছেন কেএল রাহুল। বিশেষ করে শেষ ম্যাচে সিএসকের বিরুদ্ধে তো মারকাটারি ইনিংস খেলেছেন। আগেই তিনি ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে জানিয়েছিলেন, যে তিনি ওপেন করতে চান। যেভাবে খেলছেন তিনি, তাতে তাঁর দাবিকে মর্যাদা দেওয়া উচিত।
ইনিংস: ৬, রান: ১৩১
আইপিএল-এর সংযুক্ত আরব আমিরাশাহি পর্বের প্রথম ম্যাচে খেলেননি রোহিত। পরের দুই ম্যাচে কেকেআর এবং আরসিবির বিরুদ্ধে যথাক্রমে ৩৩ এবং ৪৩ রানের ইনিংস খেললেও, তারপর থেকে আর বড় রান পাননি। তিনি খারাপ খেলছেন, তা বলা যাবে না। তবে রোহিথ শর্মা এযে এখন তাঁর সাবলীল ছন্দে নেই, তা যে কেউ তাঁর খেলা দেখেই বলে দেবে।
ইনিংস: ৭, রান: ১৪৪
আইপিএল-এর সংযুক্ত আরব আমিরাশাহির লেগে সূর্যকুমার যাদবের প্রথম ছয় ম্যাচের স্কোর ছিল যথাক্রমে - ৩, ৫, ৮, ০, ৩৩ এবং ১৩। একেবারে শেষ ম্যাচে এসে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে তিনি ৪০ বলে ৮২ রানের একটি খুব ভাল ইনিংস খেলেছেন। সূর্যকুমারের খারাপ ফর্মের জন্য আইপিএল ২০২১-এর দ্বিতীয় পর্বে ভুগতে হয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে। আশা করা হচ্ছে, আইসিসি বিশ্বকাপে তাঁকে শেষ ম্যাচের ফর্মেই পাওয়া যাবে।
ইনিংস: ৬, রান: ১৪৯
ডিসি অধিনায়ক ঋষভ পন্থ কিন্তু প্রত্যাশামতো ব্যাটিং করতে পারেননি। তিনি খারাপ খেলছেন, তা বলা যাবে না। তবে দায়িত্ব নিয়ে খেলার বিষয়টি এখনও তাঁর রপ্ত হয়নি। অনেকসময়ই তাড়াহুড়ো করে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসছেন। বিশ্বকাপে কিন্তু, তাঁর থেকে মিডল অর্ডারে বিস্ফোরক ইনিংস চায় ভারত। সেইরকম স্বভাবসিদ্ধ ইনিংস খেলতে তাঁকে এখনও দেখা যায়নি।
ইনিংস - ২, রান - ২৫
সূর্যকুমার যাদবের মতোই আইপিএল ২০২০ মরসুমে দুর্দান্ত খেলার সৌজন্য ভারতীয় দলের দরজা খুলে গিয়েছিল আরেক এমআই মিডল অর্ডার ব্যাটার ইশান কিশানের। তাঁকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভারতের ব্যাকআপ উইকেটরক্ষক হিসেবে নেওয়া হয়েছে। তবে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে প্রথম ৩ ম্যাচে তাঁর রান ছিল যথাক্রমে ১১,১৪ এবং ৯। খারাপ ফর্মের জন্য পরের দুই ম্যাচ তাঁকে প্রথম একাদশ থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছিল এমআই টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে পরের দুই ম্যাচেই তিনি অর্ধশতরান করেছেন। বিশেষ করে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে ৩২ বলে ৮৪ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন। ফলে অনেকটাই চিন্তামুক্ত ভারতীয় দল।
ইনিংস: ৫, রান: ৭৫, উইকেট: ০
বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় টিম ম্য়ানেজমেন্টের কপালে সবথেকে বেশি ভাঁজ রয়েছে যে ক্রিকেটারকে নিয়ে তার নাম হার্দিক পান্ডিয়া। তিনি এখনও পুরোপুরি সুস্থ কিনা, তাই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে প্রথম দুই ম্যাচে তাঁকে খেলানোই হয়নি। পরের ৫ ম্যাচে খেলে রান করেছেন ৭৫। একি মাত্র ম্যাচে তিনি ৪০ রান করেছেন। তা ছাড়া বলার মতো রান নেই তাঁর ব্যাটে। বলে বলে ছয় মারতেও পারছেন না। উইকেট নেবেন কি, একটি ম্যাচেও বল করতে পারেননি তিনি। হার্দিককে বিশ্বকাপের ভারতীয় দলে নেওয়াই হয়েছে তাঁর অলরাউন্ড দক্ষতার জন্য। তাঁকে দেখা হয়েছিল ফিনিশারের ভূমিকায়। সেখানে, বল না করতে পারলে হার্দিককে আদৌ দলে রাখাই উচিত কিনা, সেই প্রশ্ন উঠছে।
ইনিংস: ৭, রান: ৯৬, উইকেট: ৪
সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে প্রতিটি ম্য়াচে খেললেও সব ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ আসেনি জাদেজার সামনে। সব ম্যাচে পুরো ওভার বলও করতে পারেননি। তবে ভারতের বিশ্বকাপের দলের দ্বিতীয় অলরাউন্জার বরাবরের মতোই ফর্মে রয়েছেন। বিশেষ করে কেকেআর-এর বিরুদ্ধে ম্যাচে ৮ বলে ২২ রান করে জাদেজা আরও একবার দেখিয়ে দিয়েছেন, তিনি কী করতে পারেন।
ইনিংস: ৪, উইকেট: ২
যুজবেন্দ্র চাহালকে বাদ দিয়ে এমআই-এর লেগস্পিনারকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারতীয় দলে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে তাঁকে ৪ ম্যাচ খেলানোর পর, প্রথম একাদশ থেকে বাদ দিতে বাধ্য হয়েছে এমআই শিবির। ৪টি ম্যাচ খেলে তিনি ২টি উইকেট পেয়েছিলেন। বলও করেছেন খুবই সাদামাটা। তাঁকে আদৌ দলে রাখা উচিত হয়েছে কিনা, তাই নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন নির্বাচকরা।
ইনিংস: ৬, উইকেট: ৪
আর অশ্বিনও খুব ভাল বল করছেন না। একটি ম্যাচ ছাড়া অবশ্য তিনি রান দিয়েছেন খুবই কম, তবে উইকেট শিকার করতে পারছেন না। তবে মাঝের ওভারে প্রতিপক্ষের রান-রেটে ব্রেক লাগাতে সফল তিনি। সেইসঙ্গে প্রয়োজনে ব্যাটিংয়েও লোয়ার অর্ডারে নির্ভরতা দিতে পারেন তিনি।
ইনিংস: ৬, উইকেট: ৯
অক্ষর প্যাটেল চলতি আইপিএল মরসুমের দ্বিতীয় লেগে একও পর্যন্ত খুব ভাল পারফর্ম করেছেন। মাঝের ওভারে ডিসির জার্সিতে এসে তিনি উইকেটও শিকার করছেন, সেইসঙ্গে প্রতিপক্ষের রানও আটকে দিচ্ছেন। ব্যাট হাতে যে কবার সুযোগ এসেছে খুব বেশিরান না করতে পারলেও, ইনিংসের শেষের দিকে চার-ছয় মেরে দ্রুত রান তুলেছেন। ৬টি ম্য়াচের মধ্য়ে দুটিতে তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন।
ইনিংস: ৭, উইকেট: ৯
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য নির্বাচিতদের ভারতীয় স্পিনারদের মধ্যে সবথেকে ভাল ফর্মে আছেন বরুণ চক্রবর্তী। নাইট স্পিনার ইউএই-তে প্রথম ম্যাচেই মাত্র ১৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন। যার দেরে আরসিবি মাত্র ৯২ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল। যে ম্যাচে উইকেট পাননি, সেই ম্যাচেও রান খুব কম দিয়েছেন।
ইনিংস: ৬, উইকেট: ৩
ভুবনেশ্বর কুমার সংযুক্ত আরব আমিরশাহি লেগে খারাপ বল করেননি, তবে উইকেট বেশি পাননি। তবে এই বুদ্ধিমান সুইং বোলার ব্যাটসম্যানদের অনেকবারই পরাস্ত করেছেন। সামান্য চোট থাকায় তাঁকে শেষ ম্যাচে খেলায়নি এসআরএইচ।
ইনিংস: ৬, উইকেট: ১১
রেড হট ফর্মে আছেন পাঞ্জাবের জোরে বোলার মহম্ম শামিও। দুটি ম্যাচে রান একটু বেশি দিলেও, তিনি বল করতে আসলেই প্রতিপক্ষের উইকেট পড়ছে। ইনিংসের শুরুতেও উইকেট নিচ্ছেন, আর ডেথ ওভারে উইকেট শিকার করাটা তো তিনি অভ্যাসে পরিণত করেছেন।
ইনিংস: ৭, উইকেট: ১৫
সব ম্যচেই উইকেট পেয়েছেন বুমরা। তবে তাঁর ইকোনমি রেট ভারতের জন্য সামান্য চিন্তার কারণ হতে পারে। অন্তত তিনটি ম্যাচে তিনি ওভার প্রতি ৯-এর বেশি রান দিয়েছেন।