এক সময় আইপিএল কাপিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেটাররা, ফিরে দেখা তাদের পারফরম্যান্স
আইপিএল ২০২২ (IPL 2022) পুরোদমে চলছে। প্রতিদিনই ক্রিকেট প্রেমিরা উপহার পাচ্ছেন এক একটি করে জমজমাট ম্যাচ। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (Indian Premier League) সারা বিশ্বের বহু ক্রিকেটার অংশ নেয় এবং সারা বছর এই লিগের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। বিশ্বমানের ক্রিকেট প্রতিযোগিতা সঙ্গে প্রচুর টাকা যার প্রধান কারণ। কিন্তু আমাদের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের (Pakistan Cricketers) আইপিএলে খেলতে দেখা যায় না। দুই দেশের মধ্যে রীজনৈতিক সম্পর্কের অবনতি এর কারণ। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররাও আইপিএলের ২২ গজে দাপটের সঙ্গে পারফর্ম করেছেন। চলুন আইপিএল ২০২২-এর মধ্যে ফিরে দেখা যাক এই প্রতিযোগিতায় খেলেছেন কোন কোন পাকিস্তান ক্রিকেটার।
- FB
- TW
- Linkdin
২০০৮ সালে প্রথম শুরু হয়েছিল আইপিএল। সেই সময় আইপিলে খেলার অনুমতি পেয়েছিল পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। আইপিএলের বেশিরভাগ দলে ছিল কোনও না কোনও পাক ক্রিকেটার। পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটাররা একাধিক উল্লেখযোগ্য পারফরম্য়ান্সও করেছিল।
শোয়েব আখতার-
আইপিএলের প্রথম মরসুমে দলের পেস অ্যাটাকের শক্তি বাড়ানোর পাকিস্তানের তথা বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতারকে দলে নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। যদিও মাত্র ৩টি ম্যাচ কেলতে পেরেছিলেন তিনি। শোয়েব আখতার ৩ ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। সেই বছর কেকেআর তাকে ১.৭ কোটি টাকায় কিনেছিল। দিল্লির বিরদ্ধে একটি ম্য়াতে ১১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে ম্য়াচ উইনিং পারফরম্য়ান্স করেছিলেন।
শোয়েব মালিক-
পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং ভারতীয় টেনিস খেলোয়াড় সানিয়া মির্জার স্বামী অলরাউন্ডার শোয়েব মালিকও আইপিএল খেলেছেন। পাকিস্তানি তারকা ক্রিকেটারকে ২০০৮ সালে দলে নিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। ২ কোটি টাকায় তাকে কিনেছিল দিল্লি। শোয়েব মালিক এই মরসুমে ৭ ম্যাচ খেলে ৫২ রান করেছেন।
शोएब मलिक
पाकिस्तानी ऑलराउंडर और भारतीय टेनिस प्लेयर सानिया मिर्जा के पति शोएब मलिक को आईपीएल 2008 में दिल्ली डेयरडेविल्स में खेलने का मौका मिला था। उनके साथ मोहम्मद हाफिज भी इस टीम में शामिल थे। शोएब मलिक ने इस सीजन 7 मैच खेले और 52 रन बनाए थे। उन्हें दिल्ली की टीम ने 2 करोड़ रुपए में खरीदा था।
সোহেল তনভির-
রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলা পাকিস্তানি বোলার সোহেল তানভির আইপিএলের প্রথম মরসুমে এক ম্য়াচ ৬ উইকেট নিয়ে এক অনন্য রেকর্ড গড়েছিলেন। গোটা মরসুমে ১১ ম্যাচে তিনি ২২ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় সোহেল তনভিরকে ৪০.১৬ লাখ টাকায় কিনেছিল রাজস্থান রয়্যালস। তিনি ছাড়াও রাজস্থান রয়্যালস-এ কামরান আকমল এবং ইউনুস খানও ছিলেন।
শাহিদ আফ্রিদি-
আইপিএলের প্রথম মরসুমে খেলেছিলেন আরও এক পাক তারকা শাহিদ আফ্রিদি। তিনি সেই সময়কার হায়দরাবাদের দল ডেকান চার্জার্সে (বর্তমানে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ) খেলেছিলেন। আফ্রিদিকে ২.৭১ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছিল হায়দরাবাদ। মরসুমে ১০টি ম্য়াচ খেলে ৮১ রান করেছিলেন আফ্রিদি ও বল হাতে নিয়েছিলেন ৯ উইকেট।
মিসবাহ উল হক-
পাকিস্তানের আরও এক কিংবদন্তী প্লেয়ার তথা প্রাক্তন অধিনায়ক মিসবা উসল হককে আইপিএলের প্রথম মরসুমে দলে নিয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। তাকে ৫০.২০ লক্ষ টাকায় কিনেছিল আরসিবি। মিসবা উল হক মরসুমের ৮টি ম্যাচ খেলে করেছিলেন ১১৭ রান।
৩ দলে ছিল না পাকিস্তানের কোনও ক্রিকেটার-
আইপিএলের প্রথম মরসুমে ৮টি দলের মধ্যে ৫টিতে ছিল পাকিস্তানের ক্রিকেটার। তিনটি দল ছিল যেখানে একজনও পাকিস্তানি খেলোয়াড় ছিল না। সেই তিনটি দল ছিল চেন্নাই সুপার কিংস, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব (বর্তমানে পঞ্জাব কিংস) এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।