- Home
- Sports
- Cricket
- বিসিসিআইয়ের একাধিক নিয়ম অপছন্দ আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির, তাহলে কি এবার বোর্ড-ফ্র্যাঞ্চাইজি দ্বৈরথ
বিসিসিআইয়ের একাধিক নিয়ম অপছন্দ আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির, তাহলে কি এবার বোর্ড-ফ্র্যাঞ্চাইজি দ্বৈরথ
করোনা আবহে আইপিএলের কথা মাথায় রেখে একাধিক নিয়ম লাগু করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। বিসিসিআইয়ের তৈরি এসওপিতে প্লেয়ারদের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে যথেষ্ট কড়াকড়ি করেছিল বোর্ড। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনওরকম ঝুঁকি নিতে রাজি নয় বিসিসিআই। কিন্তু বিসিসিআইয়ের একাধিক নিয়মে রদবদলের আবেদন জানানো হল আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির তরফ থেকে। বোর্ডের নিয়মের এত কড়াকড়ি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি পছন্দ হয়নি বলেও খবর। তাহলে কী এবার বোর্ড বনাম ফ্র্যাঞ্চাইজি দ্বৈরথ? উঠছে প্রশ্ন। দেখা যাক ঠিক কী কী দাবি জানিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি-
- FB
- TW
- Linkdin
বিসিসিআইের এসওপি অনুযায়ী দেশ থেকে করোনা টেস্ট পাশ করার পর আরব আমিরশাহিতে গিয়ে ৬ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে তাকতে হবে সকলকে। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির দাবি, ৬ দিন নয়, সো কমিয়ে তিন দিনের করা হোক। কারণ লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন অনুশীলনের বাইরে রয়েছে ক্রিকেটাররা। ফলে আমিরশাহি পৌছে তিন মধ্যেই প্লেয়ারদের অনুশীলনে নামাতে চাইছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি। যত তাড়াতাড়ি অনুশীলনে নামবেন তত বেশি সময় পাবেন প্লেয়াররা ও ম্যাচ ফিট হতে পারবেন প্লেয়াররা। তাই এই আবেদন ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলির।
বোর্ড চাইছে, আমিরশাহি পৌঁছনোর পর প্রথম, তৃতীয় ও ষষ্ঠদিন ক্রিকেটারদের করোনা টেস্ট করাতে। এ ছাড়া ৫৩ দিনের প্রতিযোগিতায় প্রত্যেক পঞ্চম দিন টেস্ট করানোর কথা ভেবেছে বোর্ড। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই তাঁরা অনুশীলনে নামতে পারবেন। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজির দাবি মানতে গেলে, দুইয়ের বেশি টেস্টের উপায় নেই। ফলে এই নিয়মে কীভাবে রদবদল আনা সম্ভব তানিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে বোর্ড কর্তারা।
বিসিসিআই চাইছে ২০ আগস্ট মরু দেশে পৌঁছাক সমস্ত চল। তবে চেন্নাই-সহ একাধিক দল আরও আগে পৌঁছে যেতে চাইছে সেখানে। তাই ১৫ আগস্টের পরই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া যায় কি না, সে প্রস্তাবও বৈঠকে রাখছে দলগুলি। পাশাপাশি বোর্ড জানিয়েছে, ক্রিকেটারদের মতো তাঁদের পরিবার এবং দলের মালিকদেরও বায়ো-বাবলের মধ্যে থাকতে হবে। সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবিও জানাচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি।
কোয়রান্টিন পর্ব চলাকালীন ক্রিকেটাররা সতীর্থদের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারবেন না। অন্তত তিনটি কোভিড-১৯ টেস্ট হবে সকল প্লেয়ারদের। সেই টেস্ট রিপোর্ট সকলের নেগেটিভ এলেই তারপর সেই অনুমতি মিলবে। দলগুলো থাকবে আলাদা আলাদা হোটেলে।
একইসঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা আইপিএল চলাকালীন চেয়েছে দলগত ও পারিবারিক নৈশভোজের অনুমতি। তবে সেটা করা হবে অনেক আগে দেওয়া নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতে। বাইরে থেকে হোটেলে খাবার আনার অনুমতিও চাওয়া হয়েছে। ইংল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজের উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে নির্দিষ্ট কিছু রেস্তোরাঁ বা আগে থেকে নির্ধারিত কোনও যাওয়ার ব্যবস্থা করা সম্ভব কি না।
বোর্ডের নির্দেশিকা অনুসারে ক্রিকেটারদের পরিবার ও দলের মালিকদের থাকতে হবে বায়ো-সিকিউর পরিবেশে। এটাতেও আপত্তি রয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। বলা হচ্ছে যে টিমের মালিকদের পক্ষে প্রায় তিন মাস ওই জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা মুশকিল। কিন্তু তা না থাকলে স্কোয়াডের সঙ্গে মেলামেশা করা সম্ভব নয়।
৮০ দিন আরবদেশে থাকতে হবে সকল প্লেয়ারকে। সেখানে হোটেলবন্দি হয়ে থাকাটা খুবই কষ্টসাধ্য। তাই গল্ফ খেলা বা দলের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও স্পনসরের অনুষ্ঠানে ক্রিকেটাররা থাকতে পারবেন কি না, তা নিয়েও স্পষ্ট ধারণা চাওয়া হয়েছে।
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ শেষ হচ্ছে ১০ সেপ্টেম্বর। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপাক্ষিক সিরিজ শেষ হচ্ছে ১৬ সেপ্টেম্বর। এই দুই প্রতিযোগিতা থেকে ২৫ জনের মতো ক্রিকেটার যোগ দেবেন আইপিএলে। কোয়রান্টিন পর্বের মেয়াদ কমিয়ে এই ক্রিকেটারদের কী ভাবে তাড়াতাড়ি খেলানো যায়, সেই সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়েছে। এই সমস্ত বিষয় বিসিসিআইয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলির পক্ষ থেকে। তবে তারা সেই বুঝে ব্যবস্থা করবে। কিন্তু বিসিসিআইয়ের একের পর এক সিদ্ধান্ত যেভাবে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির অপছন্দ হয়েছে তাতে সমস্যায় পড়েছে বোর্ড কর্তারা।