Durga Puja: বেহালার সেরা ১০ দুর্গা পুজো, কোনওভাবেই মিস করবেন না, দেখুন ছবি
- FB
- TW
- Linkdin
করোনা আবহের মধ্য়েই জমে উঠেছে সপ্তমীর পুজো। হাইকোর্টের একাধিক নির্দিশিকা মেনেই পুজো চলছে বেহালার বরিশা ক্লাবে। বেহালার এই ক্লাবটি অন্যতম সেরা পুজো। গত বছর কোভিডের কারণে অসুবিধায় পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা তুলে ধরে ছিল এই ক্লাব ।
দক্ষিণ কলকাতার অধিকাংশ পুজোগুলিতে শুরু হয়েছে উদ্বোধনের পালা। এবার বেহালা বড়িশা ক্লাবের পুজো উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বড়িশা ক্লাবের এবারের থিম ভাগের মা গলিতে । প্রসঙ্গত, হাইকোর্ট এবারও পুজো প্যান্ডেলে নো এন্টি সহ একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তাই অবশ্য পুজোতে কোভিড বিধি অবশ্য মেনে তারপরেই আনন্দ করুন। তবে কলকাতার মধ্যে এবার সেরার লিস্টি এই পুজো। তাই কোনও ভাবেই মিস করবেন না।
বেহালা বরিশা থেকে একটু এগিয়ে এলেই বড়িশা সার্বজনীন। গত বথর তাঁদের থিম ছিল রুপান্তর। কোভিডের জেরে সারা পৃথিবীতে যে মানুষ কঠিন সময়ের মধ্য়ে দিয়ে যাচ্ছে, তা তুলে ধরা হয়েছিল। তবে এবারেও থাকছে নয়া চমক। আলো-আধারি মাঝে মায়াবী রুপে উমা মা আর্বিভূত হয়েছেন।
বেহালা নতুন সংঘও বেহালার একটা অন্যতম পুজো। এবার এই পুজো ৫৬ বছরে পা দিল। পুজো মন্ডপে ঠাকুর দালানের ছোওয়া। চারিদিকে বেজে চলেছে রবীন্দ্রসঙ্গীত।
বেহালা ফ্রেন্ডস ক্লাবের পুজো এবার ৫৬ বছরে পা দিয়েছে। তাঁদের থিমের ভাবনা বেশ মৌলিক। এবার তাঁদের থিমের নাম পথ। এই পথ বলতে সত্যের পথ -সততার পথ বোঝানো হয়েছে।
এসবি পার্ক সার্বজনীনের তরফে জানানো হয়েছে, ' 'কারুসেবা', বাংলার কারু শিল্পের যত্নের আখ্যান। এটাই আমাদের এবারের পুজো প্রচেষ্টা। অতিমারি,দুর্যোগ, আদালতনামার প্রেক্ষাপটে আমাদের পঞ্চাশ পেরনো পুজো। আমারা তাই একজায়গায় জোট হয়ে না থেকে কাজ বিভাজন করে নিয়েছিলাম। কলকাতায় নক্শাকারের ঘরে প্রতিমা তৈরি র পাশে পাশে নির্মান হচ্ছিল বীরভূমের সুরুলের বিশ্বখ্যাত শোলাশিল্পী কমল মালাকারের সাজ। ভরিয়ে দিয়েছেন তিনি। বাংলার এক অসামান্য ঘরানার সাথে আমাদের পরিচয় করিয়েছেন তিনি। আমরা বোঝার চেষ্টা করেছি আইভরি কার্ভিং আর শোলার নকশার সাযুজ্য। এ তো চোখ খুলিয়ে দেওয়া। আর একজন শিল্পী আমাদের শুধুই নয়, আমাদের হয়ে সারা বাংলাকে যিনি সমৃদ্ধ করলেন, তিনি যোগেন চৌধুরী। আমাদের প্রতিমার চালচিত্র এঁকে দিলেন তিনি।এক লহমায় সাঁচী বুদ্ধের হ্যালোর সাথে মিল খুঁজে দেন তিনি ।এভাবেই ভারত শিল্পের সাথে সেতু রচনা হয় দুর্গার চালির । এ এক পরম প্রাপ্তি। সর্বোচ্চ পর্যায়ের কারুশিল্পী আর জগদ্বিখ্যাত চারুশিল্পীর মেলবন্ধন ঘটল আমাদের এবারের পুজোয়। আমরা নতজানু বাংলার শিল্পের কাছে, আমরা প্রনত বাংলার কৃষ্টির কাছে।'
বেহালা বাসুদেব সার্বোজনীন দুর্গোৎসবের পুজোও সপ্তমীতে জমে উঠেছে। বিশেষ করে সেলেবরা আশতেই বেশ খুশি স্থানীয়রা। মহা ষষ্ঠীতে মাতৃ প্রতিমা দর্শন করে গেলেন বিশিষ্ট অভিনেতা সুদীপ মুখোপাধ্যায়।
বেহালা বুড়ো শিবতলায় ঐতিহ্য মেনেই পুজো হয়ে আসছে। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। এখানের পুজোয় এলাকা মানুষ চলতি বছেরেও আনন্দ খুঁজে পেয়েছে। বেহালায় গেলে এই ঠাকুরটিও দেখতে ভূলবেন না।
বেহালার ১১ পল্লী দুর্গা পুজোও বেশ কাড়া। প্রতিবছরই এদের পুজো দেখতে বহু মানুষ আসেন।চলতি বছরেও তাঁর অন্যথা নেই। বেহালা পূর্বের বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় এই কমিটির খুঁটি পুজোে থেকেই রয়েছেন। দেখতে দেখতে এবছর তাঁদের পুজো ৬৯ বছরে পা দিয়েছে। চলতি তাঁদের ভাবনা - ' চাইব তোমার মুখে দাও সে অচল ভক্তি ' সৃজনে - বেহালা ১১ পল্লী, প্রতিমা শিল্পী - পরিমল পাল।
হারু চন্দ্র স্পোর্টিং ক্লাবে প্রতি বছরের ঐতিহ্য বজায় রেখেছে। এই ক্লাব সহজ-সরল দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্বাসী। বেহালায় গেলে এই পুজোটাও মিস করবেন না।