- Home
- Religion
- Spritiual
- Durga Puja 2021: দক্ষিণ কলকাতার সেরা ২০ দুর্গা পুজো, তাক লাগাবে সাবেকিয়ানা আর সমকালীনের ফিউশন
Durga Puja 2021: দক্ষিণ কলকাতার সেরা ২০ দুর্গা পুজো, তাক লাগাবে সাবেকিয়ানা আর সমকালীনের ফিউশন
- FB
- TW
- Linkdin
দক্ষিণ কলকাতার লেক ভিউ রোডে অবস্থিত, সমাজ সেবি সংঘ তার ঐতিহ্যগত থিমগুলির জন্য পরিচিত। প্রতি বছর দুর্গা পূজা এখানে একটি দুর্দান্ত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠান সহ উদযাপিত হয় এবং তাদের প্রধান উদ্দেশ্য হল প্রেমের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া। এ বছর মহামারী থেকে মানুষের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে উদযাপনটি কম মাত্রায় হবে। ইতিমধ্য়েই সেখানে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং সৌরভ গাঙ্গুলি পুজোর সূচনা করে গিয়েছেন। মহালয়ায় পরেই এখানে পুজোর শানাই আকাশে বাতাসে।
শরৎ বোস রোডে হিন্দুস্তান ক্লাব কলকাতার একটি বিখ্যাত ল্যান্ডমার্ক ছিল। ক্লাবটি ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে দুর্গাপুজোর আয়োজনের জন্য জনপ্রিয় । থিমগুলি মন ছুয়ে যায়। প্রতিবছর, ক্লাবটি একটি আকর্ষণীয় থিম নিয়ে আসার চেষ্টা করে । আপনি যদি দুর্গাপূজায় ছবি তুলে উপভোগ করতে চান, তবে আপনি এখানে প্রচুর ছবি তুলতে পারেন । কারণ এটি অন্যতম সেরা কাজ। তাই কোনওভাবেই মিস করবেন না।
হিন্দুস্থান পার্কের দুর্গা পুজো প্রতি বছর দুর্গোৎসবের সময় বিপুল সংখ্যক মানুষের ছবি আঁকার জন্য বিখ্যাত। কারণ এর থিম চমকপ্রদ। কলকাতার অন্যতম পুরোনো এইক্লাব। উনিশতকের গোড়ার থেকেই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। এটি কলকাতার অন্যতম সুন্দর পূজা প্যান্ডেল। গত বছর হিন্দুস্তান পার্ক সর্বজনীনের বিষয় ছিল 'রস' । এই রস রসগোল্লার নয়, এ আমাদের মানুষের মধ্যেকার নব রস। সাহিত্য থেকে সংগীত, এমনকি ভারতীয় থেকে গ্রিক পুরাণেও এই আদি এবং একান্ত ভাবেই মৌলিক রসের উল্লেখ সর্বত্র দেখতে পাওয়া যায়। আগের বারের মতই এবারেও এই ভাবনা চিন্তার পেছনে ছিলেন শিল্পী অনির্বাণ দাস
বালিগঞ্জের এই ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপূজার জন্য কলকাতায় জনপ্রিয়। এটু সাউদার্ন এভিনিউ এবং রাশবিহারী অ্যাভিনিউ থেকে কাছাকাছি পড়বে। এটি কলকাতার অন্যতম বিখ্যাত দুর্গাপূজা প্যান্ডেল যা আপনার মিস করা উচিত নয়। প্রতি বছরই তারা চেনা পরিচিত যুগলবন্দী নতুন কল্পনায় সেজে ওঠে। এবারও তারা তাদের ঐতিজ্য মেনে চলবে। তবে যুগলবন্দী মানে কি, সেটা একটু জেনে নেওয়া যাক। যেমন ধরুন রথযাত্রা বললেই মনে আসে পাপড়, জিলিপির কথা। আবার রথের মেলার কথা শুনলেই পাপড়, জিলিপির কথা। ঠিক তেমনি ভাবে আবার আবার স্বাধীনতা দিবস বললেই মনে পড়ে পতাকা ও প্যারেডের কথা।তাই সমস্ত পরিচিত সব যুগলবন্দিতেই ধরা দেবে বালিগঞ্জ কালচারাল অ্য়াসোসিয়েশন-এ। রথযাত্রার সময় ইতিমধ্যেই পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এতদিনে তাঁরা কেবলই আপনার অপেক্ষায় রয়েছে।
দর্শনীয় দুর্গাপূজার জন্য বিখ্যাত, দেশপ্রিয় পার্ক এমন একটি পুজা প্যান্ডেল যা আপনি মিস করতে পারবেন না। কলকাতায় দুর্গা পূজা প্যান্ডেলগুলি অবশ্যই দেখতে হবে কারণ এটি থাইল্যান্ডের হোয়াইট টেম্পলের মতো অনন্য থিম দিয়ে বছরের পর বছর মানুষকে মুগ্ধ করার জন্য পরিচিত। যদিও ২০১৫ সালে প্যান্ডেলটি বন্ধ হয়ে যেতে হয়েছিল।তবে গত দুই বছরে, এটি আবার তার জনপ্রিয়তা ফিরে পেয়েছে। দেবী দুর্গার মূর্তি ছিল ৮৮ ফুট এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় মূর্তি হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। এটি কলকাতার অন্যতম দুর্গাপূজা প্যান্ডেল।
একডালিয়া এভারগ্রীনও কলকাতার সেরা পুজোর অন্যতম।সম্ভবত ২০১১ সালে একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাব দুর্গোৎসব সমিতি একটি জার্মান গ্রামের উপর ভিত্তি করে একটি থিম করেছিল। ২০১২ সালে তারা ভেলোরে স্বর্ণমন্দির তৈরি করেছি। ২০১৩ সালে তারা একটি ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় মন্দিরের উপর ভিত্তি করে থিম এনেছিল।
একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাব দুর্গোৎসবের কাছাকাছি দাঁড়িয়ে আছে কলকাতার অন্যতম দুর্গাপূজা, সিংহী পার্ক সার্বোজানিন দুর্গোৎসব। যা দেবী দুর্গার আরাধনার ঐতিহ্যবাহী রীতিকে বয়ে নিয়ে চলেছে সব দিন। সিংহী পার্ক সার্বোজানিন দুর্গোত্সব এ পর্যন্ত বিভিন্ন বিভাগে বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছে এবং এইভাবে এটি কলকাতার অন্যতম বিখ্যাত প্যান্ডেল।
মুদিয়ালি ক্লাব দুর্গোৎসব দক্ষিণ কলকাতার আরেকটি জনপ্রিয় বারোয়ারি দুর্গা পূজা। এটি ১৯৮৮,১৯৯০,১৯৯২,১৯৯৪ সালে শারদ সম্মান -সেরা পুজার স্বীকৃতি পেয়েছে।২০০৫ সালে এটি উড়িষ্যার মুক্তেশ্বর মন্দির তৈরি করেছিল যা মনে রাখার মতো। তবে এবারও তাক লাগানো আলপনা আর প্যান্ডেলে মন টানবে। তাই মিস করবেন না।
দক্ষিণ কলকাতার অধিকাংশ পুজোগুলিতে শুরু হয়েছে উদ্বোধনের পালা। এবার বেহালা বড়িশা ক্লাবের পুজো উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বড়িশা ক্লাবের এবারের থিম ভাগের মা গলিতে । প্রসঙ্গত, হাইকোর্ট এবারও পুজো প্যান্ডেলে নো এন্টি সহ একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তাই অবশ্য পুজোতে কোভিড বিধি অবশ্য মেনে তারপরেই আনন্দ করুন।
দোরগড়ায় দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই মহালয়া হয়ে পিতৃপক্ষের অবসানের সঙ্গে সঙ্গেই দেবীপক্ষের শুভ সূচনা হয়েছে । দক্ষিণ কলকাতার অধিকাংশ পুজোগুলিতে শুরু হয়েছে উদ্বোধনের পালা। বেহালা নতুন দল দুর্গাপূজা উদ্বোধন করলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। যেখানে উমা মা তার সন্তানদের কোলে নিয়ে বসে আছেন।চারিদিকে লোহা শিক দিয়ে রুদ্ধ করা হয়েছে।
কলকাতার বিশিষ্ট দুর্গাতসবের মধ্যে একটি হল শিব মন্দির সর্বজনীন দুর্গাতসাব যা প্রতিবছর সর্বাধিক সংখ্যক জনতার সাক্ষী হয়। এটিও শরোদ সন্মান সহ বিভিন্ন বিভাগে অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছে।১৯৯৯ সাল থেকে শিব মন্দির সর্বজনীন দুর্গোৎসব বেশ কয়েকটি ধারণা নিয়ে আবির্ভূত হয়েছে। এটি ১৯৯৯ সালে বিষ্ণুপুরের পোড়ামাটির শিল্পের প্রতিরূপ, ২০০০ সালে মালুটি গ্রাম, ২০০১ সালে ভগবান বুদ্ধের রূপ সৃষ্টি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এবারও তার অন্যথা হবে না। দক্ষিণের পুজোর মধ্যে এটিও অন্যতম।
কলকাতার আরেকটি বহু পুরস্কার বিজয়ী দুর্গোৎসব হল বোসপুকুর সীতলা মন্দির যা প্রায়ই পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ চিত্রকে তার বিষয়ভিত্তিক কাঠামোতে তুলে ধরে। এটি কলকাতার দুর্গাপূজা প্যান্ডেলগুলির মধ্যে একটি। উল্লেখ্য, মহামারীর কারণে তাঁরা সচেতনতা অভিযান চালিয়েছে।
মহালয়ার দিনই দুর্গোৎসবের ঢাকে কাঠি পড়ে গেল। আর দেবীপক্ষের সূচনায় প্রতি বছরের মতো এবারও পুজো উদ্বোধনে নেমে পড়ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেখানে উপস্থিত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও উদোক্তা বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত। প্রতিমার আবরণ অনুমোচন করলেন তিনি। শিল্প ভবোতোষ সুতো দিয়ে প্রতিমা তৈরি করেছেন। শিল্পী প্রদীপ দাসের ভাবনায় তৈরি হয়েছে সম্পূর্ণ মণ্ডপের আকার প্রকার। এবার তাঁদের থিম চলো চিত্র। ভারত বাংলাদেশের দেশ ভাগের সময়ের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। উৎসবের দিনগুলিতে সবাইকে সামাজিক দূরত্ব মেনে উৎসবে সামিল হওয়ার অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি স্যানিটাইজার এবং মাস্কও ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন।
৭৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকার পরে, বাদামতলা আষাঢ় সংঘ, মানুষের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান পেয়েছে। এই পুজো কমিটি বেশ কয়েকটি পুরস্কার জিতেছে এবং ২০১০ সালে সৃজনশীল শ্রেষ্ঠত্ব পুরস্কার পেয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার এই পুজোটিও কোনওভাবে মিস করবেন না।
সুরুচি সংঘ প্রতিবছর ভারতের একটি ভিন্ন রাজ্যের বিষয়ভিত্তিক সাংস্কৃতিক উৎসব এবং প্রদর্শনের মাধ্যমে দর্শকদের আপ্যায়ন করে। দুর্গা প্রতিমাগুলি প্রতিটি রাজ্যে কেমন দেখায় তার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। যদিও এই পূজা প্যান্ডেলটি ৫০ বছরেরও বেশি পুরনো। ২০০৩ সালে এটি প্রথম খ্যাতি অর্জন করেছিল। দক্ষিণের এই পুজোটিও অন্যতম সেরা দুর্গা পুজো।
পুজো আড্ডা মানেই কলকাতার ম্যাডক্স স্কোয়ার। নতুন প্রজন্ম আসে এখানে জমিয়ে প্রেম করতে,আড্ডা মারতে। আর সেই ম্যাডক্স স্কয়ারেও এখন পুজোর প্রস্তুতির শেষ পর্যায়। এখানে পুজো থিম কিছু না থাকলেও এখানের দুর্গা-মা লাবণ্যময়ী। প্যান্ডেলের জাকজমক সহজ হলেও এখানকার প্যান্ডেল আর ঝাড়বাতিই দর্শকদের প্রধান আকর্ষণ । বলা যায় পুজোর কটা দিন ঢাকের বাদ্যি আর প্রদীপের আলোয় এক মায়াবী আবহে পরিণত হয়।
দক্ষিণ কলকাতার অধিকাংশ পুজোগুলিতে শুরু হয়েছে উদ্বোধনের পালা। এর মধ্যে কিছু জায়গাতেই ইতিমধ্যেই উদ্বোধন করতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । আর সেই লিস্টিতে পড়ে চেতলা অগ্রণীও। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও চেতলা অগ্রণী ক্লাব এ বিশ্বজননীর চক্ষুদান করলেন আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম পুজোগুলির মধ্য়ে একটি ত্রিধারা সম্মেলনী। প্রতিবারের মতই এবারও বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়কে তুলে ধরছেন আয়োজকেরা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য এক উপস্থাপনা নিয়ে এই ক্লাব আগের বছর কাজ করেছিল। রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পী শ্রী গৌরাঙ্গ কৈলার শিল্পকলা ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। তবে এবছরও থাকছে চমক। কোনওভাবেই তা মিস করবেন না।
যোধপুর পার্ক দুর্গা পূজা প্যান্ডেল দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় প্যান্ডেল। এর থিমগুলি বিস্তৃত এবং বৈচিত্র্যময়। এটি অন্যদের তুলনায় কয়েক বছরের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী তকমা পেয়েছে। দক্ষিণ কলকাতায় আশের পাশের পুজোরগুলি সঙ্গে এই পুজোটি দেখতে কোনওভাবেই মিস করবেন না।
প্রতি বছরের মত এবারও বিশেষ চমক নিয়ে আসছে ঠাকুরপুকুর ক্লাব। এবারের থিম এবার 'উমার কথকতা'। এ বছর ৭২ তম বর্ষে পা দিল তাদের পুজো । হাইকোর্ট এবারও পুজো প্যান্ডেলে নো এন্টি সহ একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবু দোকান খুলতে পেরে কোথাও যেনও পুজোর সুরকে ছাপিয়ে যায়নি বিক্রেতার চাপা কান্না। ২০২১ এর পুজো তাই সব দিক থেকেই মন ছুয়ে যাবে।