- Home
- Entertainment
- Bengali Cinema
- প্রথম উপার্জনের টাকায় কেনা আংটি লতাজির কাছে ছিল সবচেয়ে মূল্যবান, রইল ১৫টি অজানা কাহিনি, দেখে নিন এক ঝলকে
প্রথম উপার্জনের টাকায় কেনা আংটি লতাজির কাছে ছিল সবচেয়ে মূল্যবান, রইল ১৫টি অজানা কাহিনি, দেখে নিন এক ঝলকে
- FB
- TW
- Linkdin
১৯২৯ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন লতা মঙ্গেশকর। ইন্দোরে এক মারাঠি পরিবারে জন্ম হয় তাঁর। পিতা পণ্ডিত দীনানাথ মঙ্গেশকর একজন মারাঠি ও কোঙ্কিণী সঙ্গীতজ্ঞ ছিলেন। তিনি মাত্র ১৩ বছর বয়সে প্লেব্যাক করেন।
লতা মঙ্গেশকরের জন্মকুণ্ডলী অনুসারে বুধের দশায় জন্ম হয়েছিল শিল্পীর। তাঁর পরই তাঁর পরিবারের শ্রীবৃদ্ধি হয়। আর্থিক উন্নতি হয় তাঁর পরিবারের।
গায়িকা নয় মাত্র ১২ বছর বয়সে অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করেছিলেন লতা মঙ্গেশকর। সেই সময় বাবাকে হারান গায়িকা। পাঁচ ভাই-বোনের কথা ভেবে ওই বয়সেই সংসারের হাল ধরেন। তাঁর গাওয়া প্রথম হিন্দি গান ‘মাতা এক সুপুত কি দুনিয়া বদল দে তু’।
জানা যায়, প্রতিদিন ছোট বোন আশা ভোসলেকে নিজের সাথে করে স্কুলে নিয়ে যেতেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ নিষেধ করলে রাগ করে সেই স্কুলে যাওয়াই ছেড়ে দেন। প্রথাগত আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পাননি লতা।
নিজের প্রথম রোজগার দিয়ে কেনা জিনিস তাঁর কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এক সাক্ষাৎকারে সুরের সরস্বতী বলেছিলেন, তিনি তাঁর প্রথম রোজগার দিয়ে মায়ের জন্য সোনার গয়না আর নিজের জন্য হিরে কিনে ছিলেন। যা সব সময় তার কাছে রাখতেন।
লতাজির গাড়ির খুব শখ ছিল। তাঁর একটি শেভ্রোলেট, বুইক এবং একটি ক্রিসলার গাড়ি ছিল। জানা যায়, বীর জারা ছবির গান প্রকাশের পর চলচ্চিত্র নির্মাতা যশ চোপড়া তাঁকে এই মার্সিডিজ গাড়ি উপহার দেন। যা তাঁর সংগ্রহে থাকা মূল্যবান গাড়ির মধ্যে একটি।
দশকের পর দশ ধরে ভক্তদের হিট হিট গান উপহার দিয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। ভারতের ৩৬টি ভাষায় প্রায় ৩০ হাজারের মত গান গেয়েছেন। 'নাইটিঙ্গেল অব ইন্ডিয়া' আখ্যা পেয়েছিলেন তিনি।
ভারত-চীন যুদ্ধ চলাকালীন লতা গেয়েছিলেন ‘এ মেরে ওয়াতান কি লোগো’ গানটি। তাঁর এই গান শুনে কেঁদে ফেললেন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। এই গানের জনপ্রিয়তা সকলের শীর্ষে।
লতা মঙ্গেশকর ভালোবাসতেন আড্ডা দিতে। বন্ধু রবি শঙ্করের স্টুডিওতে মাঝে মধ্যে যেতেন আড্ডা দিতে। সেখানে বন্ধু জর্জ হ্যারিসনের সঙ্গে আড্ডা দিতে ভালোবাসতেন লতা। ছিল ফটোগ্রাফির শখ।
একবার বেশ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন লতা। ডাক্তার জানায় ধীরে ধীরে রোজ কেউ বিষ দিচ্ছে তার খাবারে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে দেখলেন রাঁধুনি বেতন না নিয়েই পালিয়েছে।
লতা মঙ্গেশকর ছিলেন দরদী স্বভাবের। তিনি খুবই স্নেহ পরায়ন ছিলেন। একজন সংবেদনশীল ও আবেগপ্রবণ মানুষ ছিলেন লতাজি। তাঁর এই স্বভাব সকলকে মুগ্ধ করত।
১৯৪২ থেকে ২০১৫ পর্যম্ত এতের পর এক জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন সুর সম্রাজ্ঞী। তার চয়ে যাওয়া যেন স্বর্ণ যুগের অবসান হল। প্রায় ৩০ হাজার বেশি গান গেয়েছিলেন শিল্পী।
সুস্থ থাকার জন্য সময় মেনে চলতেন। সময় মতো খাবার খেতেন। তিনি নিয়মিত গলার যত্ন করতেন। গলা ভালো রাখার জন্য সব সময় হালকা গরম জল খেতেন। তাঁর কন্ঠে মুগ্ধ হননি এমন কোনও ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া দায়। তিনি চিরকাল ভক্তদের উপহার দিয়ে চলেছেন একের পর এক হিট গান।
তিনি দক্ষিণ মুম্বইয়ের পেডার রোডে একটি বিলাশ বহুল বাংলোতে থাকতেন লতা মঙ্গেশকর। যার নাম ছিল প্রভু কুঞ্জ ভবন। বাড়িটি খুবই শখের ছিল তাঁর।
বীরজারা ছবির গান জনপ্রিয়তা পেতে তিনি মূল্যেবান গাড়ি উপহার পান। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, প্রয়াত যশ চোপড়াজি আমাকে তাঁর বোনের মতো মনে করতেন। এবং স্নেহ করতেন। বীরজারা এর গান প্রকাশের সময় তিনি একটি মার্সিডিজের চাবি দিয়েছিলেন। আমার হাতে দিয়ে বলেছিলেন যে তিনি আমাকে এই গাড়ি উপহার দিচ্ছেন।