আইএসএলে কোন তারকারা হতে পারেন এটিকে মোহনবাগানের রত্ন, জেনে নিন এক নজরে
শতাব্দীপ্রাচীন মোহনবাগান ক্লাবের চলতি মরশুমে সংযুক্তি ঘটেছে গতবারের আইএসএল চ্যাম্পিয়ন ফ্রাঞ্চাইজি এটিকে’র সঙ্গে মিলে। সবমিলিয়ে ২০২০-২১ আইএসএল মরশুমে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে নতুন অবতার এটিকে-মোহনবাগান। মেলবন্ধন ঘটেছে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্যে ফ্যানবেসের খেতাবজয়ী সাথে সুদক্ষ ম্যানেজমেন্ট ও পাওয়ার হাউস ফুটবল দলের। চলতি মরশুমে এটিকে-মোহনবাগানে ধরে রেখেছে এটিকের গতবারের চ্যাম্পিয়ন দলটাকেই, সাথে যুক্ত হয়েছে কিছু নতুন বড় নাম, যা পার্থক্য গড়ে দিতে পারে সবুজ মেরুন শিবিরের সাথে বাকি ১০ টি দলের।
| Published : Nov 17 2020, 04:24 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
রয় কৃষ্ণা-
গত মরশুমেই ফিজির এই স্ট্রাইকার আইএসএলে নিজের জাত চিনিয়েছেন। দলের হয়ে ১৮ টি ম্যাচ মাঠে নেমে তিনি ১৪ টি গোল করেছিলেন। এবারও গোলের জন্য তার দিকেই তাকিয়ে থাকবেন এটিকে মোহনবাগান সমর্থকরা।
প্রবীর দাস-
বাঙালি এই উইংব্যাক গতবার দলের আইএসএল জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। উইং ধরে তার অসাধারণ দৌড় তার সাথে বুদ্ধিদীপ্ত ক্রস এবং থ্রু বল গুলি যে কোনও ম্যানেজারের সম্পদ। এবছরও এটিকে মোহনবাগানকে সাফল্য এনে দিতে নিজের সবটা উজাড় করে দিতে চাইবেন বাংলার এই ফুটবলার।
তিরি-
গত কয়েক মরশুমে জামশেদপুরের হয়ে দুর্দান্ত ফুটবল খেলার পর তিনি এই মরশুমে ফিরেছেন নিজের পুরোনো ঠিকানায়। ২৯ বছর বয়সী ডিফেন্ডার এটিকের হয়ে আইএসএল জিতেছিলেন। এবছর এটিকে মোহনবাগানকে সাফল্য এনে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ তার সামনে। সন্দেশের সঙ্গে তার জুটি কতটা কার্যকর হয় জানতে আগ্রহী গোটা ভারতীয় ফুটবলমহল।
সন্দেশ ঝিঙ্গান-
চোটের কারণে এক মরশুম ফুটবল থেকে দূরে কাটিয়েছেন। তারপর বিদেশের ক্লাব যাওয়ার কথা চিন্তা-ভাবনা করেও শেষপর্যন্ত যোগ দিয়েছেন এটিকে মোহনবাগানে। কেরালা ব্লাস্টার্সের ডিফেন্সে তার যা ভূমিকা থাকতো তার থেকে এটিকে মোহনবাগানের ভূমিকাটা যে একটু আলাদা হবে তা তিনি ভালো করেই জানেন। কমপ্লিট ডিফেন্ডার হয়ে ওঠার লক্ষ্যে তিনি এই চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। আসন্ন মরশুমে তার কাছ থেকে ভালো পারফরম্যান্স আশা করবেন সবুজ মেরুন সমর্থকরা।
কার্ল ম্যাকহাগ-
গত মরশুমে এটিকের হয়ে মাত্র ৬ টি ম্যাচে মাঠে নামতে পেরেছিলেন তিনি। ১ টি গোল করার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি চান্স তৈরি করেছিলেন সতীর্থদের জন্য। সঙ্গে তার প্রধান কাজ যে ডিফেন্ডিং সেখানেও তাকে স্বচ্ছন্দ দেখিয়েছিল। এখনও অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী এবারে তার ভূমিকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। সবুজ মেরুন জার্সি গায়ে নিজেকে প্রমান করতে মরিয়া একসময় মাদারওয়েলে খেলা এই ফুটবলার।
ডেভিড উইলিয়ামস-
অস্ট্রেলিয়ার এ লিগের ব্রিসবেন রোর থেকে আসা এই অজি ফুটবলার রয় কৃষ্ণার সাথে মিলে গত মরশুমে এটিকে আক্রমণকে অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছিলেন। মোট ১৫ বার মাঠে নেমে তিনি ৫ টি গোল করার পাশাপাশি করিয়েছিলেন ৪ টি গোল। এবারও তার ভালো পারফরম্যান্স আশা করে থাকবেন সমর্থকরা।
জাভি হার্নান্দেজ-
গত মরশুমে ১৭ টি ম্যাচ খেলে ৫ টি গোল করিয়েছিলেন। তার সাথে সাথে মাঝমাঠ থেকে বাড়িয়েছিলেন একাধিক বিপজ্জনক পাস। চলতি মরশুমেও এটিকে মোহনবাগানের মাঝমাঠের গুরুদায়িত্ব থাকবে তার হাতে। সবুজ মেরুন জার্সি গায়ে আরও একটা সুন্দর মরশুম সমর্থকদের উপহার দিতে তৈরি জাভি।
অরিন্দম ভট্টাচার্য-
গত মরশুমে এটিকের তেকাঠির নীচে গ্লাভস হাতে হয়ে উঠেছিলেন অপ্রতিরোধ্য। ১৭ টি ম্যাচ খেলে ৯ টি ম্যাচে কোনও গোল খায়নি এটিকে, তার অন্যতম কারণ ছিলেন তিনি। এই মরশুমে সবুজ মেরুন জার্সি গায়ে সেই এক পারফরম্যান্স ধরে রাখতে মরিয়া তিনি।
সুমিত রাঠি-
গত বছর এটিকে কোচ হাবাস যখন তাঁকে সিনিয়র দলের হয়ে খেলার জন্য তৈরি হতে বলেছিলেন, উত্তেজনায় সেই রাতে ভালো করে ঘুমোতেই পারেননি তিনি। পরে ক্রমে ক্রমে হাবাসের দলে নিজেকে অপরিহার্য করে তুলেছিলেন। একটি ম্যাচে সেরা খোলোয়াড়ের খেতাবও পান তিনি। লিগের সেরা উঠতি তারকার খেতাবও পেয়েছিলেন। ১৪ টি ম্যাচে ১১৫টি ক্লিয়ারেন্স, ১৮টি ব্লক, ১৯টি ইন্টারসেপশন, ২৭টি ট্যাকল করেন তিনি। এই মরশুমেও এটিকে মোহনবাগানের হয়ে নিজেকে উজাড় করে দিতে তৈরি সুমিত।
অ্যান্তোনিও লোপেজ হাবাস-
এটিকের হয়ে তিনি যতটা সফল আইএসএলের ইতিহাসে আর কেউ এত সফল হতে পারেনি। দুবার দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন। একবার খেতাবের অত্যন্ত কাছে পৌঁছিয়ে হয়েছিল স্বপ্নভঙ্গ। নিন্দুকেরা তাকে একগুঁয়ে, জেদি বললেও নিজের চিন্তা ভাবনা নিয়ে কারোর সাথে আপোষ করেন না হাবাস। তার এই চরম পেশাদার মনোভাব অতীতে সাফল্য এনে দিয়েছে। এবারও এমনটাই হোক আশা সবুজ মেরুন সমর্থকদের।