কোল্ড ড্রিংকস, শরবত থেকে ফলের রস আর নয়, গরমে শরীর তাজা করবে একমাত্র এই তরল
- FB
- TW
- Linkdin
'দুধ না খেলে হবে না ভাল ছেলে'-জন্মের ঠিক পর থেকেই এই প্রবাদ যেন মা-ঠাকুমা শিখিয়ে দেন। এবং এই প্রবাদ বলে বলেই একপ্রকার গল্প করে দুধ খাওয়ান ছোট্ট শিশুকে।
শরীর ক্লান্ত লাগলেও ডাক্তাররা দুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন। দুধে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে যা হাড়ের শক্তি বজায় রাখে। সাধারণত, দুধ ঠান্ডা না গরম পান করা উচিত তা নিয়ে মানুষের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে।
গ্রীষ্মকালে, যদি দিনের বেলা ঠান্ডা দুধ পান করা হয়, তবে এই গরমে গ্যাস, পেট জ্বালা এবং অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা দূর করে। এছাড়াও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
ঠাণ্ডা দুধ সবচেয়ে ভালো এনার্জি বুস্টার
গ্রীষ্মকালে, যদি সকালে এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করা হয়, তবে একজন ব্যক্তি সারা দিন উদ্যমী থাকতে পারেন। এই কারণে দুধকে শক্তি বৃদ্ধিকারী হিসাবেও বিবেচনা করা হয়।
বলা হয় গরমকালে নিয়মিত দুধ খান। মূলত, ক্যালসিয়ামের অভাবে ব্যাক পেইনের সমস্যা দূর হবে। নিয়মিত দুগ্ধ জাতীয় খাবার খান। এতে যে কোনও ব্যথার উপসম হবে। দুধে উপস্থিত পটাশিয়াম পেশীগুলিকে শিথিল করে এবং উত্তেজনাপূর্ণ স্নায়ুগুলিকে স্বাভাবিক করে এবং তাদের শক্তিশালী করে।
বেশিরভাগ সময়েই দেখা যায়, সারাদিন কাজের চাপে খাওয়া দাওয়ায় প্রচুর অনিয়ম চলে আসে। রান্নার সময় হাতে খুব কম অগত্যা অনলাইনই ভরসা। আর এই ফাস্ট ফুডই ডেকে আনে গ্যাস-অম্বল। ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে মোকাবিলা করবেন গ্যাস-অম্বলের তা জানলেই বাঁচবেন এই রোগ থেকে।
যাদের অ্যাসিডিটি এবং পেটে জ্বালাপোড়ার সমস্যা আছে তাদের জন্য ঠান্ডা দুধ খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। ঠাণ্ডা দুধ হজম সংক্রান্ত সমস্যার জন্য খুবই উপকারী। এতে এক চামচ ইসবগুল যোগ করলে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যা দূর হয়। গরমে ঠাণ্ডা দুধ পান করলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে।
ঠান্ডা দুধ ত্বক পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বকের টক্সিন দূর করে এবং ত্বককে করে তোলে সুস্থ ও উজ্জ্বল। ঠাণ্ডা দুধ খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় হল সকাল।
ঠাণ্ডা দুধ আপনার মেটাবলিজমকে উন্নত করে এবং এর ফলে শরীর দ্রুত ক্যালোরি পোড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে এটি স্থূলতা কমাতে সহায়ক বলে মনে করা হয়।
তবে ব্যবহার শুরু করার আগে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে ঠাণ্ডা দুধ মানে ফ্রিজে রাখা ঠাণ্ডা দুধ নয়, সাধারণভাবে দুধ ঠান্ডা হতে হবে, তবেই তার উপকার পাওয়া যায়।