প্রজাতন্ত্র দিবসে ফিরছে করাচি পতনের ইতিহাস, ৭১-এর যুদ্ধের স্মৃতিকে টাটকা করবে নৌসেনা
১৯৭১ সালে পাকিস্তানের মেরুদন্ড ভেঙে স্বাধীন দেশ গড়তে রক্তগঙ্গায় স্নান করেছিল ভারত। ১৯৭১-এই ভারত-পাক যুদ্ধে করাচি বন্দরে অত্যন্ত সফল এবং ভয়াবহ হামলা চালিয়েছিল ভারতীয় নৌবহর। একের পর এক মিসাইলের জ্বলে উঠেছিল পাক বন্দর এবং পড়শি দেশের যুদ্ধজয়ের স্বপ্ন। ভারত-পাক যুদ্ধের সময় নৌ অপারেশন-এর মুহূর্তকেই তুলে ধরবে ভারতীয় নৌবাহিনী। ২৬ জানুয়ারি অর্থাৎ প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন দিল্লিতে কুচকাওয়াজ চলাকালীন একাত্তরের যুদ্ধের সময় পুরোনা স্মৃতিকে টাটকা করবে নৌসেনা।
- FB
- TW
- Linkdin
ভারতীয় নৌবাহিনীর ঝকঝকে ক্ষেপনাস্ত্র চালিত একটি ক্ষেপনাস্ত্র নৌকা চিত্রিত করা হবে। টেবিলের সামনে করাচি বন্দরের উপর ক্ষেপনাস্ত্র নৌকা দিয়ে আক্রমণকে তুলে ধরা হবে। এবং বিমান বাহক আইএনএস বিক্রান্তকে সি হক এবং অ্যালাইজ বিমানের সঙ্গে বিমান চালনা পরিচালনা করবে।
১৯৭১ সালের ৪ এবং ৫ ডিসেম্বর করাচি বন্দরে পাক রণতরী ও জ্বালানির গোদাম অ্যান্টিশিপ মিসাইল দিয়ে ধ্বংস করে ভারতীয় রণতরীগুলি। ওই অভিযানের নাম ছিল অপারেশন ট্রাইডেন্ট। ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্র কমান্ডার বিবেক মাধওয়াল বলেছেন, আইএনএস বিক্রান্তের বিমান অভিযানের ফলে পূর্ব পাকিস্তানের জাহাজ ও তীরের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, যা বাংলাদেশের মুক্তির ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রেখেছিল।
তিনি আরও জানিয়েছেন, 'আমরা যখন আমাদের বিজয় উদযাপন করি, আমরা নৌবাহিনীর এই সাহসী ও ত্যাগের কথাও স্বীকার করি যারা নৌ ইতিহাসের এই গৌরবময় অধ্যায়টি লিখেছিলেন। এই ঝকঝকে মহাবীর চক্রের আটটি নৌ পুরষ্কারীর ছবি প্রদর্শন করা হয়েছিল যার মধ্যে একটি মরণোত্তর ছিল'।