- Home
- India News
- প্রজাতন্ত্র দিবসে উড়বে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের 'ডাকোটা' বিমান, জেনে নিন গর্বের ইতিহাস
প্রজাতন্ত্র দিবসে উড়বে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের 'ডাকোটা' বিমান, জেনে নিন গর্বের ইতিহাস
- FB
- TW
- Linkdin
বায়ুসেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ডাকোটা বিমানকে বর্তমান প্রজন্ম সেভাবে না চিনলেও ভারতের সামরিক ইতিহাসে দারুণ তাৎপর্য বহন করে এই বিমান। এটিই ছিল বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হওয়া প্রথম বড়মাপের পরিবহন বিমান। ব্রিটিশদের রেখে যাওয়া ট্রান্সপোর্ট স্কোয়াড্রন-এর অন্তর্ভুক্ত এই বিমানটিকে ১৯৪৬ সালে আইএএফ, তাদের ১২ নম্বর স্কোয়াড্রনে অন্তর্ভুক্ত করেছিল।
প্রাক্তন আইএএফ সদস্য তথা লেখক এয়ার ভাইস মার্শাল অর্জুন সুব্রামণিয়ম জানিয়েছেন, ১৯৪৭-৪৮ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের সময় শ্রীনগর-কে উপজাতি হামলাকারীদের হাত থেকে বাঁচাতে বড় ভূমিকা নিয়েছিল ডাকোটা। শিখ রেজিমেন্টের প্রথম ব্যাটালিয়নটিকে এই বিমানেই শ্রীনগরে পাঠানো হয়েছিল। কার্যত সেই ব্যাটালিয়নের জন্য়ই শ্রীনগর দখল করতে পারেনি পাকিস্তান।
শুধু ১৯৪৭-৪৮-এ শ্রীনগর রক্ষাই নয়, পুঞ্চ সেক্টরও হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা করতে বড় ভূমিকা পালন করেছিল বিমানটি। প্রাক্তন আইএএফ কর্মকর্তাদের মতে, ওই অঞ্চলে পরের কয়েক মাস ধরে রসদ সরবরাহ করা হয়েছিল ডাকোটা বিমানের মাধ্যমে। লেহ বিমানবন্দরেও পাঠানো হয়েছিল এই সামরিক পরিবহন বিমান।
১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় ভারতের হাতে এসে গিয়েছিল রাশিয়ার এএন-১২ সামরিক পরিবহন বিমান। তাই মূল ভূমিকায় ছিল না ডাকোটা। কিন্তু, তা সত্ত্বেও এই প্রাচীন সামরিক পরিবহন বিমানটি এমন কিছু নির্দিষ্ট ভূমিকা পালন করেছিল, যা যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি অনেকটাই বদলে দিয়েছিল। যেমন, ১৯৭১-এর ১১ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরের শহর টাঙ্গাইল-এ ডাকোটা থেকে প্যারাস্যুটে করে বাংলাদেশের মাটিতে নেমেছিল ভারতীয় সেনা। কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল তা? এর মাত্র ৫ দিন পর, ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করেছিল পাক সেনা।
১৯৮৮ সালে পর্যায়ক্রমে ডাকোটা বিমান-কে ভারতীয় বায়ুসেনা থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়। তার জায়গায় ভারতের মূল সামরিক পরিবহণের দায়িত্ব নেয় 'অভ্র' বিমানগুলি। দীর্ঘদিন বাদে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে দেখা যাবে বিমানটিকে।
যে ডাকোটা বিমানটি আসন্ন প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে উড়বে, সেটি আইএএফ-কে উপহার দিয়েছেন বিজেপি-র রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখর। প্রসঙ্গত রাজীব চন্দ্রশেখর এয়ার কমোডর (অবসরপ্রাপ্ত), এমকে চন্দ্রশেখর-এর পুত্র। এয়ার কমোডর (অবসরপ্রাপ্ত), এমকে চন্দ্রশেখর নিজে একসময় আইএএফ-এর হয়ে ডাকোটা উড়িয়েছেন।
কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়া ডাকোটা বিমানটিকে রাজীব চন্দ্রশেখরের উদ্যোগে, ৬ বছর ধরে মেরামত করে ফের ওড়ার উপযোগী করে তোলা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের রিফলাইট এয়ার ওয়ার্কস লিমিটেড এই মেরামতের কাজ করেছে। খরচ পড়েছে প্রায় ৫৮ কোটি টাকা, এমনটাই জানা গিয়েছে।