৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবসের এমন কিছু অমর উক্তি যা আমাদের গর্বিত করে আজও
৭২ তম সাধারণতন্ত্র দিবস বা প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হচ্ছে সারা দেশ জুড়ে। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি তারিখে ভারত শাসনের জন্য ১৯৩৫ সালের ভারত সরকার আইনের পরিবর্তে ভারতীয় সংবিধান কার্যকরী হওয়ার ঘটনাকে স্মরণ করে। এটি ভারতের একটি জাতীয় দিবস। এই বিশেষ দিন সম্বন্ধে দেশের মহান ব্যক্তিত্বরা এমন কিছু উক্তি করেছেন, যা আজও প্রতিটি ভারতবাসীর কাছে গর্বের।
- FB
- TW
- Linkdin
জওহরলাল নেহরু বলেছিলেন, নিয়তির সঙ্গে বন্ধিত হোন
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু বলেছিলেন, তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব
বাল গঙ্গাধর তিলক বলেছিলেন,স্বরাজ আমার জন্মগত অধিকার
মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন, একটা রাষ্ট্রের সংস্কৃতি তার জনগণের হৃদয় এবং আত্মার মধ্যে বাস করে
ইন্দিরা গান্ধী বলেছিলেন, রাষ্ট্রের সেবা করতে গিয়ে যদি আমার মৃত্যুও হয়, তাহলে আমি গর্ববোধ করব। আমার প্রতিটা রক্তবিন্দু...এই রাষ্ট্রের উন্নতিতে কাজে লাগবে এবং দেশকে আরও শক্তিশালী ও বৈচিত্রময় করে তুলবে।
অটলবিহারী বাজপেয়ী বলেছিলেন, সাহসী নারী-পুরুষের অভাব নেই ভারতে, যদি তাঁরা সুযোগ ও সাহায্য পায় তাহলে আমরা মহাকাশ অন্বেষণে অন্যান্য দেশকেও প্রতিযোগিতায় ফেলতে পারি এবং তারা তাঁদের স্বপ্ন পূরণ করতে সমর্থ হবে।
বি আর অম্বেদকর বলেছিলেন, আমি অনুভব করি এই সংবিধান খুবই বাস্তবসম্মত,এটা অত্যন্ত সহনশীল এবং দেশকে শান্তি ও যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সংঘবদ্ধ রাখাতে প্রবল শক্তিশালী, তথাপি, যদি আমাকে বলতে হয় নতুন সংবিধানের অধীনে কিছু খারাপ হচ্ছে, তাহলে ধরে নিতে হবে এটা খারাপ সংবিধানের জন্য নয়, আমাদের বলতে হবে যে মানুষটাই খারাপ।
সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বলেছিলেন, প্রতিটি ভারতীয়-কে এখন ভুলে যেতে হবে যে সে রাজপুত, শিখ অথবা একজন জাঠ। তাকে বরং মনে রাখতে হবে সে একজন ভারতীয়।
এপিজে আব্দুল কালাম বলেছিলেন, দেওয়ার মতো ইচ্ছে থাকতে হবে, ভিন্ন ভাবনা পোষণের মতো উৎসাহ থাকতে হবে, আবিষ্কারের নেশা থাকতে হবে, অসম্ভবকে সম্ভব করার মতো অন্বেষণের ইচ্ছে থাকতে হবে, অজানার পথে যাওয়ার ইচ্ছে থাকতে হবে, জ্ঞান ভাগ করার ইচ্ছে থাকতে হবে, ব্যাথা-বেদনা দূরে সরিয়ে ফেলতে হবে, অপূরণীয় লক্ষ্যে পৌঁছনোর ক্ষমতা দেখাতে হবে, সমস্যার বিরুদ্ধে লড়ার শক্তি ধারণ করতে হবে, উত্তরসূরির আসন নেওয়াটা যৌবনের গুণ।
ভগৎ সিং বলেছিলেন, আইনের পবিত্রতা ততক্ষণই পর্যন্ত রক্ষা করা সম্ভব যতক্ষণ পর্যন্ত এটা মানুষের ইচ্ছাকে প্রকাশ করে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, চিত্ত যেথা ভয় শূন্য উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর, আপন প্রাঙ্গণতলে দিবসশর্বরী, বসুধারে রাখে নাই খণ্ড ক্ষুদ্র করি, যেথা বাক্য হৃদয়ের উৎসমুখ হতে, উচ্ছ্বসিয়া উঠে, যেথা নির্বারিত স্রোতে দেশে দেশে দিশে দিশে কর্মধারা ধায়, অজস্র সহস্রবিধ চরিতার্থতায়।
চন্দ্রশেখর আজাদ বলেছিলেন, যদি তোমার রক্ত চঞ্চল এবং বিদ্রোহী না হয়ে ওঠে, তাহলে ধরতে হবে তোমার শিরায় জল বয়ে বেড়াচ্ছে। তাহলে এমন তারুণ্যের উদ্দামতার মানে কী, যদি একে মাতৃভূমির জন্য না উৎসর্গ করা যায়।