খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ১০টি খাবার, কিডনি সুস্থ থাকবে এই কয়টি খাবারের গুণে
আধুনিকতার দৌড়ে জীবনযাত্রা বদলেছে সকলের। এর প্রভাব পড়ছে আমাদের শরীরের ওপর। আজকাল অধিকাংশই নানান রোগে ভুগছেন। ওবেসিটি (Obesity), ডায়াবেটিস (Diabetes), হাইপার টেনশন (Hypertension) , কোলেস্টেরল মতো সমস্যা। এসবের সঙ্গে স্ট্রেস (Stress) তো আছেই। এর সঙ্গে দেখা দেয় কিডনির রোগ। ছোট বয়সেও দেখা দিচ্ছে কিডনির রোগ। এই কঠিন রোগ থেকে বাঁচতে পরিবর্তন করুন খাদ্যতালিকা। রইল ১০টি খাবারের হদিশ। যা কিডনির রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে।
- FB
- TW
- Linkdin
লাল আঙুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফ্লাভনয়েড। যা রক্ত সঞ্চালন স্বভাবিক রাখে। ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। ভিটামিন সি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে এতে যা কিডনির রোগ দূর করে। গবেষণা বলছে, যারা অধিক নুন খান তাদের কিডনির রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। নুন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। যার থেকে দেখা দেয় কিডনির রোগ।
প্রতিদিন একটি করে আপেল খান। নিয়মিত আপেল খাওয়ার অভ্যাস করলে তা কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে, হৃদরো ও ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। তাই নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখুন একটি করে আপেল। এই ফল সারা বছর পাওয়া যায়। এতে এমন কিছু উপকারী উপাদান আছে যা শরীরকে সুস্থ রাখে।
মাছকে বলা হয় প্রোটিনের উৎস। প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে মাংসের চেয়ে মাছের ভূমিকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের পাশে মাছে রয়েছে ওমেগা ৩। যা কিডনি ভালো রাখে। এছাড়াও, খেতে পারে ওমেগি ৩ যুক্ত খাবার। একাধিক খাবার ওমেগা থ্রি পরিপূর্ণ। এই উপাদান যেমন কিডনি সুস্থ রাখে, তেমনই দূর করে একাধিক রোগ।
ভিটামিন সি, কে এবং বি তে পরিপূর্ণ ফুলকপি। এছাড়া এতে সোডিয়াম, পটাশিয়াম এবং ফসফরাস থাকে। যা নির্দিষ্ট পরিমাণ খেলে কিডনির সমস্যা সমাধান করে। গবেষণায় জানা গিয়েছে, বিভিন্ন পেইন কিলার জাতীয় ওষুধ থেকে কিডনিতে খারাপ প্রভাব পড়ে। তাই কিনডি সুস্থ রাখতে নিয়মিক ফুলকপি খেতে পারেন। তবে, বেশি তেল-মশলা দিয়ে ফুলকপি রাঁধলে লাভ নেই। এমন ভাবে রান্না করুন, যাতে এর পুষ্টিকর উপাদান নষ্ট না হয়।
জামে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট কিডনির জন্য উপতারী। এতে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস থাকে। যা কিডনি ভালো রাখে। নিয়মিত খেতে পারেন কালো জাম। ওবেসিটি (Obesity), ডায়াবেটিস (Diabetes), হাইপার টেনশন (Hypertension) , কোলেস্টেরল মতো সমস্যা থেকেও কিডনির রোগ দেখা দেয়। তাই এই ফল খেলে উপকার পাবেন।
খেতে পারেন পালং শাক। এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, সি ও কে থাকে। যা বিটা ক্যারোটিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। শীতে অনেকেই পালং শাক দিয়ে বিভিন্ন পদ রাঁধেন। শুধু সুস্বাদু নয়, সঙ্গে উপকারীও এই শাক। যা কিডনিকে রক্ষা করে থাকে।
কিডনি ভালো রাখতে রসুন খেতে পারেন। এতে থাকে ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি। এগুলো কিডনির রোগ নিরাময় করে। জল কম খাওয়া, ধূমপান ও মদ্যপানের জন্য কিডনিতে খারাপ প্রভাব পড়ে। তাই নিয়মিত রসুন খান। রোজ খালি পেটে ১ কোয়া রসুন খেলে উপকার পাবেন। মুক্তি পাবেন কঠিন এই রোগ থেকে।
ফ্লাভনয়েডে পরিপূর্ণ পেঁয়াজ। যা রক্তনালীতে চর্বি জমা প্রতিহত করে। এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট কিডনি জনিত উচ্চরক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই রোজ কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পারেন। এই পেঁয়াজের গুণে কিডনির রোগ দূর হবে। তেমনই চুলের জন্য বেশ উপকারী পেঁয়াজের রস। নিয়মিত পেঁয়াজের রস ব্যবহারে যেমন দূর হয় অকাল পক্কতা তেমনই নতুন চুল গজায়।
কিডনি সুস্থ রাখতে ক্যাপসিকামের বিকল্প নেই। ভিটামিন ও, সি, বি৬, ফলিড এসিড ও ফাইবারে পরিপূর্ণ ক্যাপসিকাম। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সডেন্ট লাইকোপিনের প্রধান উপাদান। যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। তবে, কিডনির রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে সবার আগে ডাক্তারি পরামর্শ নিন। ডাক্তারি পরামর্শ মেনে ওষুধ খেলে অবশ্যই সুস্থ থাকবেন।
সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে রোজ ডিম খাওয়া দরকার। এতে থাকে পর প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি। যা কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করে। সঙ্গে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন প্রক্রিয়াজাত খাবার। এই ধরনের খাবারে অধিন নুন ও চিনি থাকে। যা কিডনির ক্ষতি করে। তাই সুস্থ থাকতে সবার আগে বদল করুন খাদ্যতালিকা। পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণে শরীর সুস্থ থাকবে।