রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে মেনে চলুন এই সহজ পদ্ধতি, জেনে নিন কী করলে মাথা ঠান্ডা হবে
আপনার ধৈর্যের অভাব বারে বারে বিপদে ফেলে আপনাকে। একটুই রেগে যাওয়া, রাগের মাথায় ভুল মন্তব্য করে বারে বারে বিপদে পড়েন। এই খারাপ অভ্যেস বা স্বভাব আপনার জীবনে বড় বিপদ ডেকে আনছে, একথা নিজেও ভালো বোঝেন। কিন্তু, কী করবেন বুঝে উঠতে পারেন না। যতই চেষ্টা করুন মাথা ঠান্ডা রাথান, কারও সঙ্গে আপনার মতের অমিল হলেই আপনার মাথা গরম হয়ে যায়। আজ রইল বিশেষ ১০ টিপস। রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে এই কয়টি জিনিস মেনে চলুন। তা না হলে, ধীরে ধীরে আপনার সব কাছের লোক দূরে চলে যাবে। জেনে নিন কী করবেন, কী করবেন না।
| Published : Jun 29 2022, 09:54 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
কথা বলার আগে বিবেচনা করুন। না জেনে মন্তব্য করা অনেকের স্বভাব। অধিকাংশই বিবেচনা না করে মন্তব্য করে ফেলেন। এতে পরে আফসোস হয়। ভুল মন্তব্য করবেন না। আগে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করুন। তবেই মন্তব্য করুন। যে কোনও বিষয় কোনও পরিস্থিতি পুরো জেনে নিলে রাগ কম হবে।
আপনার সঙ্গে কারও মতের মিল হতেই পারে, সব সময় আপনি ঠিক এমন হতে পারে না। এটা নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। আর সব ক্ষেত্রে নিজের সুবিধা দেখলেই হবে না। অন্যের কথা বোঝার চেষ্টা করুন। তা না হলে রাগ আসবেই। আর রাগ করে ভুল মন্তব্য করে বা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেই বিপদে পড়বেন।
কখনও, তর্ক করবেন না। হতেই পারে আপনার বিপরীতে থাকা মানুষটা আপনাকে ভুল বুঝেছে। বা সে মাথা গরম করে ভুল কথা বলছে। এই সময় নিয়ে চুপ করে যান। ভুলেও তর্কে জড়াবেন না। তর্ক করতে গিয়ে মুখ থেকে খারাপ কথা বের হলে তা সম্পর্কে নেগেটিভ প্রভাব ফেলবে।
আপনার যদি মাথা গরম করা স্বভাব হয় কিংবা আপনি নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ঝগড়া থেকে সরে যান। যখনই দেখবেন পরিস্থিতি খারাপ দিকে যাচ্ছে তখন সেখান থেকে সরে যান। কারও খারাপ মন্তব্য না শুনলে আপনার রাগ হওয়ার কথা নয়। তাই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন।
অকারণ চাপ নেবেন না। অফিসে কোনও কাজের চাপ বাড়তেই পারে। কিন্তু, আগে থেকে ভয় পাবেন না। এতে মানসিক অস্থিরতা তৈরি হয়। যার প্রকাশ ঘরে রাগের মাধ্যমে। আগে যে কোনও পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করুন। দায়িত্ব বাড়লে মাথা শান্ত রাখুন। সব সমস্যার সমাধানের পথ আছে, এটা নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করুন।
আক্রমনাত্মক ভঙ্গিতে কথা বলা অনেকের স্বভাব। এক্ষেত্রে আপনি কাউকে সঠিক কথা বললেও, লোকে আপনাকে ভুল বুঝবে। আপনার এমন স্বভাব থাকতে তা বদল করুন। তা না হলে নিজেই বড় বিপদে পড়বেন। প্রতিটি মানুষের কথা বলার ভঙ্গি সঠিক হওয়া দরকার। তা না হলে, আপনার আচরণের অন্য দুঃখ তো পাবেই সঙ্গে আপনাকে ভুল বুঝবে।
কারও প্রতি রাগ জমিয়ে রাখবেন না। হতেই পারে কারও প্রতি আপনার ক্ষোভ আছে, তা কথা বলে মিটমাট করে নিন। এটা মনে জমিয়ে থাকলে, পরে অন্য কোনও পরিস্থিতিতে ভুল প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে। তাই মনের মধ্যে কোনও ক্ষোভ, আক্ষেপ ও রাগ জমতে দেবেন না। তা না হলে ছোট খাটো ব্যাপারে রাগ হতে পারে।
রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে খাবার খান। ফ্রিজে সব সময় মুখরোচক খাবার মজুত থাকে। যদি দেখেন একেবার রাগ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন না তখন পছন্দের খাবারে কামড় বসান। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এতে সহজে রাগ কম হয়। এই টোটকা বেশ উপকারী। যে কোনও জটিল পরিস্থিতি এই উপায় সামলে নিতে পারেন।
সারা দিনে যতটা পারবেন শারীরিক ভাবে অ্যাক্টিভ থাকুন। কাজের চাপে ঘন্টার পর এক জায়গায় বসে কাটে। এতে বাড়ছে মেদ। তেমনই মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। তার বহিঃপ্রকাশ হল রাগ। তাই রোজ যতটা পারবেন শারীরিক ভাবে অ্যাক্টিভ থাকুন। এতে রাগ থাকবে নিয়ন্ত্রণে। সঙ্গে শরীর থাকবে সুস্থ।
রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে রোজ মেডিটেশন করুন। রাগের বসে যেমন ভুল কথা বললে সম্পর্কে খারাপ প্রভাব পড়ে। তেমনই এর প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরেও। তাই নিয়মিত মেডিটেশন করুন। এতে রাগ কম হবে। সঙ্গে স্ট্রেস থেকেও মুক্তি পাবেন। স্ট্রেসের কারণে একাধিক জটিলতা দেখা দেয়। শারীর ও মানে খারাপ প্রভাব পড়ে। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস।