বর্ষায় বজায় থাকুক শারীরিক সুস্থতা, রোগ মুক্তি থাকতে মেনে চলুন এই ১০টি টিপস
কখনও ঝেঁপে আসছে বৃষ্টি তো কখনও চড়া রোদে নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা। প্রকৃতির এই খেলায় দেখা দিচ্ছে নানান শারীরিক জটিলতা। এই বর্ষার মরশুমে অধিকাংশ ভুগে থাকেন নানান শারীরিক সমস্যায়। এই তালিকায় সবার আগে আসে পেটের সমস্যা। বর্ষা কালে ডায়রিয়ার মতো সমস্যা খুবই সাধারণ বিষয়। এর থেকে মুক্তি পেতে চাইলে ওষুধ নয়, বরং খাদ্যতালিকায় নজর দিন। বর্ষার মরশুম কয়টি খাবার ভুলেও খাবেন না। এই ধরনের খাবার সহজে হজম হয় না। আর এর থেকে পেটের সমস্যা দেখা দেয়। তেমনই এই সময় দেখা দেয় ত্বকের সমস্যা। এই সময় সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস। সঙ্গে মেনে চলুন বিশেষ নিয়ম। জেনে নিন কী কী করবেন, কী করবেন না।
- FB
- TW
- Linkdin
বর্ষার সময় সব সময় জল ফুটিয়ে খাবেন। জল থেকে জীবাণু সহজে শরীরে প্রবেশ করে। এতে পেটের সমস্যা হয়। দিনে ৭ থেকে ৮ গ্লাস জল খাবেন। জল শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়। এই সময় সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত জল খান। এতে ডাহাইড্রেশনের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন। পর্যাপ্ত জল সুস্থ রাখবে আপনাকে।
এই সময় যতটা পারবেন দোকানের খাবার কম খান। ফার্স্টফুড, ভাজাভুজি এমনকী প্রসেসড খাবার যতটা পারবেন কম খান। এতে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে। তাছাড়া অপরিষ্কার দোকান থেকে ভুলেও খাবার খাবেন না। এতে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যতটা পারবেন বাড়ির খাবার খান। এই ধরনের খাবারে অধিক নুন ও চিনি থাকে। সঙ্গে এমন কিছু উপাদান থাকে যা সহজে হজম হতে চায় না।
বর্ষার মরশুমে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান। এই ধরনের খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। এতে চট করে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তাই এই সময় খাদ্যতালিকায় এমন খাবার রাখুন যা ভিটামিন সি-তে পরিপূর্ণ। খেতে পারেন কয়টি বিশেষ ফল। যা ভিটামিন সি পরিপূর্ণ।
খাওয়ার আগে ভালো করে ফল ও সবজি ধুয়ে নিন। বাড়িতে ফল বা সবজি কিনে এনে তা একটি বাটিতে রাখুন। এবার সেই বাটিতে ঠান্ডা জল ঢেলে দিন। কিছুক্ষণ ঠান্ডা করে ভিজিয়ে রাখতে পারেন। অথবা নুন জলে সবজি ভিজিয়ে রাখুন। এতে সবজি বা ফলের গায়ে জীবাণু লেগে থাকলে তা সহজে দূর হবে।
রাস্তায় পানীয় খাবেন না। রাস্তায় ফলের শরবত খেতে পছন্দ করেন অনেকে। কিন্তু এই বর্ষায় তা না খাওয়াই ভালো। শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে দোকানের কাটা ফল না খাওয়াই ভালো। এতে দেখা দিতে পারে শারীরিক জটিলতা। সুস্থ থাকতে চাইলে বর্ষার মরশুমে এই কথা মাথায় রাখুন
বর্ষার মরশুমে অবশ্যই পোশাক ইস্ত্রি করে পরুন। বর্ষার সময় ইস্ত্রি করে পরলে তাতে জীবাণু থাকার সম্ভাবনা কম । তাই সব সময় মেনে চলুন এই টোটকা। বর্ষায় জামা-কাপড়ে ছত্রাক জন্মে থাকে। কিন্তু, ইস্ত্রি করে পরলে সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। মেনে চলুন এই বিশেষ জিনিস। বজায় থাকবে শারীরিক সুস্থতা।
সারাদিন বৃষ্টির জন্য বর্ষায় জামা শুকনো হয় না। এর থেকে জীবাণু জন্মানোর সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। বর্ষার মরশুমে ঘরের মধ্যে দড়ি টাঙিয়ে অনেকে জামা শুকনো করেন। এমন কাজ না করাই ভালো। প্রয়োজনে ওয়াশিং মেশিনে জামা কাচার পর তা ধুয়ে নিন। এতে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
স্নানের জলে জীবাণুনাশক দিন। স্নান করার সময় এই উপাদান মিশিয়ে তবেই স্নান করুন। তা হলে জীবাণু থেকে মুক্তি পাবেন। স্নান সময় সঠিক ও পরিশুদ্ধ জলের ব্যবহার শরীর রাখবে সুস্থ। এই সময় সুস্থ থাকতে অবশ্যই সঠিক জলের ব্যবহার করুন। আর চেষ্টা করুন জীবাণু মুক্ত জীবনযাপন করতে।
বর্ষার সময় পেটের সমস্যা, ত্বকে সংক্রমণের মতো সমস্যা দেখা দেয়। এর থেকে মুক্তি পেতে না জেনে ওষুধ খাবেন না। ভুল ওষুধ থেকে শারীরিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। এবার থেকে না জেনে ওষুধ খাওয়ার অভ্যেস থাকলে তা ত্যাগ করুন। সুস্থ থাকতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বর্ষায় পেটের সমস্যা যেমন দেখা দেয়, তেমনই দেখা দেয় ত্বকের সমস্যা। এই সময় সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস। সঙ্গে মেনে চলুন বিশেষ নিয়ম। সঠিক জীবনযাত্রায় আপনি থাকবেন রোগ মুক্ত। আর কোনও রকম শারীরিক জটিলতা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।