- Home
- Lifestyle
- Health
- ঠাণ্ডা না গরম কোন দুধ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, জানলে পরিবর্তন করবেন পান করার পদ্ধতি
ঠাণ্ডা না গরম কোন দুধ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, জানলে পরিবর্তন করবেন পান করার পদ্ধতি
বর্তমানের দ্রুততর জীবনযাত্রায় মানুষের সঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া করার সময়ও থাকে না। এর ফলে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে ফাস্টফুড খাওয়ার প্রবণতাও। অস্বাস্থ্যকর খাওয়া এবং অতিরিক্ত কাজের চাপের কারণে স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এর ফলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। কোনও কাজ করতে গেলে সব সময় অলসতা কাজ করে। এই সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন আপনি খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে ল্যাকটোজ জাতীয় খাদ্য বা দুধ পান করা উচিৎ। এটি ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন ডি এর খুব ভাল উত্স তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ঠাণ্ডা না গরম দুধ বেশি উপকারি তা জেনে নেওয়া যাক।
- FB
- TW
- Linkdin
দুধ পান করা আমাদের সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দুধ শরীরে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ করে।
দুধ ঠান্ডা বা গরম, দু'ভাবেই পান করার ভিন্ন সুবিধা রয়েছে। কীভাবে দুধ খাওয়া উচিত তা জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
গরম দুধ পান করার সুবিধা হল এটি সহজে হজম হয়। অন্যদিকে, যদি আপনি ল্যাকটোজ হজম না করেন পারেন, তবে ঠান্ডা দুধ পান করবেন না কারণ এটি হজম করা আপনার পক্ষে কঠিন হতে পারে।
আপনার যদি স্লিপ অ্যাপনিয়া থাকে তবে আপনি ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধ পান করতে পারেন। দুধে ট্রিপটোফান নামের একটি অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে যা সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন নামে একটি রাসায়নিক তৈরি করে যা আপনাকে আরও ভাল ঘুম পেতে সহায়তা করে।
ঠান্ডা দুধ পেটে অম্লতাজনিত জ্বালা থেকে মুক্তি দেয়। খাওয়ার পরে আধ গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ঠান্ডা দুধ পান করে আপনার শরীরে জলের অভাব হয় না। ঠাণ্ডা দুধ পান করার সবচেয়ে ভাল সময়টি হল সকালে। তবে আপনি যদি ফ্লু এবং সর্দিতে ভুগছেন তবে ঠান্ডা দুধ পান করা এড়িয়ে চলুন।
চিকিত্সকরা বলেছেন যে খুব বেশি গরম দুধ পান করা উচিত নয়, পরিবর্তে হালকা গরম দুধ খাওয়া উচিত।
একই ভাবে আবার রেফ্রিজারেটর থেকে বার করেই ঠাণ্ডা দুধ পান করা উচিত নয়, ঘরোয়া তাপমাত্রায় কিছুক্ষণ রেখে তবেই পান করা উচিত।
তবে যে কোনও সমস্যা বা দুধ পানের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।