অবিশ্বাস্য, জানতেন কি এই ৫ নিরামিষ খাদ্যে রয়েছে ডিমের চেয়ে বেশি প্রোটিন
- FB
- TW
- Linkdin
আমাদের শরীরের জন্য একটি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন। এটি আপনার পেশী, চুল এবং দেহের অনেকগুলি অংশে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে সহায়তা করে।
তবে প্রয়োজনের তুলনায় যদি বেশি পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ করা হয় তবে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাকৃতিক বা ভেসজ প্রোটিন বেশি উপকারী, তাই আপনার সাবধানে প্রোটিন পরিপূরক খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।
ছোলা- একটি ডিমের মধ্যে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। ছোলা জাতীয় খাদ্যতেও থাকে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন। হাফ কাপ ছোলা বা চানা ডাল থেকে প্রায় এক গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। আপনি সাদা ছোলা বিভিন্ন উপায়ে খাদ্য তালিকায় জুড়ে নিন আর মিটিয়ে নিন প্রোটিনের ঘাটতি।
সাবুদানা- সাবুদানা একটি ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য। মাত্র এক কাপ সাবুদানাতে প্রায় ৭ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। যা আপনার অন্ত্রকে সুস্থ রাখতে দারুণ কার্যকর। তাই এটি জলে ভিজিয়ে রেখে সালাদ বা খিঁচুড়ি রান্না করেও খেতে পারেন।
আমন্ড বাটার- আমন্ড বাদামের মাখন বা বাটারও প্রোটিনের একটি ভাল উৎস হিসাবে পরিতিত। এর ২ টেবিল চামচ বাটারে প্রায় ৭ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এটি ব্যায়াম বা শরীরচর্চার আগে খেলে বেশী উপকার পাওয়া যায়। কারণ এটি শক্তির খুব ভাল উৎস।
মসুর ডাল- মুসুর ডাল উদ্ভিজ প্রোটিনের অন্নতম একটি উৎস এই কথা আমাদের সকলের জানা। হাফ কাপ মসুরের ডালে প্রায় ৮ গ্রাম মত প্রোটিন পাওয়া যায়। এই ডাল অন্যান্য ডালের তুলনায় দ্রুত রান্না করা যায় এভং তুলনামূলক সস্তা। তাই ডিমের পাশাপাশি সস্তার অন্য একটি প্রোটিনের উৎস হিসেবে মনে করা হয় মুসুর ডালকে।
কুমড়োর বীজ- এই বীজ বা দানা স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। প্রায় ৩০ গ্রাম কুমড়োর বীজে ৮ গ্রামেরও বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়। এছাড়াও এটি আয়রন, দস্তা, তামা, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং সেলেনিয়ামের খুব ভাল উৎস। বিভিন্ন ভাবে রান্নায় যোগ করে এই বীজের থেকে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে পারবেন সহজেই।