- Home
- Lifestyle
- Health
- ওয়ার্ক ফ্রম হোমে কাজের চাপে সমস্যা দেখা দিচ্ছে ঘুমে? রইল অনিদ্রাজনিত সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়
ওয়ার্ক ফ্রম হোমে কাজের চাপে সমস্যা দেখা দিচ্ছে ঘুমে? রইল অনিদ্রাজনিত সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়
- FB
- TW
- Linkdin
প্রথম দিকে সমস্যা হলে বর্তমানে অনেকেই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে এই পন্থায়। বাড়ি বসেই অফিসের মতো ৯ ঘন্টার ডিউটি করছেন। বর্তমানে বহু আইটি কোম্পানি এখনও এই পন্থায় কাজ করে চলেছেন। ওয়ার্ক ফ্রম হোমের যেমন একাধিক সুবিধা আছে, তেমনই অসুবিধা রয়েছে বিস্তর। দীর্ঘক্ষণ এক ভাবে বসে কাজ করার জন্য যেমন শারীরিক জটিলতা দেখা দিচ্ছে, সঙ্গে বাড়ছে মানসিক সমস্য।
অফিসে থাকতে আরও পাঁচটা কর্মীর সঙ্গে দেখা হয়, কথা হয়। তার সঙ্গে অফিস যাওয়া-আসা করতে একটা শারীরিক পরিশ্রম হয়। কিন্তু, বাড়ি থেকে কাজ করার অর্থ গোটা দিন কাটে ল্যাপটপে মুখ গুণে। এতে শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে যেমন ওজন বাড়ে, তেমনই একঘেঁয়ে জীবনের খারাপ প্রভাব পড়ছে মনে। অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছেন অনেকে।
ওয়ার্ক ফ্রম হোমের জন্য অনেকেই অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছেন। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সবার আগে রুটিন বানান। আপনার অফিসের শিফট কটা থেকে থাকবে, তা আপনি নিশ্চয়ই আগেই জেনে গিয়ে থাকেন। সেই অনুসারে প্ল্যান করে নিন। অফিসের কাজের সময়, খাওয়ার সময়, টিভি দেখার সময় আর ঘুমের সময় হিসেব করে একটি রুটিন বানান। এতে উপকার পাবেন।
বাড়িতে আছেন বলে বারে বার কফি খাচ্ছেন। সপ্তাহান্তে রোজই চলছে পার্টি। সেখানে অত্যাধিক মদ্যপান আর এর সঙ্গে ধূমপান তো আছেই- সুস্থ জীবনযাপন করতে চাইলে সবার আগে এই কয়টি অভ্যেস ত্যাগ করুন। ধূমপান, মদ্যপান ও কফির খাওয়ার খারাপ প্রভাব পড়ে ঘুমে। সঠিক ঘুম না হলে বাড়ে শারীরির জটিলতা।
রোজ সকালে ব্যয়াম করুন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ওয়ার্ক ফ্রম হোম পন্থায় কাজের চাপ বেশি থাকে। এর জন্য বাড়ছে মানসিক চাপ। এর প্রভাবে অনিদ্রাজনিত সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এক্সারসাইজ করুন। মেডিটেশনও করতে পারেন। এতে উপকার পাবেন। মানসিক সুস্বাস্থ্য বজায় থাকলে কাজের গুণগত মানও বৃদ্ধি পাবে।
কাজ শেষে অনেকের অল্প সময় ঘুমানোর অভ্যেস আছে। আবার সারা দিনে সুযোগ পেতে অনেকে ৫ থেকে ১০ মিনিট ঘুমিয়ে নেন। এমন অভ্যেস ত্যাগ করুন। রাতে সঠিক সময় ঘুমাতে যান। কিন্তু, বারে বারে এমন ঘুমাবেন না। এতে শারীরিক জটিলতা আরও বৃদ্ধি পাবে। রোজ মেনে চলুন এই টোটকা।
অফিসের কাজ প্রায় ৯ থেকে ১০ ঘন্টা। অনেকেই এই সময় খাটে বসে কাজ করেন। টেবিল নিয়ে বসে পড়েন খাটে। জানেন কি এতে বাড়ে শারীরিক জটিলতা। দীর্ঘক্ষণ খাটে বসে কাজ করা মোটেও ভালো নয়। আর কাজের ফাঁকে বারে বারে ওঠা প্রয়োজন। একভাবে বসে থাকার জন্য বাড়ে শারীরিক জটিলতা। যার প্রভাব পড়ে ঘুমের ওপর।
ঘুমানো ২ ঘন্টা আগে কাজ থেকে বিরতি নিন। অফিসের কাজ সময় মতো শেষ করুন। কাজ শেষে অফিসের মেইল দেখা কিংবা কোনও রিপোর্ট তৈরির মতো কাজ ফেলে রাখবেন না। এই ধরনের কথা সারাক্ষণ মাথায় চলতে থাকলে ঘুমে ব্যঘাত ঘটবেই। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে ঘুমাতে যাওয়া ২ ঘন্টা আগে থেকে মোবাইল, ল্যাপটপ ও টিভি থেকে দূরে থাকুন।
ঘুমানোর আগে স্নান করলে ঘুম ভালো হয়। যারা দীর্ঘদিন ধরে অনিদ্রা জনিত সমস্যায় ভুগছেন তারা মেনে চলতে পারেন এই টোটকা। ঘুমের কিছুক্ষণ আগে স্নান করে নিন। এতে ঘুম ভালো হবে। যারা দীর্ঘদিন ধরে এমন সমস্যায় ভুগছেন তারা এই টোটকা পালনে উপকার পাবেন। আর বিছানায় শোওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে ঘুম না আসলে বই পড়ুন।
এবার থেকে মানসিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে মেনে চলুন এই টোটকা। বর্তমানে অধিক কাজের চাপের জন্য স্ট্রেসের সমস্যায় ভুগছেন সকলে। এই স্ট্রেস থেকে দেখা দিচ্ছে একাধিক জটিলতা। অধিকাংশই আজ ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে রোজ এই কয়টি টোটকা। এতে অনিদ্রা জনিত সমস্যা থেকে যেমন মুক্তি পাবেন, তেমনই মুক্তি পাবেন একাধিক শারীরিক জটিলতা থেকে।