কাজের চাপে নিয়মিত কমছে ঘুমের সময়, বাড়তে পারে এই মারাত্মক সমস্যাগুলি
শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ঠিকঠাক রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু কম ঘুমানোর মতোই বেশি ঘুমানোটাও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আবার শৈশবে, কৈশোরে, তারুণ্যে, যৌবনে আর বার্ধক্যে ঘুমের চাহিদাও আলাদা আলাদা। অথচ প্রতিদিন কাজের চাপে কমে আসছে আমাদের ঘুমের সময়। সঠিক সময়ে শুয়েও কিছুতেই ঘুম হচ্ছে না। নানান চিন্তা ভাবনার ফলে প্রায় সারারাত পেরিয়ে ভোর হয়ে আসছে, তাও ঘুমের দেখা নেই। এই সমস্যা যদি আপনার প্রায়ই চলতে থাকে তবে আপনার সামনে অপেক্ষা করছে মহা বিপদ। বিপদে পড়ার আগেই সাবধান হোন। নিয়মিত কম ঘুমোতে থাকলে হতে পারে নানান সমস্যা, জেনে নিন এগুলি।
- FB
- TW
- Linkdin
রাত জেগে কাজ বা প্রতিদিন কম ঘুমোতে থাকলে হৃদ্পিণ্ডের সমস্যা বহু মাত্রায় বেড়ে যায়। একইসঙ্গে কম ঘুমের ফলে ত্বক নিষ্প্রাণ হয়ে যায় এবং চোখের নীচে ডার্ক সার্কেল দেখা যায়।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে বয়স , লিঙ্গ, গোত্র, ওজন, আর্থসামাজিক অবস্থা, খাদ্যাভ্যাস, লাইফস্টাইল ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় জড়িত। এই সবগুলো বিষয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ হিসেব শেষেই দেখা যায়, সকাল বেলায় যারা ঘুম থেকে ওঠেন, তাদের অকাল মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম। আর যাদের প্রচুর অনিয়ম চলে তাদের ঝুঁকি বাড়তেই থাকে।
জানলে অবাক হবেন, রাতে ঘুম কম হওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়তে থাকে। এর কারণ জেগে থাকলে খিদে পাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
যাদের রাত জাগাটা অভ্যাস, তাদের প্রায় ৯০ শতাংশ বিভিন্ন মানসিক ব্যাধির শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকী ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। এছাড়া স্নায়বিক সমস্যা থেকে শুরু করে অন্ত্রের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়।
এছাড়া কম ঘুমের ফলে যে কাজের চাপের ফলে ঘুমের সময় কমিয়ে ফেলেছেন সেই কাজে মনোসংযোগেরও সমস্যা দেখা দেয়। তাই সব কিছুর উর্দ্ধে নিয়ম করে অন্তত ৭-৮ ঘন্টা ঘুমের জন্য রাখুন।
ইনসোমনিয়ার সঙ্গে অবসাদের সম্পর্ক অতোপ্রতোভাবে জড়িত। তাই রাতে কম ঘুম অনেক ক্ষেত্রেই অবসাদ বা হতাশগ্রস্থ করে তোলে। রাতে কম ঘুমের ফলে দেখা দিতে পারে ডায়াবেটিসের মতো মারাত্মক সমস্যাও।