এই মরশুমেই বৃদ্ধি পায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা, জেনে নিন এই সমস্যার অজানা কারণগুলি
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় সময় মতো উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিতে পারলে তা কোলন ক্যান্সারের আশঙ্কা বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। চিকিৎসকদের মতে কোষ্ঠকাঠিন্যের উৎস হল আঁশযুক্ত খাবার এবং শাকসবজি কম খাওয়া, জল কম খাওয়া, দুশ্চিন্তা, কায়িক পরিশ্রমের অভাব, অন্ত্রনালিতে ক্যানসার, ডায়াবেটিস, ঔষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি। ঋতু পরিবর্তনের ফলেও অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। নানান গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা অতিরিক্ত চা বা কফি পান করেন তাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্ভাবনা বেশী। একই সঙ্গে চর্বি জাতীয় ও আমিষ জাতীয় খাবার বেশি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার আশঙ্কা থাকে। জেনে নেওয়া যাক কোষ্ঠকাঠিন্য বৃদ্ধি পাওয়ার অজানা কারণগুলি-
- FB
- TW
- Linkdin
কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার মূলে কয়েকটি প্রধাণ কারণ হল দীর্ঘদিন ধরে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল না খাওয়া, অত্যাধিক দুশ্চিন্তা বা অবসাদ, দুগ্ধজাত খাবার যেমন, পনির, ছানা ইত্যাদি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া, ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে এই রোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
এছাড়া ফাইবার জাতীয় খাবার, শাকসবজি বা ফলমূল কম খাওয়া, হাঁটা-চলা, শরীরচর্চা বা কায়িক পরিশ্রম না করা, কোনও অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন বিছানায় শুয়ে থাকা, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আপাতদৃষ্টিতে কোষ্ঠকাঠিন্য জটিল সমস্যা না হলেও সঠিক সময়ে এর প্রতিকার না হলে জটিল সমস্যার সৃষ্টি করে। দীর্ঘ স্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্যের ফলে পাইলস ও এনালফিশার মত জটিল রোগ হতে পারে।
অনেক সময় রেকটাল প্রোল্যাপস (মলাধার দেহের বাইরে চলে আসা)-এর মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সময় থাকতেই সতর্ক হওয়া উচিত। প্রথমিক পর্যায়ে অ্যালোপ্যাথি ওষুধপত্রের চেয়ে প্রকৃতিক উপায়ে কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করা সম্ভব।
এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে ডায়েটে প্রচুর সবুজ শাক-সবজি ও ফল রাখুন। প্রতিদিন পাতে আপেল বা একটি ফাইবার যুক্ত ফল খান।
প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার আগে উষ্ণ জলে একটি গোটা পাতিলেবুর রস ও এক চামচ মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন।
খাদ্যতালিকায় রাখুন মটরশুঁটি, বিনস, বাদাম, আলু। এই সমস্ত খাদ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
অতিরিক্ত মাত্রায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে অবশ্যই ডায়েটে রাখুন প্রোবায়োটিক ফুড। পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্য তালিকা নির্ধারণ করুন।