উদ্বেগ বাড়াচ্ছে টমেটো ফ্লু, বাচ্চার শরীরে এই কয়টি উপসর্গ দেখা দিলে সতর্ক হন
- FB
- TW
- Linkdin
টমেটো ফিভার বা টমেটো ফ্লু শরীরে বাসা বাঁধলে সবার আগে শিশুদের জ্বরের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। বাচ্চার যদি জ্বর, সর্দি ও কাশি হয় তাহলে উপেক্ষা করবেন না। ঋতু পরিবর্তনের কারণে জ্বর হতেই পারে। কিন্তু, যেহেতু এই সময় বিভিন্ন ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে যে কারণে বাচ্চার-সর্দি-কাশি দেখা দিলে তৎক্ষণাত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বাচ্চার যদি নাক দিয়ে জল পড়ে তাহলে উপেক্ষা করবেন না। বাচ্চার জ্বর, সর্দি, কাশি ও নাক দিয়ে জল পড়ার সমস্যা দেখা দিলে সতর্ক হন। বাচ্চার এমন উপসর্গ দেখা দিলে উপেক্ষা করবেন না। সময় থাকতে চিকিৎসা করান। টমেটো ফ্লু বড় আকার নেওয়া আগে পদক্ষেপ নিন।
বমি ভাব দেখা দেয় টমেটো ফ্লু শরীরে বাসা বাঁধলে। যদি বাচ্চার এমন উপসর্গ দেখেন সতর্ক হন। খাবার খেতে অনিহা, বমি ভাব দেখা দেয় টমেটো ফ্লু শরীরে বাসা বাঁধলে তাই এমন উপসর্গ দেখলে তৎক্ষণাত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এমন সমস্যা ফেলে রাখবেন না। সঠিক সময় রোগ ধরা পড়লে তা বড় আকার নিতে পারবে না।
পেট ব্যথা হয় এই ফ্লু শরীর বাসা বাঁধলে। টমেটো ফিভার হলে খেতে কষ্ট হয় বাচ্চাদের। জ্বরের সময় এমনিতেই কোনও বাচ্চা খেতে চায় না। কিন্তু, টমেটো ফিভার হলে খাবারের অনিহার সঙ্গে পেটে ব্যথা ও খাবার খেতে কষ্ট হয়। এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলে প্রথম ৩ দিন থেকে উপসর্গ দেখা যায়।
জ্বরের সঙ্গে ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দেয় টমেটো ফিভারের কারণে। বাচ্চার যদি পেটের সমস্যা হয় আর তার সঙ্গে জ্বর থাকে তাহলে বিষয়টি উপেক্ষা করবেন না। তৎক্ষণাত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। করোনা কিংবা মাঙ্কি পক্সের মতো সমস্যার ক্ষেত্রেও ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দেয়। তাই জ্বরের সঙ্গে পেটের সমস্যা হতে তৎক্ষণাত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ত্বকে ফুসকুড়ি বা ফোসকা হয় টমেটো ফ্লু-তে আক্রান্ত হলে। বাচ্চার শরীরে এই উপসর্গ সবার আগে দেখা যায়। বাচ্চার ত্বকের লাল লাল ফুসকুড়ি, ছাল ওঠা কিংবা চুলকানি ভাব দেখা দিলে সতর্ক হন। তৎক্ষণাত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এমন লক্ষণ ফেলে রাখবেন না। ফ্লু এর সমস্যা দেখা দিলে এমন হতে পারে।
মূলত পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে টমেটো ফ্লু-তে। জ্বর, গায়ে হাত-পা ব্যথা, ত্বকের সংক্রমণের মতো একাধিক উপসর্গ দেখা যাচ্ছে এই রোগে। এই বছর বাচ্চাদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি। কেরল, ওডিষা সহ বিভিন্ন রাজ্যে এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে একের পর এক শিশু। তামিলনাড়ু, কর্ণাটক ও তেলেঙ্গানাতেও মিলেছে এই ভাইরাস।
টমেটো ফ্লু মাঙ্কি পক্স কিংবা করোনা মতো ভয়ঙ্কর কি না তা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন উঠেছে। তবে, বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা কতটা ভয়ঙ্কর কা বলা যাচ্ছে না। তবে এই রোগ থেকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এই রোগ শরীরে বাসা বেঁধে ভয়ঙ্কর চেহারা নেওয়ার আগেই সতর্ক হন। বাচ্চার শরীরে ভাইরাস প্রবেশ করলে তা ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা যায়।
এমন রোগে আক্রান্ত হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ খাওয়ান। সঙ্গে বাচ্চাকে প্রচুর জল খান খাওয়ান। এবং প্রয়োজন বিশ্রাম নেওয়ার। এমন রোগ দেখা দিতে তাকে আলাদা রাখুন। এই সময় শরীর খুবই দুর্বল হয়ে যায়। তাই বাবা-মায়ের উচিত সব সময় সতর্ক থাকা।
টমেটো ফ্লু হলে গায়ে ফুসকুড়ি ও ফোসকার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এগুলোতে চুলকানি ভাব অনুভূত হয়। খেয়াল রাখুন বাচ্চা যেন এগুলো চুলকে না ফেলে। তাহলে সমস্যা আরও বেড়ে যাবে। এই সময় সাবধানে রাখুন বাচ্চাকে আর সকলের সঙ্গে সোশ্যাল ডিসটেন্সিং মেনে চলুন। পরিবারের সকলেরই প্রয়োজন সতর্ক থাকা।