এই ৫ ভুল একদম নয়, ওজন কমাতে ডায়েটে নিশ্চিন্তে রাখুন ডিম
ওজন কমানোর কথা উঠলেই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের কথা উঠে আসে। পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ একটি খাবার হল ডিম। তবে ওজন কমাতে ডিম, এটা শুনে অনেকেই হতবাক হচ্ছেন। কিন্তু জানেন কি, প্রতিদিন ডিম খেলেই কমবে দেহের বাড়তি ওজন। তবে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ডিম খাওয়ার বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে, যা মেনে চললেই ওজন কমার পাশাপাশি শরীর ও সুস্থ থাকবে।
- FB
- TW
- Linkdin
ডিমের সঙ্গে হেলদি ডায়েট
এক্সারসাইজ , ডায়েট করে ওজন কমাতে সারাদিন শুধু স্যুপ আর স্যালাড খেয়ে আছেন? এতে ওজন কমলেও মন ভরছে না। ওজন কমাতে এবার আপনার সঙ্গী হতে পারে ডিম। তবে এর পাশাপাশি হেলদি ডায়েটও রাখতে হবে। যেমন ডিমের সঙ্গে পালংশাক , টমেটো, ক্যাপসিকাম, মাশরুম পাতে রাখুন। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমে সাহায্য করে।
ডিমের কুসুম বাদ
ডিম খাওয়া মানেই ডিমের কুসুম বাদ, এই প্রচলিত ধারণা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। অনেকেই ডায়েট থেকে ডিমের ওষুধ বাদ রাখেন। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল। ডিমের কুসুমের অনেক উপকারিতা রয়েছে। ডিমের প্রতিটি অংশই খুব উপকারী। ডিমের কুসুমে ভিটামিন-ডি, বি ২, বি-১২ থাকে , যা হাড়ের জন্য উপকারী। যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করে থাকেন তারা প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই ডিম রাখুন।
সঠিক তেলে রান্না
ডিম এমনই একটা জিনিস, যেটা রান্না করতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের তেল ব্যবহার করা হয়। বাটার থেকে তেল নানা জিনিস দিয়েই এই সুস্বাদু ডিম রান্না করা হয়। কিন্তু তেলের ব্যবহারের জন্যই হার্ট অ্যাটাক কিংবা হাই কোলেস্টেরলের সম্ভাবনা বাড়ে। তাই অলিভ অয়েলের ব্যবহার অনেকটাই ভাল।
ওভারকুকিং নয়
ডিম রান্নার সময় খেয়াল রাখতে হবে অতিরিক্ত ওভারকুক যেন না হয়ে যায়। বেশি ফোটালে ডিমের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। এবং ডিমের মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন-এ নষ্ট হয়ে যায়। তাই অল্প আঁচে ডিম রান্না করাই বেশি ভাল।
ক্যালোরির দিকে নজর দিন
ওজন কমানোর জন্য যারা ডিম খাচ্ছেন তাদের অবশ্যই ক্যালোরির দিকে নজর দিতে হবে। প্রতিদিন ডিম খেলেও তা সেদ্ধ কিংবা ডিমের পোচ করে খান। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।