হ্যাংগিং এক্সারসাইজ করলে সত্যিই কি বাড়ে উচ্চতা? রইল উচ্চতা বৃদ্ধির উপায়
এথনিক কিংবা ওয়েস্টার্ন লুকেই হোক কিংবা যে কোনও সাজে, উচ্চতার সঠিক না হলে সকলের নজর কাড়া বেশ কঠিন। উচ্চতা নিয়ে অনেকেই চিন্তায় ভোগেন। নিজের উচ্চতা বৃদ্ধি করা বেশ কঠিন। আবার এই উচ্চতা সব বয়সে বাড়ে না। সেই কারণে অনেক মায়েরা বাচ্চার উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য তাকে ছোট বয়সে সাঁতারে ভর্তি করে থাকেন কিংবা ব্যায়ামে ভর্তি করে থাকেন। এ তো গেল ছোট বয়সের কথা। এখন প্রশ্ন হল ২৫-এর পরও কী ওজন বৃদ্ধি করা সম্ভব?
- FB
- TW
- Linkdin
সঠিক খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম আর স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে উচ্চতা বৃদ্ধি সম্ভব। মানুষের উচ্চতা কেমন হব তা জিনের ওপর নির্ভর করলেও, জীবনযাত্রার পরিবর্তনে উচ্চতা বৃদ্ধি সম্ভব। তা ছাড়া সঠিক ব্যায়াবে যে কোনও বয়সে বাড়তে পারে আপনার উচ্চতা। এমন ধারণা প্রচলিত। এই কারণে উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য অনেকে সাঁতার কাটেন, কেউ যোগা করেন তো কেউ করে থাকেন স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ।
উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য অনেকে হ্যাংগিং এক্সারসাইজ করে থাকেন। নিয়মিত এক্সারসাইজেও খাটো উচ্চতা পরিবর্তন হতে পারে। এই ব্যায়াম করতে গেলে সঠিক নিয়ম মেনে করতে হবে। তবেই ওজন বৃদ্ধি হওয়া সম্ভব। খেয়াল রাখবেন যেন হ্যাংগিং এক্সারসাইজ বা ঝুলন্ত এক্সারসাইজ করার সময় পা মাটি থেকে কমপক্ষে ১ ফুট উঁচুতে থাকে।
একটি শক্ত রড পক্ত ধরে ধরুন। এভাবে ঝুলতে থাকুন। হ্যাংগিং এক্সারসাইজ বা ঝুলন্ত এক্সারসাইজ নিয়মিত করলে উচ্চতা বৃদ্ধি ঘটে। সঙ্গে শরীরের সকল পেশি শক্ত হয়। টোনড বডি পেতে বেশ উপকারী এই এক্সারসাইজ। তবে, খেয়াল রাখবেন এক্সারসাইজ করার সময় পা মাটি থেকে কমপক্ষে ১ ফুট উঁচুতে থাকে।
হতেই পারে আপনি এমন জায়গায় এক্সারসাইজ করছেন, সেখানে আপনার পা মাটি থেকে কমপক্ষে ১ ফুট উঁচুতে থাকে। এমন হলে পা বাঁকিয়ে নিন। শরীর পুরোপুরি প্রসারিত না হলে হাঁটু বেঁকিয়ে নিতে পারেন। এতেও উপকার পাবেন।
এখন প্রশ্ন হল থাকুন। হ্যাংগিং এক্সারসাইজ বা ঝুলন্ত এক্সারসাইজ করলে কি সত্যিই বৃদ্ধি পায় উচ্চতা? এই বিষয় তেমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। আসলে মানুষের উচ্চতা বৃদ্ধই হয় হরমোনের ক্ষরণের কারণে। এর প্রভাবে ধীরে ধীরে উচ্চতা বাড়ে। ১২-১৩ বছর বয়সে এই ক্ষরণ বিপুল পরিমাণে বেড়ে যায়। সে কারণে এই বয়সে উচ্চতা দ্রুত বাড়ে।
১৬-১৭ বছর বয়সে হরমোণ ক্ষরণ কমতে শুরু করে। আর ২০-২১ বছর বয়সে তা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। এই রসায়ন যে সকলের ক্ষেত্রে এক তা নয়। কারও কারও ২৫ বছর বয়সেও উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ক্যালসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন ডি ও পর্যাপ্ত জল খেলে উচ্চতা বৃদ্ধি ঘটে। তাই ওজন বৃদ্ধি করতে চাইলে সবার আগে জীবনযাত্রায় বদল করুন।
তাই ওজন বৃদ্ধির জন্য মেনে চলুন বিশেষ এই টোটকা। সবার আগে জীবনযাত্রায় বদল আনুন। সঙ্গে ব্যায়াম করুন। ব্যায়ামের প্রভাব পড়ে শরীরের সকল অঙ্গে প্রত্যঙ্গের ওপর। চাইলে রোজ হ্যাংগিং এক্সারসাইজ করতে পারেন। চাইলে এর সঙ্গে আরও কয়টি এক্সারসাইজ করতে পারেন। এতে উচ্চতা সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
হ্যাংগিং এক্সারসাইজ ছাড়াও করতে পারেন আরও কয়টি এক্সারসাইজ। করতে পারেন পেলভিক শিফট। এক্ষেত্রে মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়ান। তারপর দুই হাত ও দুই পায়ের ওপর চাপ প্রযোদ করে কোমরের অংশ উপরের দিকে তুলুন। এভাবে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড রাখুন। আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসুন।
করতে পারেন ওয়াল স্ট্রেচ। দেওযালের বিপরীতে দাঁড়িয়ে হত দুটো যতদূর যাবে উঁচুতে রাখুন। একটি পায়ের হাঁটু ভেঙে দাঁড়ান। চেষ্টা করবেন আপনার মেরুদন্ড সোজা রাখতে। এভাবে ৪ থেকে ৫ সেকেন্ড থাকুন। আবার আগের অবস্থায় ফিরে যান। এভাবে ওয়াল স্ট্রেচ করলে সহজে উচ্চতা বৃদ্ধি ঘটবে। তাই নিয়মিত এই এক্সারসাইজ করুন।
উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য করতে পারেন ব্রিজ। প্রথমে উপর হয়ে শুয়ে পড়ুন, দুই পায়ের হাঁটু ভাঁজ করুন। দুই হাত দুই পাশে সোজা করে রাখুন। এবার হিপ ও কোমড়ের অংশ কিছুটা উঁচু করুন। ৩ থেকে ৪ সেকেন্ড থাকুন। এই ব্যায়ামটি নিয়মিত করতে উচ্চতা বৃদ্ধি পেতে পারে। সঙ্গে বদল আনুন খাদ্যতালিকায়। এতে উচ্চতার পরিবর্তন ঘটবে।