করোনা মহামারীতে 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' কেড়েছে রাতের ঘুম, বলছে সমীক্ষা
করোনার হাত থেকে বাঁচতে যাঁরা ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছেন তাঁধের ঘুমের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। লোকেরা যখন কম কাজ করেন তখন সাধারণত কম ঘুমের মত সমস্যা দেখা দেয় বা ঘুমোতে অসুবিধা হয়। সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গিয়েছে, ওয়ার্ক ফ্রম হোমে কাজের চাপ দ্বিগুণ হয়েছে। ফলে শারীরিক নয় মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলেই কম ঘুম বা ঘুমের ব্যাঘাতের মত সমস্যা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি ওয়ার্ক ফ্রম হোম নিয়ে করা এক গবেষণায় এই বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।

করোনার ভাইরাসের প্রকোপে পুরো বিশ্বের কর্ম ধারা বদলে গিয়েছে। কর্মচারীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম করার সুবিধাটি একটি ভাল বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করেছিল বিভিন্ন কর্ম সংস্থা।
তবে গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে এই রুটিনটি মানুষের ঘুমের অভ্যাসকে প্রভাবিত করেছে। কারণ বাড়ি থেকে কাজ করার ফলে বিভিন্ন সংস্থা কর্মীদের উপর কাজের চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। যার ফলে এই কাজের চাপ মানসিক ভাবে প্রভাব ফেলছে কর্মীদের উপর।
জার্নাল অফ ট্রান্সলেশনাল মেডিসিনে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, জীবন যাত্রার আমূল পরিবর্তনগুলির কারণে ঘুমের উপর মারাত্মকভাবে প্রভাব পড়ছে। গবেষকরা ঘুমের ক্ষমতার পরিবর্তনগুলির গবেষনা করেছেন। গবেষণায় ব্যক্তির শোওয়ার সময়, ঘুমের গুণমান এবং দিনের বেলা ঘুম পাওয়ার মত বিষয়গুলিতে বেশি নজর দেওয়া হয়েছে।
৪০ দিনের পুরো গবেষণা সম্পন্ন হওয়ার পরে গবেষকরা বিষয়টি অধ্যয়ন করে ছিলেন। গবেষকরা গবেষণায় জড়িতদের বিএমআইও পরীক্ষা করেছিলেন। গবেষণা শেষে গবেষকরা জানিয়েছিন যে, এদের পিএসকিউআই স্কোর বৃদ্ধি পেয়েছে।
গবেষকদের মতে, বাড়ি থেকে কর্মরত লোকজনের পিএসকিউআই স্কোর বেশি ছিল। দিনভর স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারের কারণে এটি ঘটে। গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে কাজকর্মের সময় এবং স্ক্রিনে দিকে একটানা তাকিয়ে কাজ করা, ঘুমের ব্যাঘাতের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিল। এই ঘুমের ব্যাঘাতের কারণে ভবিষ্যতে নানা জটিল শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।