- Home
- India News
- রাজনীতি নয়,এক অন্য জীবনের স্বপ্ন ছিল নরেন্দ্র মোদীর, জানুন তাঁর জীবনের অজানা ১০টি তথ্য
রাজনীতি নয়,এক অন্য জীবনের স্বপ্ন ছিল নরেন্দ্র মোদীর, জানুন তাঁর জীবনের অজানা ১০টি তথ্য
- FB
- TW
- Linkdin
টাইম ম্যাগাজিনে ২০২১ সালের এডিশনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এই দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। জওহরলাল নেহেরু, ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে নরেন্দ্র মোদীকে। এই তিনজনের মত আর কেউ ভারতের রাজনীতিতে এতটা আধিপত্য বিস্তার করতে পারেননি।
নরেন্দ্র মোদীকে বেশ রক্ষণশীল বলে মনে হলেও প্রযুক্তিকে তিনি দূরে ঠেলেননি। প্রতিদিনই ইন্টারনেটে নিজের খবরগুলো দেখে নেন তিনি। তার ঘড়ির সংগ্রহটাও মন্দ নয়।
গুজরাটের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। একটানা ২ হাজার ৬৩ দিন ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। গুজরাটে টানা চতুর্থবারের মতো মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি।
আহমেদাবাদে স্টেট ট্রান্সপোর্ট অফিসে নরেন্দ্র মোদী তার ভাইয়ের সঙ্গে চা বিক্রি করতেন। তখনই তিনি কঠোর সংগ্রামের অর্থ বুঝেছিলেন। তিনি জীবনে স্থির ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হওয়ার শপথ নিয়েছিলেন।
জীবনের চেনা ছকে নিজেকে বাঁধতে চাননি মোদী। তাঁর স্বপ্ন ছিল সন্ন্যাসী হওয়ার। নরেন্দ্র মোদী একসময় পরিব্রাজক হিসাবে বেরিয়েও পড়েন। বাড়ি ছেড়ে কার্যত সন্ন্যাসের পথে এগিয়ে যান তিনি। সেই সময় হিমালয়ের বহু সাধুর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়।
স্বামী বিবেকানন্দকে নিজের জীবনের আদর্শ করে এগোতে চেয়েছিলেন মোদী। সেই লক্ষ্য নিয়ে বেলুড় মঠে এসে সন্ন্যাস জীবন শুরু করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আত্মস্থানন্দ মহারাজ তাঁকে দেশের সেবায় ব্রতী হতে বলেন। আত্মস্থানন্দের কয়েকটি কথাই সেই সময় অল্প বয়সী মোদীর জীবনে পরিবর্তন এনে দেয়।
সন্ন্যাস জীবন কাটানোর সময় নরেন্দ্র মোদীর মাত্র দুটি পোশাক ছিল। কিন্তু, বর্তমানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জনসমক্ষে নিজেকে উপস্থাপনের ব্যাপারে বেশ সজাগ। ইস্ত্রি করা পরিপাটি পোশাক পরতে পছন্দ করেন তিনি।
রাতে মাত্র ৪ ঘণ্টা ঘুমান নরেন্দ্র মোদী। কাজ পাগল এই নেতা অফিসে ঢোকেন সকাল ৭টায় এবং রাত ১০টা বা আরও রাত পর্যন্ত সেখানে কাজ করেন।
বিয়ের ব্যাপারে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কোনদিন মুখ খোলেননি মোদী। এর আগে ৪ বার নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিলেও, আবেদন ফর্মে স্ত্রীর কলামটি বরাবরই ফাঁকা রেখেছিলেন। পরিবারের ঐতিহ্য মেনে ১৩ বছর বয়সে যশোদাবেনকে বিয়ে করেছিলেন তিনি।
নরেন্দ্র মোদীর শখের মধ্যে রয়েছে ছবি তোলা ও কবিতা পড়া। তিনি লিখতেও ভালোবাসেন। সমাবেশে যে বক্তৃতাগুলো তিনি দেন, তার একটি বড় অংশ তার নিজেরই লেখা। নিজের তোলা ছবির প্রদর্শনীও আয়োজন করেছেন তিনি।