- Home
- India News
- ভারতে তৈরি হবে আরও একটি করোনার প্রতিষেধক, ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে হাত মেলাল ভারত বায়োটেক
ভারতে তৈরি হবে আরও একটি করোনার প্রতিষেধক, ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে হাত মেলাল ভারত বায়োটেক
ভারতের শীর্ষ প্রতিষেধক প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেক এবার গাঁটছড়া বাধল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট লুইস ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের সঙ্গে। এই প্রতিষ্ঠানের বিকাশ করা করোনাভাইরাস প্রস্তুত করতে দেশীয় সংস্থাটি। বুধবার সংস্থার পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে আমেরিকা জাপান আর ইউরোপ বাদে বাকি সমস্ত দেশে ভারত বায়োটেক প্রতিষেধকটি রফতানি করতে পারবে। বছরে তৈরি হবে ১০০ কোটি ডোজ। দেশ ও বিদেশের মানুষের কাছে নিরাপদে আর দ্রুততার সঙ্গে প্রতিষেধক পৌঁছে দেওয়ার সংস্থার লক্ষ্য বলে জানান হয়েছে। আর এর অর্থ করোনাভাইরাসের জন্য আরও প্রসস্থ হল ভারতের পথ।
| Published : Sep 23 2020, 06:29 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
প্রাথমিক পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট লুইস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিকাশ করা করোনাভাইরাসের প্রতিষেধকের। আর এই প্রতিষ্ঠানের তৈরি করোনাভাইরাস প্রতিষেধক তৈরি করবে ভারত বায়োটেক।
বুধবারই সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধকে তৈরিতে ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য তারা গর্বিক। বছরে ১০০ কোটি ডোস তৈরির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
প্রয়োজনীয় অনুমোদনের পর ভারত বায়োটেক এই প্রতিষেধকের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালাবে এই দেশেও। হায়দরাবাদের জিনোম ভ্যালিতে অবস্থিত কারখানা থেকেই তৈরি হবে প্রতিষেধক।
সংস্থার কর্তা কৃষ্ণ এলা বলেছেন একটি একটি ইনট্রানসাল প্রতিষেধক। যা সূচ আর সিরিঞ্জের ব্যবহার কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে। তাই এই প্রতিষেধক ব্যবহার করাও অনেকটা সহজ।
সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, প্রতিষেধকটি সুলভ মূল্যেই বিতরণ করা হবে। ভারতের পাশাপাশি বিশ্বের বহু দেশেই প্রতিষেধক সরবরাহ করা হবে। প্রতিষেধকটি নিরাপদে আর দ্রুততার সঙ্গে সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়াই তাদের প্রথম লক্ষ্য বলেও জানান হয়েছে।
সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে এটি একটা আনুনাসিক ডোস। করোনার সংক্রমণ রুখতে রীতিমত কার্যকর হবে বলেও আশা করা হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে এই প্রতিষেধক নাক আর গলার কোষ গুলিকে প্রাথমিকভাবে করোনামুক্ত করে। পরে শরীরের অন্য কোষগুলিতে সংক্রমণ রুখতে সক্ষম হয়।
ভারত বায়োটেকের হাতে ১৩০টিওর বেশি গ্লোবাল পেটেন্ট রয়েছে। ১৬টির বেশি প্রতিষেধক তৈরি অভিজ্ঞতা রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যোগ্যতা সংশাপত্র।