ভারতের মহাকাশচারীদের মহাকাশের মেনু কার্ড, রয়েছে খিচুড়ি থেকে বিরিয়ানি এমনকি আচারও
- FB
- TW
- Linkdin
গগনায়ন অভিযানে যাওয়ার সময় ভারতীয় মহাকাশচারীরা দুবছরের রসদ সঙ্গে নিয়ে যাবে। মহাকাশচারীদের পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গে সেই সব রসদও পরীক্ষা করে দেথা হচ্ছে।
রাশিয়ার সাত দিনের একটি প্রশিক্ষণ অভিযানে ভারতীয় মহাকাশচারীদের সেই জাতীয় খাবরই দেওয়া হয়েছিল। ভারতীয় বিহান বাহিনীর পাইলটদের দেওয়া হয়েছ চিকেন বিরিয়ানি, মুরগির কোর্মা, শাহী পনির, ডাল মাখানি, আলু পরোটা, চাপাতি খুচুড়ি।
এছাড়াও ছিল বেকন আর সসেজ। প্রতিরতক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার অধীনে মাইসোর ডিফেন্স ফুড ল্যাবরেটরির তৈরি আমের আচারও ছিল মহাকাশচারীদের খাবারের তালিকায়।
ডিএফআরএল-এর স্পেশ ফুড অ্যান্ড লজিস্টিক শাখা গত সপ্তাহে ইয়েলাহঙ্কার বিমান ঘাঁটিতে আয়েরো ইন্ডিয়া ২০২১ এ সেই সব পণ্যগুলি প্রদর্শন করা হয়েছিল। সেখানে স্থান পেয়েছিল মুগডালের হালুয়া, সুজির হালুয়া। শুকনো এপ্রিকট ও একধরনের শুকনো মিষ্টি। এদুটি মানুষের এনার্জি বাড়াতে সক্ষম।
ডিএফআরএল-এর পক্ষ থেকে জানান হয়েছে মূলত পুষ্টিগুণ ও পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর খাবার সবরাহের ওপরই জোর দেওয়া হয়েছে। শূণ্য মাধ্যাকর্ষণ ও পরিবেশের স্বপ্ল বিভাজনেরর দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। এক বিজ্ঞানী জানিয়েছে মহাকাশচারীরা দিনে তিন বার খাবার খাবেন। তাদের ডায়েটযুক্ত খাবার দেওয়া হবে।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর সহযোগিতায় মেনু তৈরি করা হচ্ছে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানান হয়েছে আমেরিকা মহাকাশচারীরা তাঁদের অভ্যাস আর স্বাদের সঙ্গে মেলে এমন খাবার নিয়ে যান। রাশিয়ানরাও তাই। ভারতীয়রা কেন তা করবে না? সেই দিকে নজর রেখেই ভারতীয়রা যে জাতীয় খাবার পছন্দ করে সুগুলির ওপরেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
খাবারগুলি প্যাকেটজাত হবে। প্রতিটি প্যাকেটে ১০০-২০০ গ্রামের খারাব থাকবে। স্পেসফ্লাইটের খাবারের জন্য বিশেষ কিট তৈরি করা হচ্ছে। স্বপ্ন পরিমাণে ও সহজে মুখে পোরা যায় এমন খাবারই তৈরি করা হচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত চার জন মহাকাশচারী রাশিয়ায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। তবে কতজন যাবে গগনায়ন অভিযানে তা এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। চলতে বছর শেষেই তাদের প্রশিক্ষণ শেষ হবে।