করোনা রোধে ফিরতে পারে নাইট কার্ফু, সংক্রমণ রুখতে ১ মাসের নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে আরও এক দফা নতুন গাউডনাইল প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন এই গাইডলাইন কার্যকর হবে আগামী পয়লা ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নতুন আচরণবিধিতে রাজ্য়গুলিকে নাইট কারফিউ, কন্টন্টেমেন্ট জোনে কঠোর নিয়ন্ত্রণ বিধি আরোপ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি করোনাভাইরাস সংক্রমণ আচরণবিধি মেনে চলার ওপরেও জোর দেওয়ার কথা বলা বয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছেঃ
- FB
- TW
- Linkdin
আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত এই নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে। এই নির্দেশিকার মূল উদ্দেশ্যই হল দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমানো। শীতের শুরুতে বেশ কয়েকটি রাজ্যে সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। আর সেই কারণে সংক্রমণ কমাতে নতুন নির্দেশিকা কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। নির্দেশিকা বাস্তবায়িত করার মূল দায়িত্ব থাকবে স্থানীয় জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষের ওপর। রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত এলাকাগুলি পরিস্থিতি মূল্যায়নের ভিত্তিতে সংক্রমণ রুখতে স্থানীয়ভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে।
রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত এলাকাগুলি মন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকাগুলি বিবেচনা করে ছোট ছোট স্তরে তা প্রয়োগ করতে পারে। কনটাইনমেন্ট জোনগুলির সতর্কতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি তা নিশ্চিত করতে হবে। কনটাইমেন্ট জোনের তালিকা জেলা রাজ্য ও কালেন্টরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। তালিকাটি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকরেও জমা দিতে হবে। আর নির্ধারিত জোনগুলিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকা কার্যকর করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কনটাইনমেন্ট জোরগুলির বসবাসকারীদের ব্যক্তিদের মধ্যে করোনা পজেটিভদের পৃথক করে রাখতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে সংস্পর্শে আসাদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে চিহ্নিত করে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। !৪ দিনের যোগাযোগের ফলোআপ করবে হবে।
করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের দ্রুতার সঙ্গে চিহ্নিত করে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। প্রয়োজনে তাঁদের বাড়িতে রাখারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার ওপরে জোর দেওয়া হয়েছে।
আক্রান্তদের চিকিৎসার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এই বিষয়ে পুরো দায়িত্ব থাকবে স্থানীয় প্রশাসনের ওপর। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের কাছ থেকে জবাবদিহিও চাওয়া হতে পারে।
নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার পাশাপাশ মাস্কের ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। মাস্ক পরা বাত্যতামূলক করার জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল প্রয়োজনে জরিমানা ধার্য করতে পারে বলেও জানান হয়েছে মন্ত্রকের নির্দেশিকায়।
বাজার ও যেসব এলাকাতে ভিড় হওয়ার আশঙ্কা থাকে সেই স্থানগুলিতে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপরে জোর দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে এসওপি জারি করতে পারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
কনটাইমেন্ট জোনের বাইরের বাসিন্দারা প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক বিমানে সফর করতে পারেন। সিনেমা ও থিয়েটার হলগুলিতে দর্শক সংখ্যা ৫০ শতাংশ রাখতে হবে। শুধুমাত্র খেলোয়াড়দের জন্য খোলা রাখতে হবে সুইমিং পুল।
যে কোনও জমায়েতে মাত্র সেই এলাকায় যতজন মানুষের স্থান সংকুলান হয় তার মাত্র ৫০ শতাংশ মানুষ উপস্থিত থাকতে পারেন। ঘেরা জায়গায় ২০০ জনের বেশি মানুষের উপস্থিতির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ১০০ জনের উপস্থিতির অনুমোদন দিতে পারে।
প্রয়োজন পড়লে রাজ্য বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল নাইট কারফিউর ব্যবস্থা করতে পারে। তবে এই বিষয় কেন্দ্রীয় সরকার কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না। রাজ্য সরকার জেলা মহকুমা গ্রাম বা নগর স্তরে নাইট কারফিউ জারি করতে পারে।
যেসব এলাকায় আক্রান্তের হার ১০ শতাংশেরও বেশি সেথানে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অফিস কর্মচারীদের উপস্থিতির হার কমাতে পারে। কর্মস্থল ও অফিসেও নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
আন্তঃ রাজ্য বা আন্তঃরাষ্ট্রিয় চলাচলের ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকছে না। এধরেনর চলাচলের জন্য আলাদা কোনও অনুমতি বা পারমিট লাগবে না।
বয়েস্কো ব্যক্তি ও শিশুদের বাড়িতে থাকার পরানর্শ দেওয়া হয়েছে। আরোগ্য সেতু মোবাইল অ্যাপলিকেশন ব্যবহারের আবেদন জানান হয়েছে।