ভারতের ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়গুলির নাম জানলে অবাক হতে হয়, দেখুন পর পর ছবি
সোমবার থেকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব পড়বে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। বুধবার নাগাদ জম্মু কাশ্মীর লাদাখ হিমাচল প্রদেশের তুষারপাতের সম্ভাবনা। আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরের জোড়া ঘূর্ণিঝড়। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড় ক্রমশ তামিলনাডু উপকূলের দিকে এগোবে। বুধবার বিকেলে মহাবলীপুরমের কাছে স্থলভাগের প্রবেশ করার সম্ভাবনা। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে এই প্রথমবার নয়, আগেও বহু শক্তিশালী ঘূর্ণীঝড়ের সম্মুখীন হয়েছে সারা দেশ। ভারতে অন্যতম সেই ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলা চালানো ঝড় গুলি এবার একবার দেখে নেওয়া যাক।
- FB
- TW
- Linkdin
ঘূর্ণিঝড় আম্ফান- ২০২০ সালের ভারতের প্রথম বৃহত্তম ঘূর্ণিঝড়। সুপার সাইক্লোনিক স্টর্ম আম্ফান পশ্চিমবঙ্গ, পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশেরও বড় ক্ষতি করেছে। পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল তা থেকে বাঁচানো হলেও পূর্বের আরেকটি রাজ্য ওড়িশাও আম্ফানের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। ১৬ মে বাংলার বুকে এসে ব্যাপক ধ্বংস চালিয়ে যায়।
ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ- মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় ঝড় নিসর্গ ভারত উপমহাদেশে আম্ফানের মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে আঘাত হানে। ভারতের আর্থিক কেন্দ্র মহারাষ্ট্রেকে সবচেয়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। যেখানে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। পয়লা জুন থেকে ৪ জুন অবধি এই ঝড় তাণ্ডব চালিয়ে যায়। ১৮৯১ সালের পরে সালের পর থেকে মহারাষ্ট্রে আঘাত হানায় সবচেয়ে শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় ছিল।
ঘূর্ণিঝড় ফনী- ২০১৯ সালে ২৬ এপ্রিল তীব্রতর তীব্র ঘূর্ণিঝড় ঝড় ফনি ওডিশায় বিশাল ক্ষতি করে। তছনছ হয়ে যায় গ্রামের পর গ্রাম। উড়ে যায় ঘরের চালা। এমন শহরের রাস্তায় একটু হাওয়ার ধাক্কায় রাস্তায় আছাড় খেয়ে পড়ে। তবে ১৯৯৯ সালের কথা কেউ ভূলবে না। এরপর প্রভাব ফেলে প্রতিবেশি রাষ্ট্রেও।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল- আরেকটি ঘূর্ণিঝড় যা পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ উভয়কেই প্রভাবিত করেছিল। বুলবুলও ছিল অত্যন্ত মারাত্মক একটি ঘূর্ণিঝড়। একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়। ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর থেকে ১১ নভেম্বর অবধি এই ঝড়ে মোট ৪১ জন প্রাণ হারায়। প্রথম হারে ১৯৬০ সালে বুলবুল বাংলাদেশ ছাড়াও মায়ানমার ও থাইল্যান্ডের মতো প্রতিবেশী দেশগুলিকেও প্রভাবিত করেছিল।
ঘূর্ণিঝড় বায়ু: অত্যন্ত তীব্র একটি ঘূর্ণিঝড়। যা ২০১৯ সালে জুনে মোট আটজনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটিয়েছিল। ১৯৯৮ সালের পর থেকে গুজরাটের সৌররাষ্ট্র অঞ্চলে আঘাত হানার জন্য ভায়ু সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ছিল। ২০১৯ এর ১০ জুন থেকে ১৭ জুন অবধি ধ্বংসলীলা চালিয়েছিল। সংস্কৃত এবং হিন্দি শব্দ 'বায়ু' বা বাতাসের নামে নামকরণ করা এই ঘূর্ণীঝড় ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ৬.৬ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে প্রভাবিত করেছিল।
ঘূর্ণিঝড় মহা- অত্যন্ত তীব্রতর ঘূর্ণিঝড় মহা মূলত মহারাষ্ট্র, গুজরাট এবং কেরল রাজ্যগুলিকে প্রভাবিত করে। আরও ঘনীভূত হয়ে চূড়ান্তভাবে ২০১৯ সালে ৩০ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর অবধি নিজের শক্তি দেখিয়ে বিলুপ্ত হয়।