- Home
- India News
- সেনা প্রত্যাহার স্থগিত, ফের পূর্ব লাদাখের একাধিক কৌশলগত এলাকার 'তাদের' বলে দাবি বেজিং-এর
সেনা প্রত্যাহার স্থগিত, ফের পূর্ব লাদাখের একাধিক কৌশলগত এলাকার 'তাদের' বলে দাবি বেজিং-এর
ফের ঘাড় বেঁকে বসল ড্রাগন। কূটনৈতিক ও সামরিক বিভিন্ন স্তরে আলোচনার পর পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষের দায়গা থেকে সরে গিয়েছিল পিপলস লিবারেশন আর্মি। তারপর দীর্ঘ আলোচনার পর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দুইপাশ থেকে সম্পূর্ণভাবে পারস্পরিক সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে ভারতের সঙ্গে সম্মত হয়েছিল চিন। কিন্তু, ফের তারা পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বেশ কয়েকটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা থেকে সরে যেতে অস্বীকার করছে দাবি করা হয়েছে ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে।
| Published : Jul 23 2020, 06:21 PM IST / Updated: Jul 31 2020, 10:10 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
সেনার একটি বেসরকারি সূত্র এক সর্বাভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে চিন প্যাংগং তসো বা প্যাংগং হ্রদের ফিঙ্গার এলাকা থেকে (যেখান থেকে ভারতী সেনা ঘাঁটির উপর নজর রাখা যায়) এবং গোগড়া পোস্ট থেকে সেনা সরাতে রাজি হচ্ছে না।
সূত্রটির দাবি, প্যানগং হ্রদের মতো সুউচ্চ পাহাড়ি এলাকায় ফের দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। গোগড়া পোস্ট থেকেও চিন, সেনা প্রত্যাহার স্থগিত রেখেছে। নতুন করে চিন এই অঞ্চলগুলি তাদের বলে দাবি তুলতে শুরু করেছে।
তবে আরেকটটি বিতর্কিত এলাকা, হট স্প্রিংস অঞ্চল থেকে ইতিমধ্যেই চিন সেনা সরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। বৃহস্পতিবার কিংবা শুক্রবার থেকেই এই এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত মে মাসের শুরু থেকেই পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিভিন্ন কৌশলগত এলাকা অধিকার নিয়ে ভারত ও চিন সেনার মধ্যে অচলাবস্থা চলছিল। উভয়পক্ষের বেশ কয়েক দফা সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরের আলোচনার পরও যার সম্পূর্ণ সমাধান হয়নি।
অচলাবস্থার মধ্যেই গত ১৫ জুন রাতে গালওয়ান উপত্যকায়, চিন সেনার অতর্কিত বর্বরোচিত হামলার মুখে পড়ে একজন কর্নেল পদমর্যাদার সেনাকর্তা সহ মোট ২০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। তারপর দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। তারপর অবশ্য ফের আলোচনার মধ্য দিয়ে বিবাদ মেটানোর ইঙ্গিত দেখা দিয়েছে।
এর আগেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত ও চিনের সেনার মধ্যে এই ধরণের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। বছর তিনেক আগে ডোকালামেও প্রায় একই রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু গালওয়ানের ঘটনায় চার দশকেরও বেশি সময় পর ভারত ও চিন রক্তাক্ত সংঘর্ষে জড়ায়।