নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর এই পদক্ষেপের জন্য আজও ভারতকে ভয় পায় চিন
এক আপোষহীন সংগ্রামের নাম নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু। নেতাজী ছিলেন বামপন্থী মনোভাবাপন্ন মানুষ। ফলে তার বামপন্থী মনোভাব, নাৎসিবাদ ও ফ্যাসিবাদের দিকে ঝোঁক ও অহিংস আন্দোলন সম্পর্কে সংশয় দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের তীব্রতা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু এমন একটি কাজ নেতাজী করেছিলেন যার জন্য আজও ভারতের শত্রু চিন ভয়ে কাঁপে। জানেন কী ছিল সেই পদক্ষেপ?
- FB
- TW
- Linkdin
চিনের সাম্রাজ্যবাদী লোলুপতার সঙ্গে পরিচিত গোটা বিশ্ব। দক্ষিণ চিন সাগরের রাষ্ট্রগুলি নিয়মিত তার প্রমাণ পাচ্ছে। ভুক্তভোগী ভারতও। সীমান্তের একাধিক জায়গায় আধিপত্য জমাতে সবসময় মুখিয়ে থাকে চিনের লাল ফৌজ।
চিনের সাম্রাজ্যবাদ মোকাবিলায় ভারত মহাসাগরের উপর অবস্থিত আন্দামান নিকোবার দ্বীপপুঞ্জের অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করেন কূটনীতিক ও সামরিকবিদরা।
আন্দামান-নিকোবরের কাছ দিয়েই ভারত মহাসাগরের মধ্যে দিয়ে জ্বালানি তেল আমদানি করে চিন। চিন খুব দ্রুত ভারত মহাসাগরের ওপর নিজেদের কব্জা পেতে চাইছে।
পাকিস্তানের গদর ও দিজিবৌটিতে নতুন ঘাঁটি তৈরি করা থেকে শুরু করে, চিনা সাবমেরিনের আনাগোনা, কোনও সুযোগই ছাড়ছে না চিন। আন্দামানের ভৌগোলিক অবস্থানের সুযোগ নিয়ে চিনকে শিক্ষা দেওয়া যায়, বুঝেছিলেন দূরদর্শী সুভাষ।
এই পরিস্থিতিতে ৭৬ বছর আগে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর একটি মাত্র কাজেই চিন নিজের প্রতিপত্তি বিস্তারে চরম ধাক্কা খায়। যার জন্য আজও ভারতকে সমঝে চলে বেজিং।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এই আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জকে ইংরেজদের হাত থেকে ছিনিয়ে এনেছিলেন। প্রাচীন ভারতের চোল সাম্রাজ্যের অংশ ছিল এই দ্বীপপুঞ্জ।
পরে পর্তুগিজরা এই দ্বীপপুঞ্জ দখল করে নিয়েছিলেন এবং এরপর এই দ্বীপপুঞ্জে নৌসেনার বেস ক্যাম্প তৈরি করেছিল ভারতের মারাঠা সাম্রাজ্য।
পরবর্তী সময়ে ভারতে যখন ইংরেজরা আসে সেই সময় এই দ্বীপপুঞ্জ দখল করে নিয়েছিল ইংরেজরা। এরপর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ বাহিনী চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেয়।
১৯৪৩ সালের ৩০শে ডিসেম্বর ইংরেজদের কাছ থেকে এই দ্বীপপুঞ্জ ছিনিয়ে নিয়ে সেখানে ভারতের পতাকা ওড়ানো হয়েছিল। যার ফলে আজও এই এলাকায় ভারত শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত।
চিন সারাবিশ্ব থেকে ৮০% সামগ্রী যে সামুদ্রিক পথ দিয়ে আমদানি রপ্তানি করে সেই পথে ভারতের অংশ আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ রয়েছে। ফলে ভারত চাইলে যে কোনও সময় চিনের জাহাজগুলিকে আটকে দিতে পারে। এর ফলশ্রুতিতে চিনে হাহাকার লেগে যাবে। এমনকি চিনে উৎপাদিত পণ্যের বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে।