করোনা সংক্রমণ রুখতে পারে চবনপ্রাস, তেমনই তথ্য উঠে আসছে নতুন গবেষণায়
দিল্লি সরকার পরিচালিত একই আয়ুর্বেদিক হাসপাতাক দাবি করেছে যে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে চবনপ্রাস। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চবনপ্রাস নিয়ে একটি গবেষণা করেছিলেন। তাতেই এই ফলাফল পাওয়া গেছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
- FB
- TW
- Linkdin
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় প্রথম সারির হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত চৌধুরী ব্রহ্ম প্রকাশ আয়ুর্বেদ চরক। সংস্থার সেবাকর্মীদের ওপর চার মাস ধরে একটি সমীক্ষা চালান হয়েছিল। তাতে দেখা গেছে নিয়মিত চবনপ্রাস ব্যবহার করতে যে কোনও ব্যক্তি করোনাভাইরাসের মারাত্মক সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পারে।
গত বছর মে মাসে এই পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। ২০০ জনের ওপরে চালান হয়েছিল সমীক্ষা। সেই সময় এই ২০০ জনই করোনা মুক্ত ছিলেন।
প্রতিদিন সকালে প্রাতরাসের অন্তত একঘণ্টা আগে আর রাতের বেলা - দিনে মোট দুবার গরম জল দিয়ে গুলে ১২ গ্রাম করে চবনপ্রাস দেওয়া হত। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৩০তম দিনেও দেখা গেছে কোনও ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি।
তবে ফলোআপের সময় দেখা গেছে পরীক্ষা পর্ব শেষ হওয়ার প্রায় দুমাস পরে দুই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আরটি পিসিআর টেস্টে ধরা পড়েছিল সংশ্লিষ্ট দুই জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে পরবর্তীকালে আরও চার জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজনকে হাসাপাতালেও ভর্তি করতে হয়েছিল। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সমস্ত প্রোটোকল মেনে চললে আর নিয়মিত চবনপ্রাস ব্যবহার করতে কিছুটা উপকার পাওয়া যেতে পারে। তাদের গবেষণা পত্র ইতিমধ্যেই medRxiv নামের একটি পোর্টালে আপলোড করা হয়েছে।
চবনপ্রাস নিয়ে সরকার স্বীকৃত কোনও হাসপাতালে এটাই সম্ভবত প্রথম গবেষণা। অন্যদিকে ডাবর, বৈদ্যনাথ, জান্ডু- মত শীর্ষস্থানীয় চবনপ্রাস প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিও আয়ুর্বেদিক ও অ্যালোপ্যাথিক হাসপাতালগুলির সঙ্গে সহযোগিতা করছে। কোভিড রুখতে তাদের চপনপ্রাস কতটা কার্যকর তা নিয়ে রিপোর্টও তৈরি করছে।