কীভাবে দেওয়া হবে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক, জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী
আগামী বছর প্রথম তিন মাসের মধ্যেই করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হাতে পাবে ভারত। তেমনই চিন্তাভাবনা করে আগামী পদক্ষেপ বা কর্মীসূচি স্থির করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রবিবার সানডে সংবাদ নামের একটি অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধম লক্ষ্যই আগামী বছর জুলাই মাসেক মধ্যে দেশের ২৫ কোটি মানুষকে করোনাভাইরাস প্রদান করতে চাইছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, প্রথম দফায় ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিয় ডোস সরবরাহ করা হবে। সুষ্ঠুভাবে প্রতিষেধক বিলির জন্য এখন থেকেই কাজ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
- FB
- TW
- Linkdin
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫ লক্ষ পার করেছে। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষের বেশি। এই অবস্থায় মারাত্মক ছোঁয়াচে এই জীবানুর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রতিষেধকের প্রতীক্ষায় রয়েছে গোটা দেশ। দেশের মানুষের উদ্বেগ কমিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন আগামী বছর জুলাই মাসের মধ্যেই করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক বিলি করা হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন জুলাই মাসের মধ্যেই দেশের ২৫ কোটি মানুষকে প্রতিষেধক দেওয়ার টার্গেট গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেজন্য তৈরি হয়েছে একটি উচ্চ পর্যায়েত কমিটিও। যারা টিকা প্রদানের ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করতে শুরু করছেন।
হর্ষ বর্ধনের কথায় আগামী বছরের শুরুতেই ভারতে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধকের ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডোজ হাতে পেয়ে যেতে পারে। আর প্রাপ্ত প্রতিষেক যাতে সঠিকভাবে বিলি করা হয় তার জন্যই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সরকার যে ফরম্যাট তৈরি করছে তাতে রাজ্যগুলিকেও অংশ নিতে হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলির কাছ থেকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে জনগোষ্ঠীর তালিকা চেয়ে পাঠান হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কথায় প্রথম দফায় প্রথম দফায় করোনা যোদ্ধা স্বাস্থ্য কর্মীসহ জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রতিষেধক দেওয়া হবে। যাঁদের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে তাঁরাও থাকবেন এই তালিকায়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন নীতি আয়োগের সদস্য চিকিৎসক ভিকে পলের নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি। এই কমিটি প্রতিষেধক বিলি থেকে শুরু করে প্রদানে ব্যবস্থা নিয়ে একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে। পাশাপাশি প্রতিষেধক প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে এই কমিটির সদস্যরা।
তিনি আরও বলেন এই মুহূর্তে দেশে করোনাভাইরাসের তিনটি প্রতিষেধ তৈরি প্রক্রিয়া চলছে। যা ইতিমধ্যেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। প্রতিষেধক বিকাশের গতিতেও জোর আনা হয়েছে। তাই আশা করা হচ্ছে আগামী বছর প্রথম দিকেই প্রতিষেধক হাতে পাওয়া যাবে।
রবিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন তাঁর সরকার দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে দ্রুততার সঙ্গে প্রতিষেধক পৌঁছে দিতে দায়বদ্ধ। আর সেই জন্যই তাঁর সরকার দিনরাত এক করে কাজ করছে।