- Home
- India News
- ২০২১-এর প্রথমেই ভারতের আসতে পারে করোনার প্রতিষেধক, কিন্তু সরবরাহ নিয়ে জমছে চিন্তার কালো মেঘ
২০২১-এর প্রথমেই ভারতের আসতে পারে করোনার প্রতিষেধক, কিন্তু সরবরাহ নিয়ে জমছে চিন্তার কালো মেঘ
আগামী বছর গোড়া দিকেই করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির বিষয়ে আশাবাদী ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের বিজ্ঞানী। কিন্তু প্রতিষেধক খুব দ্রুতগতিতে দেশের মানুষের কাছে কী করে পৌঁছে দেওয়া যাবে ত নিয়ে বাড়ছে চিন্তা। বিজ্ঞানীদের কথায় ১৩০ কোটি মানুষের কাছে প্রতিষেধক পৌঁছে দেওয়াটাই রীতিমত বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ ভারতের এমন কোনও পরিকাঠামো নেই যেখানে প্রতিষেধক খুব দ্রুততার সঙ্গে সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে। পাশাপাশি প্রতিষেধকটির জন্য অত্যন্ত জরুরি একটি কোল্ড চেন ব্যবস্থার।
| Published : Sep 22 2020, 07:34 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
করোনা বিশ্বের ক্রম তালিকায় ভারত রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। আক্রান্তের সংখ্য়া দিনে দিনে বাড়ছে। গোটা দেশই প্রতিশেধকের আশায় বুক বেঁধে রয়েছে।
দেশের সকল মানুষের কাছে নিরাপদ দ্রুতার সঙ্গে প্রতিষেধক পৌঁছে দেওয়াটাই এখন চ্যালেঞ্জের। তেমনই মনে করছে আইসিএমআরএর বিজ্ঞানী গগনদ্বীপ কং। কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশে শিশু আর গর্ভাবতী মহিলাদের টিকা প্রদান করা ছাড়া অন্য কোনও প্রতিষেধক দেওয়ার কর্মসূচি চলে না।
বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, ভারত এমনই একটি দেশ যেখানে বেশ কয়েকটি নাম করা সংস্থার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছেয যেগুলি এখনও পর্যন্ত সাফল্য অর্জন করেছে। তিনি মনে করেন চলতি বছরের শেষের দিকে তাঁদের হাতে এমন তথ্য থাকবে যা স্পষ্ট হয়ে যাবে কোনও প্রতিষেধকগুলি ভালো কাজ করছে আর কোনগুলি নয়।
আর সেই কারণেোই তিনি আশা প্রকাশ করেছেন ২০২১ সালের প্রথম দিনে স্বপ্ন পরিমাণে আর পরের দিকে বেশি পরিমাণে প্রতিষেধক দেশে পাওয়া যেতে পারে।
গবেষকের কথা বেশ কয়েকটি প্রতিষেধকের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। সেগুলি দেশীয় সংস্থার হোক বা বিদেশে আবিষ্কার করা প্রতিষেধক হোক, প্রায় প্রত্যেকটিরই সাফল্যের হার ৫০ শতাংশ।
গগনদীপ কং বলেছেন ভারতের যা পরিকাঠামো রয়েছে তাতে একটি প্রতিষেধক প্রচুর পরিমাণে তৈরি করা খুবই সহজ। কিন্তু তা সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই হল আসল চ্যালেঞ্জের। তার কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছে স্টোরেজ ডেলিভারি চেনের বাধার কথা।
তাঁর কথায় সব বয়সী মানুষেক টিকা দান কর্মসূচির আওয়াত আনা কিছুটা হলেই কঠিন কাজ। তাই যাঁরা করোনা যোদ্ধা বা ঝুঁকি পূর্ণ স্থানে রয়েছে তাঁদের আগে টিকা প্রদান করা উচিৎ বলেও তিনি মনে করেন।
তিনি আরও বলেছেন একটি প্রতিষেধক তৈরি হওয়ার পরই সরাসরি বাজারজাত করা যায় না। প্রতিষেধকটির জন্য একটি লাইসেন্স লাগবে। পাশাপাশি প্রতিষেধক সরবরাহের ব্যসস্থা করা আর সেই টিকা কী করে দেওয়া হবে তারজন্য প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। সবমিলিয়ে মহামারি রুখতে প্রতিষেধক তৈরির পরেও একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার দরকার।