করোনার প্রতিষেধক সংরক্ষণে কোল্ড হাব, সংগ্রহ থেকে টিকা প্রদানের জন্য তৈরি ব্লু প্রিন্ট
- FB
- TW
- Linkdin
নতুন বছরের শুরুতেই করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হাতে আসতে পারে। তেমনই মনে করছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী। আর সেই প্রতিষেধক সংরক্ষণের জন্য এখন থেকেই একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছে প্রতিষেধক সংরক্ষণের জন্য হাব তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আর সেই কাজে সরকারি সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও কাজে লাগানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন করোনাভাইরাসের প্রতিষেধকগুলি একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে। আর নির্দিষ্ট তাপমাত্রার মধ্যে রেখেই তা সরবরাহ করতে হবে। না হলে প্রতিষেধকের গুণগত মান খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।
আর সেই কারণে কেন্দ্রীয় সরকার করোনাভাইরাসের প্রতিষেধকের জন্য হাব তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আর এই কাজে সরকারি সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিকেও কাজে লাগান হতে পারে।
নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পালের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি প্রতিষেধক সংগ্রহ থেকে শুরু করে সরবরাহ সবকিছুর দায়িত্বে থাকবে।
কমিটির সদস্যরা প্রতিষেধক সংরক্ষণের জন্য একটি কোল্ড চেনের দিকেও জোর দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে একটি কোল্ড চেন ম্যাপ।
এই কমিটির দায়িত্ব থাকবে টিকা প্রদান পর্যন্ত। কোল্ড চেন ম্যাপের মাধ্যেই টিকা প্রদানের রোড ম্যাপও তৈরি করা হচ্ছে। আর প্রতিষেধক সংগ্রহ থেকে প্রদান পর্যন্ত কী কী সামগ্রী প্রয়োজন হবে তারও একটি তালিকা কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রদান করা হয়েছে।
টিকা প্রদান কর্মসূচির জন্য ব্যবহৃত বৈদ্যুতিন ভ্যাক্সিন ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা প্রতিষেধক চলাচল সংগ্রহ থেকে সরবরাহ আর বিতরণ পর্যন্ত রিয়েল টাইম ট্র্যাকিং-এর পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন ২০০-২৫০ মিলিয়ন মানুষকে প্রতিষেধক দেওয়ার জন্য ৪০০-৪৫০ প্রতিষেধকের ডোস সংগ্রহ করার দিকেও প্রথম দফায় জোর দেওয়া হবে।
ভিআইনএর তথ্য অনুযায়ী দেশে ৭০০-র বেশি জেলায় ২৭ হাজার প্রতিষেধক স্টোরেজ সেন্টার রয়েছে। আর প্রতিষেধক সরবরাহের জন্য কমপক্ষে ৪০ হাজার ফ্রন্ট লাইন লজিস্টিক কর্মী প্রয়োজন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানান হয়েছে দেশে যেহেতু প্রতিষেধক প্রদানের কর্মসূচি চলে তাই করোনার প্রতিষেধক সরবরাহে কোনও সমস্যা হবে না। তবে করোনাভাইরাসের ভ্যাক্সিনের দাম এখনও নির্ধারন করা হয়নি বলেও জানান হয়েছে মন্ত্রকের তরফ থেকে।