২০ মে আছড়ে পড়বে আমফান, ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ১৮৫ কিলোমিটার
ফণী ও বুলবুলের স্মৃতি উষ্কে ধেয়ে আসছে আমফান। ফণীর ঠিক এক বছরের মাথায় আরও এক ভয়াবহ ঝড়ের সাক্ষী থাকতে চলেছে ওড়িশা, বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ। ভয় তারিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে উপকূলবর্তী মানুষদের। ইতিমধ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে বিভিন্ন এলাকাতে। পরিস্থিতি সামলাতে প্রস্তুত একাধিক রাজ্য।
- FB
- TW
- Linkdin
২০ তারিখ, বুধবার ১৮৫ কিলোমিটার বেগে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সীমান্তে আছড়ে পড়বে আমফান ঘুর্ণিঝড়। ইতিমধ্যেই সর্বত্র সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আগামী ৪ ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার গতি বাড়িয়ে উত্তরদিকে এগিয়ে যাবে আমফান। বর্তমানে আমফান ঘুর্ণিঝড়ের অবস্থান দীঘা থেকে ৯৮০ কিলোমিটার দূরে ও পারাদ্বীপ থেকে ৮২০ কিলোমিটার দূরে।
কর্ণাটকে এই ঝড় কোনও প্রভাব না ফেললেও সব রকমের পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন রাজ্য সরকার। সমুদ্রে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ওড়িশা, বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে আছড়ে পড়বে আমফান ঘূর্ণিঝড়। দিঘা এবং বাংলাদেশের হাতিয়ার মধ্যে কোথাও স্থলভাগে আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়। সুন্দরবনে সর্বাধিক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দুর্যোগ সমাল দিতে তৎপর নবান্ন। দক্ষিণবঙ্গের ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে প্রতিটা মুহূর্তে। ইতিমধ্যেই একাধিক জেলাকে সতর্ক করা হয়েছে নবান্নের তরফ থেকে।
সোমবার এই নিয়ে বিশেষ বৈঠকও করেন প্রধানমন্ত্রী। দুর্যোগ এড়াতে কড়া নজর রাখতে হবে সর্বত্র। ইতিমধ্যে মানুষকে সতদর্ক করার কাজ শুরু হয়েছে।
ইতিমধ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতে। দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগণা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলিতে তাণ্ডপ চালাতে পারে আমফান।
পাশাপাশি ওড়িশার ১০টি জেলাতেও থাকছে বিপদের সংকেত। প্রস্তুত রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। মজুত রাখা হচ্ছে ত্রাণও।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে আরও বলা হয়েছে বুধবার অর্থাৎ ২০ মে দুপুর অথবা সন্ধ্যের মধ্যে, আমফান, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা।