ভয়ঙ্কর ঘূর্ণী ঝড় Tauktae-র দাপটে লন্ডভন্ড গুজরাট-মহারাষ্ট্র, দেখুন ছবিতে
- FB
- TW
- Linkdin
অত্যন্ত তীব্র ঘূর্ণী ঝড় তাউতে নির্ধারিত সময়ই আছড়ে পড়েছে গুজরাটের উপকূলে। যেসময় তাউতে স্থলভাবে প্রবেশ করে সেই সময় ঘণ্টায় সাইক্লোনের গতিবেগ ছিল ১৯০ কিলোমিটার। আবহাওয়া দফতের বার্তা অনুযায়ী দুঘণ্টারও বেশি তাণ্ডব চালিয়ে শক্তি হারাতায় তাউতে।
শুধু গুজরাট নয় তাউতের দাপটে বিপর্যস্ত মহারাষ্ট্র, গোয়া। গোয়াতে ১৩৩০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়েছিল। সমুদ্রের জলোচ্ছাস তিন মিটার ছিল। মুম্বইতে ঝড়ের গতিবেগ ছিল ১১৪ কিলোমিটার।
বিকেল থেকেই তাউতে মহারাষ্ট্রে তাণ্ডব চালিয়েছিল। তাউতের দাপটে গুজরাতে চার ও মহারাষ্ট্রে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বিকেল থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে স্তব্ধ ছিল বাণিজ্য নগরী। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বিমান বন্দর।
মুম্বইয়ের কাছে আরব সাগর থেকে বার্ড অ্যাড্রিফট থেকে ভারতীয় নৌবাহিনীর সদস্যরা ৬০ জনকে উদ্ধার কেরছে। তাউতের দাপটে এটি মুম্বইয়ের কাছে এসে ডুবে যাচ্ছিল। সেই সময় উদ্ধার করেছে।
গুজরাতের উপকূলে রাতে ৮টা ৩০ মিনিট নাগাদ আছড়ে পড়েছিল তাউতে। সেই সময় সেখানে ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫৫-১৬০ কিলোমিটার। প্রবল ঝড়ে প্রায় লন্ডভন্ড হয়ে যায় গুজরাটের বিস্তীর্ণ এলাকা। গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাতের অন্ধকারেই কাজে নামে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর জওয়ানরা। রাতেই গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কার করা হয়।
করোনাকালে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় গুজরাটেরর মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি এদিন একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। উপকূলবর্তী ১৪টি জেলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। ঘূর্ণী ঝড় আছড়ে পড়ার পর থেকেই প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। পুরো পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করেন তিনি।
তাউতে মোকাবিলায় গতকালই মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হবে বলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিপর্যস্ত রাজ্যগুলিকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। মহামারিকালে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকালিবায় বিশেষ গুরুত্বও দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আগে থেকেই কোভড হাসপতালগুলির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলিতে যাতে আলো ও জলের ব্যবস্থা পর্যাপ্ত তথাকে সেদিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার জরুরি ভিত্তিতে প্রচুর পরিমাণে আক্সিজেন পাঠিয়েছে।
প্রকৃতির দুর্যোগের কালো ছায়া কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছে গুজরাট ও মহারাষ্ট্র। রাতভর বন্ধ থাকার পর এদিন সকাল থেকেই চালু হয়েছে অহমেদাবাদ বিমান বন্দর।
ঘূর্ণী ঝড় তাউতের প্রভাব পড়েছে রাজস্থান উত্তর প্রদেশ দিল্লি ও হরিয়ানাতেও। দুপুরের পর থেকে এই রাজ্যগুলিতে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছ আবহাওয়া দফতর। প্রতিটি রাজ্য প্রশাসনকেই সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।