শীতের লাদাখে ড্রাগনদের মোকাবিলায় পাতালে থাকবে ট্যাঙ্ক , খোঁজা হচ্ছে জলের উৎস
লাদাখে শীত শুরু হয়েগেছে। আগামী দিনে তাপমাত্রা আরও কমবে। তাই মধ্য শীতে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় ভারতের প্রতিপক্ষ শুধু চিনের পিপিলস লিবারেশ আর্মি নয়। ভারতের আরও এক প্রতিপক্ষ রয়েছে। আর তা হল শীতকাল। আর সেই কনকনে ঠান্ডার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুত হয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। ইতিমধ্যেই পূর্ব লাদাখ সেক্টরে মোতায়েন করা হয়েছে অরিরিক্ত জওয়ান। খাবার থেকে শুরু করে জাওয়ানদের জন্য শীতের বিশেষ পোষাকও পাঠান হয়েছে। আর সংগ্রহ করা হয়েছে বিশেষ ফ্রোজেন ডিজেল। যা হিমাঙ্কের ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াল নিচেও জমে যায় না।
- FB
- TW
- Linkdin
পূর্ব লাদাখের কনকনে ঠান্ডায় চিনা সেনার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত ভারত। আর সেই কারণে রীতিমত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সমর সজ্জায়। এখন থেকেই লাদাখের প্রকৃত সীমায় মোতায়েন প্রায় সেনার জন্য প্রয়োজনীয় রসদ পাঠানোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়।
শুধু রসন নয়। লাদাখের প্রবল ঠান্ডায় প্রয়োজনীয় জ্বালানি মজুত করতে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে ভূগর্ভস্থ তেলের ট্যাঙ্ক। একএকটা ট্যাঙ্কের তেল ধারণ ক্ষমতা ৪ লক্ষ লিটার। আর এখান থেকে টি-৯০ট্যাঙ্ক, বিএমপি-২ ইনফ্যান্ট্রি কমহ্যাট ভেহিকেল-এর ডিসেল, অ্যাপাচে হেলিকপপ্টারের অ্যারো টাব্রাইন ফুয়েল একাধিক সমর সাজোঁয়া যানের জন্য তেল সরবরাহ করা হবে।
লাদাখের প্রবল ঠান্ডায় শীতকালে ব্যবহার করা হয় বিশেষ জ্বালানি তেল। গত বছর ইন্ডিয়ান ওয়েল তৈরি করেছে সেই ডিসেল, যা হিমাঙ্কের ৩৩ ডিগ্রি সেলয়াস নীচেও কার্যকর থাকে। জমে যায় না।
আগামী দিনে যারও জ্বালানির প্রয়োজন হবে। কারণ প্রয়োজনে আরও সমরযান পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের। আর সেই কথা মাথায় রেখে যোগাযোগ করা হয়েছে দেশের তেল কোম্পানিগুলির সঙ্গে।
সেনা সূত্রে জানান হয়েছে তেল সংস্থার ট্রাকগুলি তেল ভূগর্ভস্থ ট্যাঙ্ক পর্যন্ত দিয়ে আসবে। আর সেখান থেকে ব্যারেলে ভোরে প্রয়োজনীয় সেনা তাঁবুতে জ্বালানি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। মজুত করা হচ্ছে সেনা বাহিনীর অতি প্রয়োজনীয় কেরোসিনতেলও। কারণ তাঁবু গরম রাখতে হিটার জ্বালাতে উপযোগী এই তেল।
লাদাখে বেশ কয়েকটি নদী রয়েছে। কিন্তু এখন থেকেই সেগুলি জমে যেতে শুরু করেছে। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই ভূগর্ভস্থ জলের উৎসের সন্ধান শুরু হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি সেই সন্ধান পাওয়া যাবে বলেও আশা করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারতীয় সেনা বাহিনী সূত্রের খবর দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে এখনও পর্যন্ত উত্তেজনা কমেনি। এই অবস্থায় শীতকালে চিনের মোকাবিলার জন্যই এখন থেকেই প্রস্তুত জওয়ানরা।
চিনের মোকাবিলায় পূর্ব লাদাখ সেক্টরে ৮৬২ কিলোমিটার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবার ৫০ হাজার জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও সেনা পাঠান হবে। আর জওয়ানদের ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে লাদাখের বিভিন্ন সেনাঘাঁটিতে। তাঁদের জন্য বিশেষ পোষাক, খাবার, চমশাসহ প্রয়োজনী সামগ্রীও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
লাদাখে সেনার রসদ পৌঁছাতে ৮ হাজার ট্রাক ব্যবহার করা হয়েছে। লে থেকে দাবকুর, শিয়োক হয়ে দৌলক বেগ ওল্ডিতে বায়ু সেনার ঘাঁটি পর্যন্ত একটি দুর্গম সেনা ছাঁউনিগুলিতে সরদ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বেশ কয়েকটি জায়গায় রসদ পৌঁছে দিয়ে এসেছে বায়ুসেনার বিমান আর হেলিকপ্টার। এবছর সিয়াচেনের পাশাপাশি লাদাখেও শীতকালে সেনা মোতায়ের করা হচ্ছে। তাই নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ব্যবস্থা।