- Home
- India News
- Delhi-Dehradun: এশিয়ার বৃহত্তম বন্যপ্রাণী চলচালের করিডোর, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
Delhi-Dehradun: এশিয়ার বৃহত্তম বন্যপ্রাণী চলচালের করিডোর, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
আগামী ৪ ডিসেম্বর অর্থাৎ শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেরাদুনের জন্য এগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দিল্লি দেরহাদুন এক্সপ্রেসওয়ে (Delhi Dehradun expressway) আর্থনৈতি করিডোর। যা ভ্রমণের সময় অনেকটাই কমিয়ে দেব। এটি হবে এশিয়ার বৃহত্ততম বন্যপ্রানী চলাচলের করিরোড (Asias largest wildlife elevated corridor)। এই প্রকল্পগুলির মধ্যেই থাকবে চারধাম যাত্রাপথ আরও সুগম করে তোলা। থাকবে একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ও একটি রাজ্যস্তরে যাদুঘর স্থাপনের প্রকল্পও।
| Published : Dec 01 2021, 02:10 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
দিল্লি-দেরহাদুর অর্থনৈতিক করিডোর
দিল্লি দেরাদুন অর্থনৈতিক প্রকল্প থেকে গ্রিনফিন্ড অ্যালাইনমেন্ট প্রকল্প। এই রাস্তাটি হালগোয়া সাহারানপুর, ভদ্রাবাদ ও হরিদ্বারকে সংযুক্ত করবে। এই প্রকল্পটি তৈরি করতে খবর হবে ২০০ কোটি টাকা। যা দিল্লি থেকে ভ্রমণের সময় অনেকটাই কমিয়ে দেবে।
দিল্লি-দেরহাদুর অর্থনৈতিক করিডোর
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার দিল্লি -দেরাদুন অর্থনৈতিক করিডোরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন। যা শহরগুলির মধ্যে ভ্রনণের সময় ৬ ঘণ্টা থেকে কমিটে আড়াই ঘণ্টা করে দেবে। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানান হয়েছে অর্থনৈতিক করিডোরে হরিদ্বার, মুজাফ্ফরনদর, শামলি, ইয়মুনগর ও বাগপত, মিরাট ও বারাউতের সঙ্গে সংযোগের জন্য ৭টি ইন্টারচেঞ্জ থাকবে।
অনিয়ন্ত্রিত বন্যপ্রাণী চলাচলের ব্যবস্থা
এটি হবে এশিয়ার বৃহত্তম ও উঁচু করিডোর, যেখান দিয়ে অবাধে চলাচল করবে বন্যপ্রাণী। ওয়াইল্ড লাইফ করিডোরের দৈর্ঘ্য ১২ কিলোমিটার । ৩৪০ মিটার দীর্ঘ একটি ট্যানেলও থাকবে গাড়ি চলাচলের জন্য়।
পশু ও প্রাণীর সংঘর্ষ এড়াতে পদক্ষেপ
গণেশপুর-দেরাদুর বিভাগে একাধিক পশু পাশ দেওয়া হয়েছে। ৫০০ মিটার ব্যবধারে ৪০০টিরও বেশি জল রিচার্জ পয়েন্ট তৈরি হয়েছে। যেখানে বৃষ্টির জল ধরে রাখা হবে। শুখা মরশুমে সেই জল ব্যবহার করার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
হরিদ্বার রিং রোড
এই রাস্তা দিল্লি থেকে হরিদ্বার যাওয়ার সময়ও অনেকটাই কমিয়ে দেবে। মনোহরপুর থেকে কাংরি পর্যন্ত হরিদ্বার রিং রোড প্রকল্প ১৬ হাজার কোটি টাকার ব্যায়ে তৈরি হবে। যা হরিদ্বার শহরের বাসিন্দাদের যানজট থেকে মুক্তি দেবে। এই রাস্তাটি পর্যটন মরশুমে ও কুমায়ুনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
দেরাদুন-পাওন্টা সাহেব সড়ক প্রকল্প
প্রায় ১৭০০ কোটি টাকা ব্যায় করে তৈরি হবে এই রাস্তা। যা দেরাদুন যাওয়ার সময় কমিয়ে দেবে। এটি আন্তঃরাজ্য পর্যটনকেন্দ্রকে গুরুত্বদেবে। নাজিমাবাদ-কোটদ্বার রাস্তা প্রশস্তকরণ প্রকল্প ভ্রমণের সময় কমিয়ে আনবে। ল্যান্সডাউনের সঙ্গে যোগাযোগ উন্নত করবে। লছমন ঝুলার পাসে গঙ্গা নদীর ওপর একটি সেতুও নির্মাণ করা হবে। ১৯২৯ সালে তৈরি হয়েছিল লছমন ঝুলা। বর্তমানে এই সেতুর পরিবহণ ক্ষমতা অনেকটাই কমে গেছে। তাই নতুন সেতু তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
শিশু বান্ধব প্রকল্প
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শিশুবান্ধব প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করবেন দেরাদুনে। ৭০০ কোটি টাকা খরচে করে তৈরি করা হবে জল সরবরাহ, রাস্তা, নিশকাশী ব্যবস্থা। আধ্যাত্মিক শহরগুলি যেমন বদ্রীনাথ ধাম, গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রাধামে আবকাঠামো উন্নয়নেরও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হবে। শহরগুলিরে স্মার্টসিটির আওতায় নিয়ে আসা হবে।
মেডিক্যাল কলেজ
হরিদ্বারে নতুন মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হবে ৫০০ কোটি টাকা ব্যায়ে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাতটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন যার মধ্যে রয়েছে ভূমিধসের বিপদ এড়িয়ে নিরাপদে ভ্রমণের ব্যবস্থা। লাম্বাগড় ভূমিধস প্রসমন প্রকল্প। শ্রীনগর দেবপ্রয়াগে চিরস্থায়ী ভূমিধস প্রসমনের ব্যবস্থা করায
চার ধাম সড়ক প্রকল্প
চার ধাম সড়ক প্রকল্পের অধীনে শ্রীকোট -দেবপ্রয়াগ ও ৫৮ নম্বর জাতীয় সড়ক ব্রহ্মপুরী থেকে কোজিয়ালা রাস্তা প্রশস্তকরণ প্রকল্পেরও উদ্বোধন করবেন তিনি।
ব্যাসি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প
১৭০০ কোটি টাকা ব্যায়ে যমুনা নদীর ওপর একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও দেরাদুন হিমালয় সংস্কৃতি কেন্দ্র, হিমালয়ান কালচার সেন্টারে একটি রাজ্য স্তরের যাদুঘর ৮০০ আসন বিশিষ্ট আর্ট অডিটোরিয়াম, লাইব্রেরি, কনফারেন্স হলের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি।