- Home
- India News
- রেণু দেবীর হাওড়া থেকে বিহার যাত্রা, সাধারণ এক গৃহবধূ থেকে বিহারে উপমুখ্যমন্ত্রী হয়ে ওঠার ইতিকথা
রেণু দেবীর হাওড়া থেকে বিহার যাত্রা, সাধারণ এক গৃহবধূ থেকে বিহারে উপমুখ্যমন্ত্রী হয়ে ওঠার ইতিকথা
- FB
- TW
- Linkdin
নীতিশ কুমারের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মুখে রেণু দেবী। বাহিরের প্রথম উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন তিনি। আর তাতেই খুশির হওয়ার হাওড়ার জগাছায়। কারণ দীর্ঘ দিন জগাছায় থাকতেন তিনি। সেখানেই ছিল তাঁর শ্বশুরবাড়ি।
বেতিয়ার বাসিন্দা রেণু দেবীর সঙ্গে জগাছার বাসিন্দা দুর্গা প্রসাদের বিয়ে ছিল। তারপর থেকেই জগাছারই বাসিন্দা ছিলেন তিনি। সেখানেই জন্মগ্রহণ করে তাঁর দুই সন্তান। অকালে স্বামী মারা যায়। কিন্তু তারপরেই বিধবা রেণু দেবী থেকে যান হাওয়ায়।
স্বামীর কর্মক্ষেত্রকেই নিজের করে কাজ শুরু করেন। একটি অর্থলগ্নি সংস্থার ফিল্ড অফিসারে ছিলেন স্বামী। দুর্গাপ্রসাদের মৃত্যুর পর সেই কাজই শুরু করেন তিনি। তবে তখনই রাজনীতির সঙ্গে তাঁর তেমন যোগ ছিল না।
অর্থলগ্নি সংস্থায় সমস্যা দেখা দেওয়ার ১৯৮৯ সালে তিনি বিহারে চলে যান। সেখানে বাবার পরিবারের সঙ্গেই থাকতে শুরু করেন। কিন্তু তখনও হাওয়ার বাড়িতে তাঁর যাওয়া আসা ছিল। বিহারে ফিরে যাওয়ার পরই রাজনীতিতে যোগদেন রেনু দেবী।
হাওড়ার জগাছার বাসিন্দা বাবন প্রসাদের সঙ্গে এখনও তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। এইপরিবারের সদস্যরা রেণু দেবীর বন্ধুস্থানীয়। বাবন প্রসাদ ওখনও রেণু দেবীর হাওড়ার বাড়ির দেখভালোর দায়িত্বে রয়েছেন।
বাবন প্রসাদ জানিয়েছেন বিজেপির সক্রিয় কর্মী রেণু দেবী। একের পর এক মাইলস্টোন পার করেও এখনও ভুলে যাননি তাঁর অতীত। তাঁদের পরিবারে সদস্যদের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ রেখে চলেন।
বিহারে নীতিশ কুমারের মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাওয়ার পরেও তাঁদের পরিবারে সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন। তাই রেণু দেবী ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য মুখিয়ে রয়েছে হাওড়ার এই পরিবার। খুব তাড়াতাড়ি দুই পরিবারের দেখা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সাধারণ গৃহবধূ হলেও প্রথম থেকেই লড়াকু মহিলা হিসেবেই রেণু দেবীকে দেখেছেন বাবন প্রসাদ। স্বামীর মৃত্যুর পর দুই সন্তান নিয়ে রেণু দেবীর লড়াইয়ের দিনগুলির সাক্ষী থেকেছে এই পরিবার।
বাবনের পুত্রবধূ রিনা সিং জানিয়েছেন তিনি চান বিহারের মহিলাদের উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করুন রেণু দেবী। পিছিয়ে পড়া মহিলাদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করুক তাঁদের অ্যান্টি। তেমনই জানিয়েছেন।