বেঙ্গালুরুর ইমেলেই লুকিয়ে ছিল সাইবার হামলার তীর , কতটা হাত রয়েছে চিনের
ন্যাশানাল ইনফরমেটিক্স সেন্টারের ১০০টিরও বেশি কম্পিউটারকে টার্গেট করেছিল হ্যারাকরা। যা দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত ছিল। চলতি মাসের প্রথম দিকেই প্রধানদিকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মানুষের প্রয়োজনী ডেটা সংরক্ষিত কম্পিউটারগুলিতে নজর দিয়েছিল হ্যাকারদের। এই ঘটনার তদন্ত করতে নেমে দিল্লি পুলিশের নজরে এসেছে বেঙ্গালুরুর একটি সংস্থার ওপর। কারণ ওই সংস্থা থেকেই পাঠান হয়েছিল ইমেলটি।
| Published : Sep 18 2020, 01:59 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
চলতি মাসের গোড়ার দিকে হ্যাকারদের নজরে ছিল ন্যাশানাল ইনফরমেটিক্স সেন্টারের কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণে থাকা প্রায় ১০০টি কম্পিউটার। যার মধ্যে ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষিত কম্পিউটার। ছিল দেশের সুরক্ষা সম্পর্কিত তথ্যে ঠাসা একাধিক কম্পিউটটারও।
এই ঘটনার তদন্তে নেমেছিল দিল্লি পুলিশ।ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে বেঙ্গালুরপর একটি সংস্থা থেকে পাঠানো হয়েছিল একটি ইমেল। আর সেটি ডেকে এনে ছিল বিপদ।
তদন্তে দিল্লি পুলিশ দেখেছে, সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে ঘটা এই ঘটনার জন্য দায়ী ছিল বেঙ্গালুরু একটি আইটি সেন্টার। এনআইসি ও মন্ত্রকের কম্পিউটারগুলিতে প্রধানমন্ত্রী ও সরকারি আধিকারিকদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে।
সেই তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা থেকে পাঠান ইমেলটি পেয়েছিল তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের এক কর্মী। তিনি মেলটি খোলেন। আর মেলে একটি সংযুক্তিতে ক্লিক করার পরই সিস্টেমে থাকা সমস্ত ডেটা নিজে থেকেই মুছে গিয়েছিল।
তারপরই দেখা যায় যে সেই ত্রুটি এনআইসি আর মন্ত্রণালয় প্রায় শতাধিক কম্পিউটারকে প্রভাবিত করেছে। দিল্লি পুলিশ তদন্ত নেমে জানতে পারে একটি প্রক্সি সার্ভার থেকে পাঠান হয়েছিল মেলটি।
সংশ্লিষ্ট কর্মী দিল্লি পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি ইমেলটি প্রথমে ব্যবহার করতে পারছিলেন না। তদন্ত নেমে দিল্লি পুলিশ দেখতে পায় যে শুধু ওই কর্মী নয় আরও অনেক কর্মী একই সমস্যায় পড়েছেন। প্রাথমিকভাবে দিল্লি পুলিশ মনে করছেন এক ম্যালওয়ার আক্রমণ।
প্রাথমিকভাব দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে মার্কিনযুক্ত রাষ্ট্র ভিত্তিক বেঙ্গালুরুর একটি সংস্থা থেকে ইমেলটি পাঠান হয়েছিল। কিন্তু এর পিছনে কী চিনা যোগ রয়েছে? তারও তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
সেপ্টেম্বরে ভারত পাবজিসহ বেশ কয়েকটি চিনা অ্যাপ বাতিল করে। তারপরেই এই বেছে বেছে গুরুত্বপূর্ণ কম্পিউটারগুলিতেই সাইবার হামলা চালানো হয়েছিল। আর সেই কারণেই চিনা যোগ উড়িয়ে দিচ্ছে না তদন্তকারী সংস্থাগুলি।