করোনার প্রতিষেধক সকলের কাছে পৌঁছে দিতে সময় লাগবে, আর কী কী বললেন হর্ষ বর্ধন
- FB
- TW
- Linkdin
বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য় মন্ত্রী জানিয়েছেন আগামী বছর গোড়ার দিকেই করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক পেতে পারে ভারত। এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা আর মাস্কের ব্যবহারই সবথেকে বড় সামাজিক টিকা।
রাজ্যসভার সদ্যরা এদিব করোনাভাইরাস প্রসঙ্গে একাধিক প্রশ্ন করেছিলেন। তারই উত্তর দিতে দিয়ে একথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছে মহামারি প্রতিরোধে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। গত জানুয়ারি মাস থেকেই বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক নিয়ে তিনি বলেছেন আগামী বছর গোড়ার দিতে হাতে পাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্যান্য সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগরাখা হচ্ছে। ৪০ হাজারের মত নমুনা নিয়ে কাজ হচ্ছে। ভারত হচ্ছে সেইসব অল্পসংখ্যক দেশের মধ্যে পড়ে যারা ভাইরাসটিকে আলাদা করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন প্রতিষেধক তৈরি হওয়ার পরেই তা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে না। তবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কংগ্রেস সাংসদ সাশ্রয়ী মূল্য়ে করোনার প্রতিষেধক সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন।
সোমবারে লোকসভার অধিবেশনের মত এদিনও লকডাউনের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল বলে সওয়াল করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, অভিবাসী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে রীতিমত তৎপর ছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তাদের জন্য় ট্রেন ও বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
এদিন সংসদে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির থেকে অনেকটাই কম। বর্তমানে দেশে মৃত্যুর হার ১.৬৪ শতাংশ।
ব্রাজিল আর আমেরিকার তুলনায় এই দেশে সুস্থ হয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যাও তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগেই জানিয়েছিলেন তিনি তিনি নিজেও দেশের মহামারি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। এদিন হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, ভারতও অন্যান্যদেশগুলির মত প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে ।
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
rajyasabhaএদিন রাজ্যসভায় বিরোধী দল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করা হয় যে প্রতিষেধ হাতে এলে তা যেন দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় সরবরাহ করা হয়।