দুদিনের সফরে লাদাখ সফরে রাজনাথ সিং ও সেনা প্রধান, ঘুরে দেখবেন ফরওয়ার্ড এলাকা
- FB
- TW
- Linkdin
দু দিনের লাদাখ এবং জম্মু ও কাশ্মীর সফরে যাচ্ছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাঁর সঙ্গে থাকবেন সেনা প্রাধন এমএম নারাভানে।
১৭ জুলাই লাদাখ যাবেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও সেনা প্রধান। লাদাখের বর্তমান অবস্থার নিয়ে দাত্বিত্ব প্রাপ্ত সেনা কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হবে। সপ্তাহ খানের আগেই গালওয়ান, হটস্প্রিং, গোগরা এলাকায় পেট্রোল পয়েন্ট থেকে সেনা সরিয়ে নিয়েছে চিন। তারপরের অবস্থা পর্যালোচনা করা হবে বলেই সূত্রের খবর।
পরের দিনই অর্থাৎ ১৮ জুলাই রাজনাথ সিং ও নারাভানে চলে আসবেন জম্মু ও কাশ্মীরে। সূত্রের খবর সীমান্তবর্তী এলাকা বা ফরওয়ার্ড এলাকা পরিদর্শন করবেন তাঁরা।
দিন দুই আগেই সেনা প্রধান জম্মুর সীমান্তবর্তী এলাকা পরিদর্শন করছেন। একই সঙ্গে খতিয়ে দেখেছেন কর্তব্যরত সেনাদের প্রস্তুতি।
বিশেষজ্ঞদের মতে লাদাখ ও জম্মু কাশ্মীর সীমান্ত বর্তমানে খুবই স্পর্শকাতর। চিনা সেনা সরে গেলেও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এই সফর প্রতিপক্ষকে কিছুটা হলেও চাপে রাখবে বলেই দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
আর পাকিস্তানও বারবার ২০০৩ সালের যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন করে সীমান্তবর্তী এলাকায় গুলি চালাচ্ছে। আর তাতেই সমস্যায় পড়ছেন সীমান্তবর্তী গ্রামের মানুষ। এই পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এক আধিকারিক জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সংবেদনশীল সেক্টর যেখানে ভারত ও চিন সেনা সরানো নিয়ে আলোচনায় বসেছে সেই এলাকার সামরিক সুরক্ষাও পর্যালোচনা করে দেখবেন।
ইতিমধ্যেই সীমান্ত উত্তার কমাতে ভারত ও চিনা সেনা কর্তারা লাদাখের চুসুল সীমান্ত চতুর্থ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন। প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে হয় সেই বৈঠক।
এরআগে তিন ভারত ও চিনের সেনা কর্তারা বৈঠকে বসেছিলেন। প্রথম দুদফার বৈঠক হয়েছিল চিনার দিকে মোলডোতে। তৃতীয় ও চতুর্থ দফার বৈঠক হয় লাদাখে।
গত ৩ জুলাই লাদাখ সফরে যাওয়ার কথা ছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর কিন্তু সেই সময় প্রধানমন্ত্রী লাদাখে গিয়েছিলেন। কথা বলেছিলেন সেনাবাহিনীর দায়িত্ব প্রাপ্তদের সঙ্গে। চিনের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত জওয়ানদের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। তাই সেই সময় তিনি সফর বাতিল করেছিলেন বলেই সূত্রের খবর।