- Home
- India News
- অযোধ্যায় রামমন্দির আন্দোলনে ১০ প্রভাবশালী নেতা, যাঁদের ছাড়া সম্ভব হত না রাম জন্মভূমি আন্দোলন
অযোধ্যায় রামমন্দির আন্দোলনে ১০ প্রভাবশালী নেতা, যাঁদের ছাড়া সম্ভব হত না রাম জন্মভূমি আন্দোলন
কঠিন পথেই সাফল্য পেয়েছে অযোধ্যা রাম জন্মভূমি আন্দোলন। আর এই আন্দোলন একদিনে সফল হয়নি। এখানে আমরা তাঁদের কথা তুলে ধরব যাঁদের জন্য আজ সফল হয়েছে রামমন্দির আন্দোলন। যাঁদের জন্য স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে রাম মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর। আযোধ্যা রামমন্দির আন্দোলনের প্রথম দশ নেতত্বকে আরও একবার স্মরণ করা হোক মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের দিনে।
| Published : Aug 05 2020, 02:54 PM IST / Updated: Aug 05 2020, 02:58 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
লালকৃষ্ণ আদবানি
১৯৯০ সালে আযোধ্যা রাম মন্দির আন্দোলনের পোস্টার বয় বললে খুব একটা ভুল হবে না। একই সঙ্গে লালকৃষ্ণ আদবানিকে হিন্দুত্বেরও প্রথম পোস্টার বয় বলা যেতে পারে। সোমনাথ থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত রথযাত্রার নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। তাঁর রথযাত্রা সেদিন সাফল্য না পেলেও এদিন সুফল ভোগ করছে বিজেপিসব বেশ কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। এখনও বাবরি মসজিদ ভাঙার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চ কিন্তু তিনি ব্রাত্য।
প্রমোদ মহাজন
আদবানি রথযাত্রার নেতা ছিলেন। কিন্তু সেই রথযাত্রার মূল পরিকল্পনা করেছিলেন প্রমোদ মহাজন। বাজপায়ী ও আদবানির আমলে বিজেপিতে রাজনৈতির কৌশলবিদ হিসেবেই তিনি চিহ্নিত হয়ে রয়েছেন।
অশোক সিংহাল
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা ছিলেন। রামমন্দির তথা রাম জন্মভূমি আন্দোলনের জন্য গোটা দেশে জনসমর্থন গড়ে তোলার কাজে তিনি ছিলেন প্রথম সারথি। অনেকের কাছে কামমন্দির আন্দোলনের তিনি ছিলেন প্রধান স্থপতি। ২০১১ সাল পর্যন্ত পরিষদের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।
মুরলীমনোহর যোশী
৮০-৯০ টানা দশ বছর বিজেপির অধ্যাপক ছিলেন বললে খুব একটা ভুল হয়েছে। পদার্থ্যবিজ্ঞানের কৃতী অধ্যাপক ছিলেন তিনি। ৯২ সালে বাবরি ধ্বংসের সময় তিনি ছিলেন আদবানির সঙ্গে। মসজিদ ধ্বংসের সময় উমা ভারতীকে আলিঙ্গনের ছবি এখনও অনেকের স্মৃতিতে উজ্বল।
উমা ভারতী
রাম মন্দির আন্দোলনের সবথেকে প্রভাবশালী মহিলা। জনতাকে উদ্বুদ্ধ করে বাবরি ধ্বংসের তাঁর ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেই লিবারহান কমিশন তাঁকে অভিযুক্ত করেছিল। তবে বর্তমানে তিনি কিছুটা হলেও কোনঠাসা।
সাধ্বী রীতাম্ভরা
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের আগে পর্যন্ত সাধ্বী রীতাম্ভরা ছিলেন জনপ্রিয় হিন্দুত্ববাদী নেত্রী। অযোধ্যায় রাম জন্মভূমি প্রচারে তিনি ছিলেন স্বীকৃত মুখ। আন্দোলনে উমা ভারতীর পরেই ছিল তাঁর নাম। তাঁর অডিও ক্যাসেট বিক্রি রীতিমত রেকর্ড গড়েছিল সেই সময়।
কল্যাণ সিং
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বাবরি ধ্বংসের সময়। মধ্যযুগীত স্থাপত্যটিকে রক্ষা না করে করসেবকদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পুলিশও কর সেবকদের বিরুদ্ধে তেমন কোনও শক্তি প্রয়োগ করেনি। মাঝখানে বিজেপির সঙ্গে তাঁর তিক্ততা তৈরি হয়। কিন্তু পরে তিনি আবার ফিরে আসেন বিজেপিতে।
বিয়ন কাটিহার
বজরং দলের নেতা হিসেবে রাম মন্দিরের প্রচারকে আরও ব্যাপক আকার দিয়েছিলেন। বজরং দলের প্রথম সভাপতি ছিলেন তিনি।
১৯৯২ সালে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক হন। রাজ্যসভা ও লোকসভার সাংসদ হন।
প্রভীন তোগাড়িয়া
রাম মন্দির আন্দোলনের আরও এক বিষ্ফোরক নেতা। অশোক সিংহালের পর তাঁর হাতেই ছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাশ। আদবানির প্রভাব হ্রাস পাওয়ায় পরই তাঁর ক্যারিশ্মাও কিছুটা ম্লান হয়ে যায়।
বিষ্ণু হরি ডালমিয়া
একজন শিল্পপতি হয়েও হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিতে রীতিমত আগ্রহী ছিলেন। অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের প্রচারে তিনি রীতিমত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন তিনি।