- Home
- India News
- কখনও শহিদ বেদীতে, কখনও তিনি ট্যাঙ্কে - সেনাদের সঙ্গে দীপাবলির দিনটা কীভাবে কাটল মোদীর, দেখুন
কখনও শহিদ বেদীতে, কখনও তিনি ট্যাঙ্কে - সেনাদের সঙ্গে দীপাবলির দিনটা কীভাবে কাটল মোদীর, দেখুন
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই প্রত্যেক বছর দীপাবলির দিনটা সেনা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কাটান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। এই বছর রাজস্থানের জয়সলমিরে-র কাছে লঙ্গওয়াল সেনা ঘাঁটিতে দীপাবলির উদযাপন করলেন নরেন্দর মোদী। সঙ্গে ছিলেন সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত, সেনা প্রধান এমএম নারাভানে এবং বিএসএফ-এর ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানা। সেনাদের উজ্জীবিত করতে এদিন তাঁদের সামনে বক্তব্য রাখেন নরেন্দ্র মোদী। সেইসঙ্গে ছিল আরও নানান কর্মসূচী। দেকে নেওয়া যাক সেইসব মুহূর্তের ছবি এবং সঙ্গে জেনে নেওয়া যাক, এদিন সেনাদের সামনে ছিক কী বললেন প্রধানমন্ত্রী।
- FB
- TW
- Linkdin
প্রথমেই উপস্থিত সেনাকর্মীদের দীপাবলির শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী, বলেন, প্রত্যেক ভারতীয়বাসীর হয়ে তাঁদের শুভেচ্ছা জানাতে এসেছেন তিনি। সেনারা তুষারাবৃত পাহাড় বা মরুভূমি যেখানেই থাকুন না কেন, তাঁদের মাঝে না আসলে তাঁর দীপাবলি সম্পূর্ণ হয় না বলেও জানান তিনি। সেনাকর্মীদের মুখের আনন্দ দেখলে তাঁর সুখ দ্বিগুণ হয়ে যায়।
লঙ্গওয়াল ঘাঁটির ১৯৭১ সালের ইতিহাস তুলে ধরে তিনি জানান, সেনার উৎকর্ষতার ইতিহাসে সবসময় লঙ্গওয়ালের যুদ্ধের কথা লেখা থাকবে। পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে ভারতীয়দের বীরত্বের কাহিনি লেখা থাকবে। এই প্রসঙ্গে পাকিস্তানকে নাম করেই হুঁশিযারি দিয়েছেন মোদী। চিনের নাম করেননি প্রধানমন্ত্রী। তবে তাদের 'সম্প্রসারণবাদী শক্তি' বলে উল্লেখ করে বলেছেন তাদের জন্য বর্তমানে সমগ্র বিশ্ব অস্থির। সম্প্রসারণবাদ-কে মানসিক ব্যাধি এবং আঠারো শতকের ভাবনাচিন্তা বলে অভিহিত করেন তিনি। ভারতও এই ভাবনার বিরুদ্ধে ক্রমে সোচ্চার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভারত প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে এবং প্রতিরক্ষা খাতকে আত্মনির্ভর করতে দ্রুত কাজ করছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। জানান, দেশীয় অস্ত্র কারখানায় মনোনিবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা খাতের এই সিদ্ধান্তের ফলে ১৩০ কোটি ভারতীয়কে স্থানীয় দ্রব্যের পক্ষে সোচ্চার হয়ে কাজ করতে উদ্যোগী হয়েছে। বাহিনীর আধুনিকীকরণ ও তার সরঞ্জাম সরবরাহের ক্ষেত্রে লাল ফিতের প্রতিবন্ধকতাও কাটানো হয়েছে।
মোদী আরও বলেন, আজ ভারত সন্ত্রাসবাদীদের এবং তাদের নেতাদের ঘরে ঢুকে হত্যা করে। বিশ্ব এখন বুঝে গিয়েছে যে ভারত কোনও মূল্যেই দেশিয় স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না। ভারতের কৌশল পরিষ্কার। ভারত অন্যকে বোঝার এবং বোঝানোর নীতিতে বিশ্বাসী। তবে যদি কেউ শক্তি পরীক্ষার চেষ্টা করে, তবে তারা তীব্র জবাব পাবে। ভারতের এই খ্যাতি ও মর্যাদা সবই সেনাদের শক্তি ও বীরত্বের কারণেই। সেনারা দেশকে সুরক্ষিত রাখে বলেই, ভারত আজ আন্তর্জাতিক ফোরামে স্পষ্টভাবে তার মতামত উপস্থাপন করতে পারে। অন্যান্য বড় দেশগুলি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সামরিক মহড়ায় যোগ দিচ্ছে।
তবে শুধু শত্রুদের মোকাবিলা করতেই সক্ষম নয়, বিপর্যয়ের সময় মানুষকে সহায়তা করার ক্ষেত্রেও ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এগিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কোভিডের কারণে অন্য দেশে আটকা পড়া মানুষদের উদ্ধারে বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, ভারত শুধু নিজেদের নাগরিকদেরই উদ্ধার করেনি, অন্যান্য দেশকেও এই বিষয়ে সহায়তা করেছে। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী কোভিড মহামারি চলাকালীন যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে কাজ করেছিল এবং দেশে পর্যাপ্ত ফেস মাস্ক, স্যানিটাইজার, পিপিই কিট, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং হাসপাতালের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে প্রতিটি পর্যায়ে অবদান রেখেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
১৩০ কোটি ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে রয়েছে, বলে ভরসা দেন প্রধানমন্ত্রী। জানান, প্রত্যেক ভারতীয় তাদের সৈন্যদের শক্তি এবং বীরত্ব নিয়ে গর্বিত। বিশ্বের সব শক্তির হাত থেকে দেশের সীমান্ত রক্ষা করার ক্ষমতা আছে ভারতের সাহসী সৈন্যদের। তাদের জন্যই দীপাবলি উদযাপনে দেশ আলোকিত হতে পারে।
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য তিনি তিনটি পরামর্শও দিয়েছেন। প্রথমত, উদ্ভাবনের মাধ্যমে চতুর্য চালিয়ে যেতে হবে। দ্বিতীয়টি হল সকলের যোগ অনুশীলন করা উচিত। আর তৃতীয়টি হল, মাতৃভাষা ও ইংরেজি ভাষা ছাড়াও তৃতীয় কোনও ভাষা শিখতে হবে। এই তিন পদক্ষেপে সেনাকর্মীদের মধ্যে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং উত্সাহ জাগবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।